১১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠনে মন্ত্রণালয়ে বিনিয়োগকারীদের চিঠি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:২১:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০
  • / ৪৩৫৬ বার দেখা হয়েছে

টেকসই ও স্থায়ী স্থিতিশীল শেয়ারবাজার গঠনের লক্ষ্যে সরকারের কাছে বিনিয়োগকারীদের হয়ে লিখিত আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটির সভাপতি এ.কে.এম মিজান উর রশিদ চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বিনিয়োগকারীদের পক্ষে আবেদন পত্রটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।

আবেদন পত্রে ১৩টি দাবিসহ বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা দুর্বল ও ভূয়া কোম্পানীগুলোকে আইপিও অনুমোদন ও রাইট শেয়ার অনুমোদনের মাধ্যম্যে বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এই সংকটের ফলে বর্তমান সরকারের অনেক সাফল্য আজ ম্লান হতে চলছে। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, শেয়ারবাজার বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার সাথে সমন্বয় নেই। এই সমন্বয়হীনতায় নিজেদের দোষাদোষীর কারণে বাজারে বিভিন্ন সময় চধহরপ সৃষ্টি হয়। যার জন্য বার বার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পরও বাজার তার নির্দিষ্ট লক্ষে পৌছাতে পারছে না।

বাজার উন্নয়নে সংগঠনটির দাবী

* বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পুনঃগঠন করে অত্যন্ত দক্ষ, সৎ ও প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিশন পুনঃগঠন করতে হবে।
* যত্রতত্র বাজে কোম্পানীগুলোকে আইপিও অনুমোদন না দিয়ে ইউনিলিভার, নেসলের মত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীগুলোকে আইপিও অনুমোদন দিতে হবে।
* ইস্যু মূল্যের নিচে অবস্থান করা শেয়ারগুলো নিজ নিজ কোম্পানীগুলোর পরিচালনা পর্ষদকে ইস্যুমূল্যে শেয়ার বাইব্যাক করতে হবে। বাইব্যাক আইন পাশ করতে হবে।
* ২ সিসি আইনের বাস্তবায়ন করতে যে সকল কোম্পানীর উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যক্তিগতভাবে ২% সম্মিলিতভাবে ৩০% শেয়ার নেই, ঐ সকল উদ্যোক্তা পরিচালক কোম্পানীগুলোকে শেয়ার ধারন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
* প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং প্রেসমেন্ট শেয়ারের লকইন পিরিয়ড ৫ বছর করতে হবে।
* খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী শেয়ার বাজার কারসাজির সাথে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
* লিষ্টেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে ও আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ অডিট রিপোর্টের ব্যবস্থা করতে হবে।
* বঙ্গবন্ধু বর্ষে শেয়ারবাজার বিষয়ক সংস্থাগুলোকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
* মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে শেয়ারবাজারে সক্রিয় করা এবং প্রত্যেক ফান্ডের নূন্যতম ৮০% বাজারে বিনিয়োগ করতে হবে।
* সাধারণ বিনিয়োগকারীর আইপিও কোটা ৮০% করতে হবে এবং তালিকাভূক্ত কোম্পানীগুলোকে ১০% হারে লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে।
* জীবন বীমা খাতের বিপুল অলস ও সঞ্চিত অর্থের ৪০% শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে বাধ্য করুন।
* জীবন বাঁচাতে এবং ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার মামলা প্রত্যাহার ও পুলিশি হয়রানী বন্ধ করতে হবে।
* ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিপরীতে বঙ্গবন্ধু স্টক এক্সচেঞ্জ নামে বিকল্প স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, এর ফলে কারসাজী বন্ধ করা যাবে।

শেয়ার করুন

x
English Version

শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠনে মন্ত্রণালয়ে বিনিয়োগকারীদের চিঠি

আপডেট: ০৭:২১:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০

টেকসই ও স্থায়ী স্থিতিশীল শেয়ারবাজার গঠনের লক্ষ্যে সরকারের কাছে বিনিয়োগকারীদের হয়ে লিখিত আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটির সভাপতি এ.কে.এম মিজান উর রশিদ চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বিনিয়োগকারীদের পক্ষে আবেদন পত্রটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।

আবেদন পত্রে ১৩টি দাবিসহ বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা দুর্বল ও ভূয়া কোম্পানীগুলোকে আইপিও অনুমোদন ও রাইট শেয়ার অনুমোদনের মাধ্যম্যে বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এই সংকটের ফলে বর্তমান সরকারের অনেক সাফল্য আজ ম্লান হতে চলছে। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, শেয়ারবাজার বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার সাথে সমন্বয় নেই। এই সমন্বয়হীনতায় নিজেদের দোষাদোষীর কারণে বাজারে বিভিন্ন সময় চধহরপ সৃষ্টি হয়। যার জন্য বার বার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পরও বাজার তার নির্দিষ্ট লক্ষে পৌছাতে পারছে না।

বাজার উন্নয়নে সংগঠনটির দাবী

* বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পুনঃগঠন করে অত্যন্ত দক্ষ, সৎ ও প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিশন পুনঃগঠন করতে হবে।
* যত্রতত্র বাজে কোম্পানীগুলোকে আইপিও অনুমোদন না দিয়ে ইউনিলিভার, নেসলের মত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীগুলোকে আইপিও অনুমোদন দিতে হবে।
* ইস্যু মূল্যের নিচে অবস্থান করা শেয়ারগুলো নিজ নিজ কোম্পানীগুলোর পরিচালনা পর্ষদকে ইস্যুমূল্যে শেয়ার বাইব্যাক করতে হবে। বাইব্যাক আইন পাশ করতে হবে।
* ২ সিসি আইনের বাস্তবায়ন করতে যে সকল কোম্পানীর উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যক্তিগতভাবে ২% সম্মিলিতভাবে ৩০% শেয়ার নেই, ঐ সকল উদ্যোক্তা পরিচালক কোম্পানীগুলোকে শেয়ার ধারন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
* প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং প্রেসমেন্ট শেয়ারের লকইন পিরিয়ড ৫ বছর করতে হবে।
* খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী শেয়ার বাজার কারসাজির সাথে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
* লিষ্টেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে ও আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ অডিট রিপোর্টের ব্যবস্থা করতে হবে।
* বঙ্গবন্ধু বর্ষে শেয়ারবাজার বিষয়ক সংস্থাগুলোকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
* মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে শেয়ারবাজারে সক্রিয় করা এবং প্রত্যেক ফান্ডের নূন্যতম ৮০% বাজারে বিনিয়োগ করতে হবে।
* সাধারণ বিনিয়োগকারীর আইপিও কোটা ৮০% করতে হবে এবং তালিকাভূক্ত কোম্পানীগুলোকে ১০% হারে লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে।
* জীবন বীমা খাতের বিপুল অলস ও সঞ্চিত অর্থের ৪০% শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে বাধ্য করুন।
* জীবন বাঁচাতে এবং ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার মামলা প্রত্যাহার ও পুলিশি হয়রানী বন্ধ করতে হবে।
* ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিপরীতে বঙ্গবন্ধু স্টক এক্সচেঞ্জ নামে বিকল্প স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, এর ফলে কারসাজী বন্ধ করা যাবে।