১১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটলে যে উপকার পাবেন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:১৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৯৭ বার দেখা হয়েছে

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। স্বাস্থ্য সচেতন না হওয়ার কারণে সেটি আরও বাড়ছে। এমন অনেক কিছু আছে যার মাধ্যমে সহজে স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ভোরবেলায় খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটা। আমাদের এই নাগরিক জীবনে বিশাল জনগোষ্ঠীর পায়ের পেশি, হাড় ও রক্তনালির বিভিন্ন গুরুতর সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ডিউ ওয়াকিং বা খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটা খুবই উপকারী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

একটু সময় নিয়ে প্রতিদিন হাঁটতে পারলে বহু ধরনের সুফল রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। তারা বলছেন, ভোরের নির্মল দূষণমুক্ত বাতাসে বুক ভরে নিশ্বাস নেয়ার ফলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে দেহে রক্ত চলাচলও ভালো হয়। খালি পায়ে ভেজা ঘাসে হাঁটাহাঁটি করলে সারা শরীরে রক্তের পরিসঞ্চালন বাড়ে। এই পরিসঞ্চালনের মাধ্যমেই শিশির হাঁটা বা ডিউ ওয়াকিং এর সুফল পাওয়া যায়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পায়ের পাতার কাছের রক্তনালিগুলো ঠান্ডা শিশিরের সংস্পর্শে উদ্দীপিত ও সংকুচিত হয়। এতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার আশঙ্কায় শরীরের রক্তনালিগুলোতে সার্বিক ভাবে রক্তপ্রবাহে এক চনমনে ভাব জাগে। এভাবেই এই ডিউ ওয়াকিং আমাদের হৃদ্‌রোগ, রক্ত ঘন হয়ে আসার প্রবণতা, রক্তনালিতে চর্বি জমা, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

সরাসরি পায়ের পাতায় ভেজা ঘাসের স্পর্শ লাগার কারণে স্নায়ুতন্ত্র খুবই উপকৃত হয়। ভেজা ঘাসে পা ফেলার সঙ্গে সঙ্গে হাইড্রোথেরাপির মাধ্যমে স্নায়ুগুলো তরতাজা হয়ে ওঠে। এতে প্রোপ্রিয়োসেপ্টিন জাগ্রত হয় বা যে স্থানে আমরা অবস্থান করছি তা সম্পর্কে দেহে সঠিক অনুভূতি ও সচেতনতা সৃষ্টি হয়।

পায়ের রক্তনালির ক্ষীণ পরিসঞ্চালনের জন্য শেষ বয়সে অনেকেই ভেরিকোস ভেইন্স বা ফ্ল্যাট ফুট রোগে ভুগে থাকেন। এর ফলে খুঁড়িয়ে হাঁটেন অনেকেই, পঙ্গু হয়ে যান কেউ কেউ। অথচ সকালে বাইরে গিয়ে শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটার অভ্যাস থাকলে এই ভয়ংকর রোগগুলো থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। ডায়বেটিস জনিত স্নায়ুতন্ত্রের জড়তাতেও এর কার্যকারিতা পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন: ঘুমালে মুখ থেকে লালা পড়ার কারণ

এছাড়া মাথা ব্যথা মাইগ্রেনের জন্য ডিউ ওয়াকিং নামের এই হাইড্রোথেরাপি খুবই সুফল বয়ে আনতে পারে। খুব শক্ত প্রমাণ না পেলেও, বেশির ভাগ গবেষকেরই মতামত হচ্ছে, সবুজ গাছগাছালি, মাঠ, ঘাসের দিকে তাকিয়ে থাকলে দৃষ্টি শক্তি বাড়ে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে ডিউ ওয়াকিং এর ভূমিকা অনেক।

ভোরবেলা ঘাসে খালি পায়ে হাঁটলে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। অবসাদগ্রস্ত মন নিমেষেই ভালো করে দিতে পারে এই অভ্যাস। অন্যদিকে খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটার কারণে সেরাটোনিন হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এই হরমোনটি ‘ফিল গুড হরমোন’ হরমোন নামে পরিচিত। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই হরমোন থাকলে মন-মেজাজ ফুরফুরে থাকে।

ঢাকা/কেএ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটলে যে উপকার পাবেন

আপডেট: ০৭:১৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। স্বাস্থ্য সচেতন না হওয়ার কারণে সেটি আরও বাড়ছে। এমন অনেক কিছু আছে যার মাধ্যমে সহজে স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ভোরবেলায় খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটা। আমাদের এই নাগরিক জীবনে বিশাল জনগোষ্ঠীর পায়ের পেশি, হাড় ও রক্তনালির বিভিন্ন গুরুতর সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ডিউ ওয়াকিং বা খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটা খুবই উপকারী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

একটু সময় নিয়ে প্রতিদিন হাঁটতে পারলে বহু ধরনের সুফল রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। তারা বলছেন, ভোরের নির্মল দূষণমুক্ত বাতাসে বুক ভরে নিশ্বাস নেয়ার ফলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে দেহে রক্ত চলাচলও ভালো হয়। খালি পায়ে ভেজা ঘাসে হাঁটাহাঁটি করলে সারা শরীরে রক্তের পরিসঞ্চালন বাড়ে। এই পরিসঞ্চালনের মাধ্যমেই শিশির হাঁটা বা ডিউ ওয়াকিং এর সুফল পাওয়া যায়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পায়ের পাতার কাছের রক্তনালিগুলো ঠান্ডা শিশিরের সংস্পর্শে উদ্দীপিত ও সংকুচিত হয়। এতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার আশঙ্কায় শরীরের রক্তনালিগুলোতে সার্বিক ভাবে রক্তপ্রবাহে এক চনমনে ভাব জাগে। এভাবেই এই ডিউ ওয়াকিং আমাদের হৃদ্‌রোগ, রক্ত ঘন হয়ে আসার প্রবণতা, রক্তনালিতে চর্বি জমা, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

সরাসরি পায়ের পাতায় ভেজা ঘাসের স্পর্শ লাগার কারণে স্নায়ুতন্ত্র খুবই উপকৃত হয়। ভেজা ঘাসে পা ফেলার সঙ্গে সঙ্গে হাইড্রোথেরাপির মাধ্যমে স্নায়ুগুলো তরতাজা হয়ে ওঠে। এতে প্রোপ্রিয়োসেপ্টিন জাগ্রত হয় বা যে স্থানে আমরা অবস্থান করছি তা সম্পর্কে দেহে সঠিক অনুভূতি ও সচেতনতা সৃষ্টি হয়।

পায়ের রক্তনালির ক্ষীণ পরিসঞ্চালনের জন্য শেষ বয়সে অনেকেই ভেরিকোস ভেইন্স বা ফ্ল্যাট ফুট রোগে ভুগে থাকেন। এর ফলে খুঁড়িয়ে হাঁটেন অনেকেই, পঙ্গু হয়ে যান কেউ কেউ। অথচ সকালে বাইরে গিয়ে শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটার অভ্যাস থাকলে এই ভয়ংকর রোগগুলো থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। ডায়বেটিস জনিত স্নায়ুতন্ত্রের জড়তাতেও এর কার্যকারিতা পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন: ঘুমালে মুখ থেকে লালা পড়ার কারণ

এছাড়া মাথা ব্যথা মাইগ্রেনের জন্য ডিউ ওয়াকিং নামের এই হাইড্রোথেরাপি খুবই সুফল বয়ে আনতে পারে। খুব শক্ত প্রমাণ না পেলেও, বেশির ভাগ গবেষকেরই মতামত হচ্ছে, সবুজ গাছগাছালি, মাঠ, ঘাসের দিকে তাকিয়ে থাকলে দৃষ্টি শক্তি বাড়ে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে ডিউ ওয়াকিং এর ভূমিকা অনেক।

ভোরবেলা ঘাসে খালি পায়ে হাঁটলে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। অবসাদগ্রস্ত মন নিমেষেই ভালো করে দিতে পারে এই অভ্যাস। অন্যদিকে খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটার কারণে সেরাটোনিন হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এই হরমোনটি ‘ফিল গুড হরমোন’ হরমোন নামে পরিচিত। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই হরমোন থাকলে মন-মেজাজ ফুরফুরে থাকে।

ঢাকা/কেএ