১২:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

শেয়ারবাজারের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরালো করা হয়েছে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:২৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৪১১০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আমরা কঠোরভাবে শেয়ারবাজার মনিটর করি। এখানে ২০১০ সালের ধসের পুনরাবৃত্তি হওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) ‘এসএমই খাতের উন্নয়নে পুঁজিবাজারের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘যেকোনো ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পরিচর্যা ও সুপারভিশনের (তত্ত্বাবধান) দরকার। এজন্য আমাদেরকেও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো দেখভাল করতে হয়। তা করতে গিয়ে অনেক কোম্পানির বিশেষ নিরীক্ষাও করতে হয়। সেখানে এমন তথ্য উঠে আসে, যা দেখে নিজেরাই ভয় পেয়ে যাই।’

বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন অসংখ্য কোম্পানির সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বৈঠকে বসি। কোম্পানি কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা বা মনোভাব দেখার চেষ্টা করি। অনেক কোম্পানির ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা পাচার এবং অনেক কোম্পানির ক্ষেত্রে আবার সত্যিই ব্যবসা খারাপ হওয়ার মতো ঘটনা দেখতে পাই। এক্ষেত্রে যে কোম্পানির জন্য যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তাই নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা পাচারকারীদের শাস্তি দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

শেয়ারবাজারে ওঠা-নামা স্বাভাবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বাজারের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় বিক্রি করেন এবং নিম্নমুখী অবস্থায় ক্রয় করেন। এটাই উচিত। কিন্তু আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের আচরণ উল্টো। শেয়ারবাজারে সূচক বাড়ার পরে কিছুটা কমতে পারে। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের বিনিয়োগকারীরা অল্পতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিন্তু পড়তি বাজারে কেনা শুরু করলে বাজারে উঠে যাবে। কে কোন সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করে, সেটা আমরা দেখি না বা কারও পোর্টফোলিও ম্যানেজ করি না। অথচ বিনিয়োগকারীরা লোকসান করলেই আমাদের দোষারোপ করে, কিন্তু লাভ করলে আবার কিছু বলে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্ব অনেক। আমরা এ খাত এগিয়ে নিতে কাজ করছি। এখন শেয়ারবাজার থেকে এসএমই খাতের কোম্পানিগুলো অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। এক্ষেত্রে মূল মার্কেটের তুলনায় অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও সুবিধা দেওয়া হবে।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘শেয়ারবাজারে এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনে গতি ফেরাতে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে, এমন বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন। অন্যথায় এ খাতে লেনদেনে গতি ফিরবে না। একই সঙ্গে এ খাতের উন্নয়নে প্রথম দুই বছর কোম্পানিগুলোকে লভ্যাংশ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।’

সেমিনারে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়াসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x
English Version

শেয়ারবাজারের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরালো করা হয়েছে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

আপডেট: ১০:২৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আমরা কঠোরভাবে শেয়ারবাজার মনিটর করি। এখানে ২০১০ সালের ধসের পুনরাবৃত্তি হওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) ‘এসএমই খাতের উন্নয়নে পুঁজিবাজারের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘যেকোনো ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পরিচর্যা ও সুপারভিশনের (তত্ত্বাবধান) দরকার। এজন্য আমাদেরকেও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো দেখভাল করতে হয়। তা করতে গিয়ে অনেক কোম্পানির বিশেষ নিরীক্ষাও করতে হয়। সেখানে এমন তথ্য উঠে আসে, যা দেখে নিজেরাই ভয় পেয়ে যাই।’

বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন অসংখ্য কোম্পানির সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বৈঠকে বসি। কোম্পানি কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা বা মনোভাব দেখার চেষ্টা করি। অনেক কোম্পানির ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা পাচার এবং অনেক কোম্পানির ক্ষেত্রে আবার সত্যিই ব্যবসা খারাপ হওয়ার মতো ঘটনা দেখতে পাই। এক্ষেত্রে যে কোম্পানির জন্য যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তাই নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা পাচারকারীদের শাস্তি দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

শেয়ারবাজারে ওঠা-নামা স্বাভাবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বাজারের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় বিক্রি করেন এবং নিম্নমুখী অবস্থায় ক্রয় করেন। এটাই উচিত। কিন্তু আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের আচরণ উল্টো। শেয়ারবাজারে সূচক বাড়ার পরে কিছুটা কমতে পারে। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের বিনিয়োগকারীরা অল্পতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিন্তু পড়তি বাজারে কেনা শুরু করলে বাজারে উঠে যাবে। কে কোন সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করে, সেটা আমরা দেখি না বা কারও পোর্টফোলিও ম্যানেজ করি না। অথচ বিনিয়োগকারীরা লোকসান করলেই আমাদের দোষারোপ করে, কিন্তু লাভ করলে আবার কিছু বলে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্ব অনেক। আমরা এ খাত এগিয়ে নিতে কাজ করছি। এখন শেয়ারবাজার থেকে এসএমই খাতের কোম্পানিগুলো অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। এক্ষেত্রে মূল মার্কেটের তুলনায় অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও সুবিধা দেওয়া হবে।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘শেয়ারবাজারে এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনে গতি ফেরাতে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে, এমন বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন। অন্যথায় এ খাতে লেনদেনে গতি ফিরবে না। একই সঙ্গে এ খাতের উন্নয়নে প্রথম দুই বছর কোম্পানিগুলোকে লভ্যাংশ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।’

সেমিনারে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়াসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসআর