১১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

লেনদেন বাড়লে মার্জিন ঋণে ছাড়ও বাড়বে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩০:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ৪১৪৪ বার দেখা হয়েছে

যে সিকিউরিটিজ হাউজে যত বেশি লেনদেন করবে, মার্জিন ঋণে তত বেশি ছাড় পাবে। পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়াতে পাশাপাশি সিকিউরিটিজ হাউজগুলোকে উৎসাহ যোগাতে এ ধরনের নীতিগত অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও আইসিবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাদের অনুরোধে বিএসইসি লেনদেন অনুপাতে মার্জিন সীমা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে।

ফ্রি লিমিটের পরিমাণ ১০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

বর্তমানে ব্রোকারহাউজের ফ্রি লিমিটেড ১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ একটি ব্রোকারহাউজে একদিনে এই পরিমাণ লেনদেন হলে তার বিপরীতে স্টক এক্সচেঞ্জে আলাদা করে কোনো জামানত রাখতে হয় না। এর বেশি লেনদেন হলে লেনদেনের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পরিমাণের অর্থ জামানত রাখতে রাখতে হয়, যা মার্জিন হিসেবে পরিচিত।

যেসব ব্রোকারহাউজে বেশি লেনদেন হয়, সেগুলোকে বেশি পরিমাণে মার্জিন জমা রাখতে হয়। তাই বাড়তি লেনদেন মানেই প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর বাড়তি চাপ। অথচ এই বাড়তি লেনদেনের বিপরীতে হাওলা, লাগা ইত্যাদি বাবদ স্টক এক্সচেঞ্জের আয় বাড়ে। বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই বেশি লেনদেনে ব্রোকারহাউজগুলোকে উৎসাহিত করতে মার্জিনের শর্ত পরিবর্তন করার তাগিদ দিয়ে আসছিলেন সংশ্লিষ্টরা।

ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) তাদের মার্জিন ফ্রী লিমিট বাড়ানোর বিষয়ে কিছুদিন আগে বিএসইসিতে আবেদন করে। আজ বিএসইসির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্টেকহোল্ডাররা বিষয়টি তুলে ধরেন। এর প্রেক্ষিতে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেসব প্রতিষ্ঠান বেশি লেনদেন করে তাদেরকে সুযোগ-সুবিধা একটু বেশি দেয়া হবে।

যে ব্রোকারেজ হাউজ বেশি লেনদেন করবে, সেই ব্রোকারেজ হাউজ ততই ফ্রী মার্জিন ঋণের সুবিধা পাবে। এমন বিধান রেখে নতুন করে মার্জিন ফ্রী লিমিটের আইন সংশোধন করা হচ্ছে। সংশোধিত আইনে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে তিনটি ধাপে অর্থাৎ ১০ কোটি, ১৫কোটি এবং ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত মার্জিন ফ্রী দেয়ার মতামত দেয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে লেনদেনে অন্যতম শীর্ষ ব্রোকারহাউজ ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ, ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কম্পানি, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, আইডিএলসি সিকিউরিটিজসহ ৩০-৪০টি ব্রোকারেজ হাউজকে ২০ কোটি টাকা লেনদেন পর্যন্ত মার্জিন ফ্রী সুবিধা দে্ওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র।

এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ছানাউল হক বলেন, পুঁজিবাজারে এখন আগের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে। কিছু ব্রোকারেজহাউজ রয়েছে যেগুলোর লেনদেন কম।আবার কিছু হাউজ রয়েছে অনেক লেনদেন হচ্ছে। কিন্তু লেনদেনের উপর সবার মার্জিন ফ্রি সুবিধা একই।

আমরা চিন্তা করছি যে হাউজে লেনদেন বেশি হবে সেই হাউজ বেশি পরিমাণে মার্জিন ফ্রী সুবিধা পাবে। কমিশনে আজকে আমাদের এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি আমরা দ্রুত আইনটি সংশোধন করতে পারবো।

শেয়ার করুন

x
English Version

লেনদেন বাড়লে মার্জিন ঋণে ছাড়ও বাড়বে

আপডেট: ১২:৩০:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

যে সিকিউরিটিজ হাউজে যত বেশি লেনদেন করবে, মার্জিন ঋণে তত বেশি ছাড় পাবে। পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়াতে পাশাপাশি সিকিউরিটিজ হাউজগুলোকে উৎসাহ যোগাতে এ ধরনের নীতিগত অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও আইসিবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাদের অনুরোধে বিএসইসি লেনদেন অনুপাতে মার্জিন সীমা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে।

ফ্রি লিমিটের পরিমাণ ১০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

বর্তমানে ব্রোকারহাউজের ফ্রি লিমিটেড ১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ একটি ব্রোকারহাউজে একদিনে এই পরিমাণ লেনদেন হলে তার বিপরীতে স্টক এক্সচেঞ্জে আলাদা করে কোনো জামানত রাখতে হয় না। এর বেশি লেনদেন হলে লেনদেনের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পরিমাণের অর্থ জামানত রাখতে রাখতে হয়, যা মার্জিন হিসেবে পরিচিত।

যেসব ব্রোকারহাউজে বেশি লেনদেন হয়, সেগুলোকে বেশি পরিমাণে মার্জিন জমা রাখতে হয়। তাই বাড়তি লেনদেন মানেই প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর বাড়তি চাপ। অথচ এই বাড়তি লেনদেনের বিপরীতে হাওলা, লাগা ইত্যাদি বাবদ স্টক এক্সচেঞ্জের আয় বাড়ে। বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই বেশি লেনদেনে ব্রোকারহাউজগুলোকে উৎসাহিত করতে মার্জিনের শর্ত পরিবর্তন করার তাগিদ দিয়ে আসছিলেন সংশ্লিষ্টরা।

ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) তাদের মার্জিন ফ্রী লিমিট বাড়ানোর বিষয়ে কিছুদিন আগে বিএসইসিতে আবেদন করে। আজ বিএসইসির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্টেকহোল্ডাররা বিষয়টি তুলে ধরেন। এর প্রেক্ষিতে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেসব প্রতিষ্ঠান বেশি লেনদেন করে তাদেরকে সুযোগ-সুবিধা একটু বেশি দেয়া হবে।

যে ব্রোকারেজ হাউজ বেশি লেনদেন করবে, সেই ব্রোকারেজ হাউজ ততই ফ্রী মার্জিন ঋণের সুবিধা পাবে। এমন বিধান রেখে নতুন করে মার্জিন ফ্রী লিমিটের আইন সংশোধন করা হচ্ছে। সংশোধিত আইনে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে তিনটি ধাপে অর্থাৎ ১০ কোটি, ১৫কোটি এবং ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত মার্জিন ফ্রী দেয়ার মতামত দেয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে লেনদেনে অন্যতম শীর্ষ ব্রোকারহাউজ ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ, ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কম্পানি, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, আইডিএলসি সিকিউরিটিজসহ ৩০-৪০টি ব্রোকারেজ হাউজকে ২০ কোটি টাকা লেনদেন পর্যন্ত মার্জিন ফ্রী সুবিধা দে্ওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র।

এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ছানাউল হক বলেন, পুঁজিবাজারে এখন আগের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে। কিছু ব্রোকারেজহাউজ রয়েছে যেগুলোর লেনদেন কম।আবার কিছু হাউজ রয়েছে অনেক লেনদেন হচ্ছে। কিন্তু লেনদেনের উপর সবার মার্জিন ফ্রি সুবিধা একই।

আমরা চিন্তা করছি যে হাউজে লেনদেন বেশি হবে সেই হাউজ বেশি পরিমাণে মার্জিন ফ্রী সুবিধা পাবে। কমিশনে আজকে আমাদের এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি আমরা দ্রুত আইনটি সংশোধন করতে পারবো।