০৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৬.২৫ শতাংশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৪২ বার দেখা হয়েছে

প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সব সূচক কমেছে এবং কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। গেল সপ্তাহে ডিএসই বিনিয়োগকারীরা ৯ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল৫ লাখ ১ হাজার ৭০৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৯২ হাজার ২৮৯ কোটি ৫ লাখ ২১ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা ৯ হাজার ৪২০ কোটি ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা বাজার মূলধন কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭ হাজার ৮২৪ কোটি ৮৭ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৫১৮ কোটি ৪২ লাখ ৪ হাজার ৪৭২ টাকা বা ১৬.২৫ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯ হাজার ৩৪৩ কোটি ২৯ লাখ ৪৬ হাজার ৯২১ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৬৪ কোটি ৯৭ লাখ ৪৮ হাজার ৪৯০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৬৮ কোটি ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩৮৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩০৩ কোটি ৬৮ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৪ টাকা কম হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৩ পয়েন্ট বা ১.২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৩৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৮ পয়েন্ট বা ২.১৮ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৮ পয়েন্ট বা ১.২৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৯৪ পয়েন্টে এবং ২২০৮ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৪টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৪টির বা ২৩.০৭ শতাংশের, কমেছে ২২৯টির বা ৬২.৯২ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির বা ১৪.০১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪৫৩ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৬৯২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৪১ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১২ কোটি ৬২ লাখ ১৬ হাজার ৭৯৬ টাকা বা ২.৮৬ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০৪ পয়েন্ট বা ১.১৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২১ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১১৮ পয়েন্ট বা ১.১৪ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১৯৫ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৫ পয়েন্ট বা ১.২২ শতাংশ এবং সিএসআই ১৩ পয়েন্ট বা ১.২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০ হাজার ২৭২ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৪০৫ পয়েন্টে, ১ হাজার ২৯৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮৩টির বা ২৬.৫১ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৮৫টির বা ৫৯.১০ শতাংশের কমেছে এবং ৪৫টির বা ১৪.৩৭ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

শেয়ার করুন

x
English Version

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৬.২৫ শতাংশ

আপডেট: ১০:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১

প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সব সূচক কমেছে এবং কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। গেল সপ্তাহে ডিএসই বিনিয়োগকারীরা ৯ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল৫ লাখ ১ হাজার ৭০৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৯২ হাজার ২৮৯ কোটি ৫ লাখ ২১ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা ৯ হাজার ৪২০ কোটি ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা বাজার মূলধন কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭ হাজার ৮২৪ কোটি ৮৭ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৫১৮ কোটি ৪২ লাখ ৪ হাজার ৪৭২ টাকা বা ১৬.২৫ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯ হাজার ৩৪৩ কোটি ২৯ লাখ ৪৬ হাজার ৯২১ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৬৪ কোটি ৯৭ লাখ ৪৮ হাজার ৪৯০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৬৮ কোটি ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩৮৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩০৩ কোটি ৬৮ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৪ টাকা কম হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৩ পয়েন্ট বা ১.২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৩৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৮ পয়েন্ট বা ২.১৮ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৮ পয়েন্ট বা ১.২৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৯৪ পয়েন্টে এবং ২২০৮ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৪টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৪টির বা ২৩.০৭ শতাংশের, কমেছে ২২৯টির বা ৬২.৯২ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির বা ১৪.০১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪৫৩ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৬৯২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৪১ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১২ কোটি ৬২ লাখ ১৬ হাজার ৭৯৬ টাকা বা ২.৮৬ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০৪ পয়েন্ট বা ১.১৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২১ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১১৮ পয়েন্ট বা ১.১৪ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১৯৫ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৫ পয়েন্ট বা ১.২২ শতাংশ এবং সিএসআই ১৩ পয়েন্ট বা ১.২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০ হাজার ২৭২ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৪০৫ পয়েন্টে, ১ হাজার ২৯৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮৩টির বা ২৬.৫১ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৮৫টির বা ৫৯.১০ শতাংশের কমেছে এবং ৪৫টির বা ১৪.৩৭ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।