০৭:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রেমিট্যান্সে চার্জ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:০৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪১৭০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: রেমিট্যান্স পাঠানোর চার্জ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। রোববার (৬ অক্টোবর) সংস্থা দুটির নিয়মিত নৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা যায়, সোমবার (৭ অক্টোবর) থেকেই রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের কোনো ফি দিতে হবে না। এছাড়া, বন্ধের দিনেও এক্সচেঞ্জ হাউজ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া দেশের বাইরে ছুটির দিনে নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউস খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বৈঠক শেষে সোনালী ব্যাংকের এমডি ও বাফেদার চেয়ারম্যান আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বাফেদা ও এবিবির ধারাবাহিক বৈঠকের মতোই আমাদের আজকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সর্বসম্মতিক্রমে এখন থেকে ব্যাংকগুলো ১০৭ টাকায় রেমিট্যান্স এবং ১০০ টাকায় রপ্তানি আয় সংগ্রহ করবে। পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুবিধার্থে রেমিট্যান্স পাঠানোর চার্জ মওকুফ করা হয়েছে। কোনো ধরনের খরচ ছাড়া আগামীকাল সোমবার (৬ অক্টোবর) থেকে প্রবাসীরা ছুটিরদিনগুলোতেও এখন রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন। কারণ ছুটির দিনেও এক্সচেঞ্জ হাউজ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে।

এর আগে ডলার সংকট নিরসনে গত ২৩ অক্টোবর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের বিপরীতে ডলার কেনার সর্বোচ্চ দর ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৭ টাকা করা হয়। আর রপ্তানি বিল ৫০ পয়সা বাড়িয়ে করা হয় ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা। যা গত ২৬ সেপ্টেম্বর এক সভায় ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা প্রবাসী আয়ে নির্ধারণ করা হয়। রপ্তানি আয়ে ৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আরও পড়ুন: মতিউল ইসলাম নওশাদ সিটি ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক

এছাড়া গত ১১ সেপ্টেম্বরে প্রথম ব্যাংকারদের সভায় এক্সপোর্ট প্রসিডে ৯৯ টাকা ও রেমিট্যান্সের ডলার ১০৮ টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে, বৈদেশিক মুদ্রার চরম সংকটের এই সময়ে বৈধ পথে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলোও তৎপরতা বাড়িয়েছে। তবে কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। হুন্ডির কবলে পড়ে প্রবাসী আয় ধারাবাহিকভাবে কমছে। অক্টোবরে রেমিট্যান্স কমে ১৫৩ কোটি ডলারের নিচে নেমেছে, যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে গড়ে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল। গত সেপ্টেম্বরে কমে তা ১৫৪ কোটি ডলারে নামে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

রেমিট্যান্সে চার্জ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

আপডেট: ০৮:০৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: রেমিট্যান্স পাঠানোর চার্জ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। রোববার (৬ অক্টোবর) সংস্থা দুটির নিয়মিত নৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা যায়, সোমবার (৭ অক্টোবর) থেকেই রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের কোনো ফি দিতে হবে না। এছাড়া, বন্ধের দিনেও এক্সচেঞ্জ হাউজ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া দেশের বাইরে ছুটির দিনে নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউস খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বৈঠক শেষে সোনালী ব্যাংকের এমডি ও বাফেদার চেয়ারম্যান আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বাফেদা ও এবিবির ধারাবাহিক বৈঠকের মতোই আমাদের আজকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সর্বসম্মতিক্রমে এখন থেকে ব্যাংকগুলো ১০৭ টাকায় রেমিট্যান্স এবং ১০০ টাকায় রপ্তানি আয় সংগ্রহ করবে। পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুবিধার্থে রেমিট্যান্স পাঠানোর চার্জ মওকুফ করা হয়েছে। কোনো ধরনের খরচ ছাড়া আগামীকাল সোমবার (৬ অক্টোবর) থেকে প্রবাসীরা ছুটিরদিনগুলোতেও এখন রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন। কারণ ছুটির দিনেও এক্সচেঞ্জ হাউজ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে।

এর আগে ডলার সংকট নিরসনে গত ২৩ অক্টোবর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের বিপরীতে ডলার কেনার সর্বোচ্চ দর ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৭ টাকা করা হয়। আর রপ্তানি বিল ৫০ পয়সা বাড়িয়ে করা হয় ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা। যা গত ২৬ সেপ্টেম্বর এক সভায় ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা প্রবাসী আয়ে নির্ধারণ করা হয়। রপ্তানি আয়ে ৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আরও পড়ুন: মতিউল ইসলাম নওশাদ সিটি ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক

এছাড়া গত ১১ সেপ্টেম্বরে প্রথম ব্যাংকারদের সভায় এক্সপোর্ট প্রসিডে ৯৯ টাকা ও রেমিট্যান্সের ডলার ১০৮ টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে, বৈদেশিক মুদ্রার চরম সংকটের এই সময়ে বৈধ পথে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলোও তৎপরতা বাড়িয়েছে। তবে কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। হুন্ডির কবলে পড়ে প্রবাসী আয় ধারাবাহিকভাবে কমছে। অক্টোবরে রেমিট্যান্স কমে ১৫৩ কোটি ডলারের নিচে নেমেছে, যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে গড়ে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল। গত সেপ্টেম্বরে কমে তা ১৫৪ কোটি ডলারে নামে।

ঢাকা/এসএ