০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৬৯ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এই লকডাউনের মধ্যে গত সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী ধারায় পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়ে গেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গেল সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকে। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। সেইসঙ্গে বেড়েছে সবক’টি মূল্যসূচক। পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসই-এর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ৫৯ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৫ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। অবশ্য আগের চার সপ্তাহ টানা এই সূচকটি কমে। আগের চার সপ্তাহের টানা পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে ৩১৪ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট।

প্রধান মূল্যসূচকরে পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গেল সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৭ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৬ শতাংশ। অবশ্য তার আগের তিন সপ্তাহের টানা পতনে সূচকটি কমে ১৭১ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট।

অপরদিকে ইসলামী শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহে বেড়েছে ১১ দশমিক ৪২ পয়েন্ট। এর আগের চার সপ্তাহ সূচকটির পতন হয়। এই টানা পতনে সূচকটি কমে ৬৮ দশমিক ১১ পয়েন্ট।

সবকটি মূল্যসূচকের উত্থানের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২১৭টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ৯০টির। আর ৬০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫০৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৬৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৩২৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৩০৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। মোট লেনদেন কমার কারণ গত সপ্তাহের এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়।

গত সপ্তাহে ডিএসইর মূল বাজারে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, রবি, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স, এশিয়া প্যাসেফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে

আপডেট: ১২:০৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এই লকডাউনের মধ্যে গত সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী ধারায় পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়ে গেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গেল সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকে। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। সেইসঙ্গে বেড়েছে সবক’টি মূল্যসূচক। পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসই-এর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ৫৯ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৫ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। অবশ্য আগের চার সপ্তাহ টানা এই সূচকটি কমে। আগের চার সপ্তাহের টানা পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে ৩১৪ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট।

প্রধান মূল্যসূচকরে পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গেল সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৭ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৬ শতাংশ। অবশ্য তার আগের তিন সপ্তাহের টানা পতনে সূচকটি কমে ১৭১ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট।

অপরদিকে ইসলামী শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহে বেড়েছে ১১ দশমিক ৪২ পয়েন্ট। এর আগের চার সপ্তাহ সূচকটির পতন হয়। এই টানা পতনে সূচকটি কমে ৬৮ দশমিক ১১ পয়েন্ট।

সবকটি মূল্যসূচকের উত্থানের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২১৭টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ৯০টির। আর ৬০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫০৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৬৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৩২৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৩০৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। মোট লেনদেন কমার কারণ গত সপ্তাহের এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়।

গত সপ্তাহে ডিএসইর মূল বাজারে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, রবি, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স, এশিয়া প্যাসেফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।

ঢাকা/এসএ