০৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

রিজার্ভ থেকে সাত মাসে ৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৪১:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৫৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৭ মাস (জুলাই-জানুয়ারি) ৯ দিনে রিজার্ভ থেকে ৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। একই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু ব্যাংকের কাছ থেকে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার কিনেছে।

সবশেষ হিসাব (বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল) অনুযায়ী, দেশে গ্রস রিজার্ভ এখন ১৯ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এরই মধ্যে রেমিট্যান্সে কিছুটা গতি এলেও তা আশানুরূপ না। চলতি বছরের প্রথম মাসের পুরো সময়ে ২১০ কোটি ডলার বা ২.১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। আর চলতি মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম ৯ দিনে এসেছে ৬৩ কোটি ১৭ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব মতে, গ্রস রিজার্ভ এখন ২৫ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারে এসেছে। এর বাইরে আরও একটি হিসাব রয়েছে সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব। সে হিসাবটি শুধু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফকে দেওয়া হয়। ওই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে অবস্থান করছে। এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব।

আরও পড়ুন: অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শনের বিষয়টি আমরা পর্যালোচনা করছি: অর্থমন্ত্রী

কমেছে বাণিজ্য ঘাটতি

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার। যা গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬২ দশমিক ৬৭ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল এক হাজার ২৩১ কোটি ডলার।

অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে বাংলাদেশ ২৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করেছে। বিপরীতে দেশ আমদানি করেছে ৩০ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা। অর্থাৎ বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে চার দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বর শেষে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১৯২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময় শেষে ঘাটতি ছিল ৪৯২ কোটি ২০ লাখ ডলার।

‘ক্রলিং পেগ’ চালু মার্চে

ডলার সংকট কাটাতে ‘ক্রলিং পেগ’ চালু হচ্ছে আগামী মার্চেই। ডলার দর নিয়ন্ত্রিত ও বাজারভিত্তিক করতে দ্রুত ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আসছে মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করা হবে। ল্যাটিন আমেরিকার উরুগুয়েতে প্রথম ক্রলিং পেগের প্রচলন ঘটে। বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় বতসোয়ানা, হন্ডুরাস ও নিকারাগুয়ায় ক্রলিং পেগ পদ্ধতি।

এ পদ্ধতি টাকার বিপরীতে ডলারের দামের ভিত্তি হবে রিয়াল ইফেকটিভ একচেঞ্জ রেট (রিয়ার) ও নমিনাল ইফেকটিভ একচেঞ্জ রেট (নিয়ার)। বৈশ্বিক মানদণ্ডের আলোকে ‘ক্রলিং পেগ’ রেটের সঙ্গে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকার করিডোর রাখা হবে। আর স্মার্ট সুদহারের আলোকে বাংলাদেশ ফরেন একচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ডলারের দর নির্ধারণ করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকে এক কর্মকর্তা জানান, ডলার সংকট কাটছে না। সংকটের সুযোগে কারসাজিতে জড়িয়ে পড়েছে ব্যাংক-এক্সচেঞ্জ হাউজ। অন্যদিকে, রিজার্ভও তলানিতে। এ পরিস্থিতিতে ডলারের দর শতভাগ বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরিবেশ নেই। তাই গভর্নর ক্রলিং পেগ পদ্ধতি দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

x
English Version

রিজার্ভ থেকে সাত মাসে ৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি

আপডেট: ১০:৪১:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৭ মাস (জুলাই-জানুয়ারি) ৯ দিনে রিজার্ভ থেকে ৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। একই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু ব্যাংকের কাছ থেকে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার কিনেছে।

সবশেষ হিসাব (বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল) অনুযায়ী, দেশে গ্রস রিজার্ভ এখন ১৯ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এরই মধ্যে রেমিট্যান্সে কিছুটা গতি এলেও তা আশানুরূপ না। চলতি বছরের প্রথম মাসের পুরো সময়ে ২১০ কোটি ডলার বা ২.১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। আর চলতি মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম ৯ দিনে এসেছে ৬৩ কোটি ১৭ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব মতে, গ্রস রিজার্ভ এখন ২৫ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারে এসেছে। এর বাইরে আরও একটি হিসাব রয়েছে সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব। সে হিসাবটি শুধু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফকে দেওয়া হয়। ওই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে অবস্থান করছে। এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব।

আরও পড়ুন: অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শনের বিষয়টি আমরা পর্যালোচনা করছি: অর্থমন্ত্রী

কমেছে বাণিজ্য ঘাটতি

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার। যা গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬২ দশমিক ৬৭ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল এক হাজার ২৩১ কোটি ডলার।

অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে বাংলাদেশ ২৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করেছে। বিপরীতে দেশ আমদানি করেছে ৩০ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা। অর্থাৎ বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে চার দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বর শেষে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১৯২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময় শেষে ঘাটতি ছিল ৪৯২ কোটি ২০ লাখ ডলার।

‘ক্রলিং পেগ’ চালু মার্চে

ডলার সংকট কাটাতে ‘ক্রলিং পেগ’ চালু হচ্ছে আগামী মার্চেই। ডলার দর নিয়ন্ত্রিত ও বাজারভিত্তিক করতে দ্রুত ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আসছে মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করা হবে। ল্যাটিন আমেরিকার উরুগুয়েতে প্রথম ক্রলিং পেগের প্রচলন ঘটে। বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় বতসোয়ানা, হন্ডুরাস ও নিকারাগুয়ায় ক্রলিং পেগ পদ্ধতি।

এ পদ্ধতি টাকার বিপরীতে ডলারের দামের ভিত্তি হবে রিয়াল ইফেকটিভ একচেঞ্জ রেট (রিয়ার) ও নমিনাল ইফেকটিভ একচেঞ্জ রেট (নিয়ার)। বৈশ্বিক মানদণ্ডের আলোকে ‘ক্রলিং পেগ’ রেটের সঙ্গে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকার করিডোর রাখা হবে। আর স্মার্ট সুদহারের আলোকে বাংলাদেশ ফরেন একচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ডলারের দর নির্ধারণ করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকে এক কর্মকর্তা জানান, ডলার সংকট কাটছে না। সংকটের সুযোগে কারসাজিতে জড়িয়ে পড়েছে ব্যাংক-এক্সচেঞ্জ হাউজ। অন্যদিকে, রিজার্ভও তলানিতে। এ পরিস্থিতিতে ডলারের দর শতভাগ বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরিবেশ নেই। তাই গভর্নর ক্রলিং পেগ পদ্ধতি দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।

ঢাকা/কেএ