০২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

সব আমলেই আ’লীগ নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:২১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২
  • / ৪১১৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর উপর অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে। জেল জুলুম হয়েছে। অনেক মানুষ মারা গেছে, অনেক লাশ হারিয়ে গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, এরশাদ, জিয়া সব আমলেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু শত নির্যাতনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে সব সময় শক্তিশালী ছিল। বিশেষ করে আমাদের মাঠ কর্মীরা সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারাই কিন্তু দলকে ধরে রেখেছেন।

সোমবার নিজ নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এর আগে তিনি নব নির্মিত টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধন করেন। পরে সেখানেই নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় দক্ষিণ ও উত্তর অঞ্চলের অতীত অবস্থার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে আমি যখন দেশে ফিরে আসি তখন সবচেয়ে অবহেলিত ছিল দক্ষিণাঞ্চল। উত্তরাঞ্চল ছিল মঙ্গা কবলিত এলাকা। তখন কোনো মানুষের গায়ে মাংস ছিল না। তাদের খাবার ছিল না। রোগের চিকিৎসা ছিল না। আর প্রতিবছর দুর্ভিক্ষ হতো। তখন থেকে আমার একটা প্রতিজ্ঞা ছিল, যখন সুযোগ পাবো তখন দেশের জন্য কাজ করব। এখন উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা নাই। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলেও ব্যাপক উন্নয়ন হবে।

এ সময় শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপি, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল বিশ্বাস সহ টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে সঙ্গে নিয়ে সড়কপথে পিতৃভূমি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আসেন।

দুপুর পৌঁনে ১২টায় প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার মহান স্থপতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। এ সময় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী ছেলে জয় ও মেয়ে পুতুলকে সঙ্গে নিয়ে পবিত্র ফাতেহা পাঠ, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এ ছাড়া মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্যদের সুস্থতা, দীর্ঘায়ু, দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

এর আগে সকালে গণভবন থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে সড়কপথে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ৮টা ৪৮ মিনিটে মাওয়া টোল প্লাজায় পদ্মা সেতুর টোল দিয়ে তিনি সেতুতে উঠেন। সেতুর মাঝামাঝি গিয়ে সন্তানদের নিয়ে কিছু সময় পার করেন তিনি। সোয়া ৯টার দিকে তিনি জাজিরা প্রান্তে যান । সেখানে সেতুর উদ্বোধনী  ফলকের সামনে কিছু সময় দাঁড়ান। এরপর বিশ্রাম নেন জাজিরা প্রান্তের সার্ভিস এরিয়া-২ এ।

উদ্বোধনের পর পদ্মা সেতু দিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় এটিই প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত প্রথম সফর। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা জুড়ে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। টুঙ্গিপাড়া সেজে ওঠে বর্ণিল সাজে। নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা দেয়। পরে বিকেল ৩টা ২৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করেন। 

মধুমতী ভ্রমণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধুমতী নদী ভ্রমণের কর্মসূচি থকলেও তিনি তাতে অংশ নেননি। তাঁর ছেলে ও মেয়ে এরং পরিবারের সদস্যরা মধুমতী নদীতে নৌ ভ্রমণ করেছেন। তাঁরা এ সময় পাটাগাতী লঞ্চঘাটে নবনির্মিত দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শন করেন।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

সব আমলেই আ’লীগ নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৬:২১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর উপর অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে। জেল জুলুম হয়েছে। অনেক মানুষ মারা গেছে, অনেক লাশ হারিয়ে গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, এরশাদ, জিয়া সব আমলেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু শত নির্যাতনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে সব সময় শক্তিশালী ছিল। বিশেষ করে আমাদের মাঠ কর্মীরা সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারাই কিন্তু দলকে ধরে রেখেছেন।

সোমবার নিজ নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এর আগে তিনি নব নির্মিত টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধন করেন। পরে সেখানেই নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় দক্ষিণ ও উত্তর অঞ্চলের অতীত অবস্থার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে আমি যখন দেশে ফিরে আসি তখন সবচেয়ে অবহেলিত ছিল দক্ষিণাঞ্চল। উত্তরাঞ্চল ছিল মঙ্গা কবলিত এলাকা। তখন কোনো মানুষের গায়ে মাংস ছিল না। তাদের খাবার ছিল না। রোগের চিকিৎসা ছিল না। আর প্রতিবছর দুর্ভিক্ষ হতো। তখন থেকে আমার একটা প্রতিজ্ঞা ছিল, যখন সুযোগ পাবো তখন দেশের জন্য কাজ করব। এখন উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা নাই। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলেও ব্যাপক উন্নয়ন হবে।

এ সময় শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপি, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল বিশ্বাস সহ টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে সঙ্গে নিয়ে সড়কপথে পিতৃভূমি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আসেন।

দুপুর পৌঁনে ১২টায় প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার মহান স্থপতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। এ সময় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী ছেলে জয় ও মেয়ে পুতুলকে সঙ্গে নিয়ে পবিত্র ফাতেহা পাঠ, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এ ছাড়া মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্যদের সুস্থতা, দীর্ঘায়ু, দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

এর আগে সকালে গণভবন থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে সড়কপথে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ৮টা ৪৮ মিনিটে মাওয়া টোল প্লাজায় পদ্মা সেতুর টোল দিয়ে তিনি সেতুতে উঠেন। সেতুর মাঝামাঝি গিয়ে সন্তানদের নিয়ে কিছু সময় পার করেন তিনি। সোয়া ৯টার দিকে তিনি জাজিরা প্রান্তে যান । সেখানে সেতুর উদ্বোধনী  ফলকের সামনে কিছু সময় দাঁড়ান। এরপর বিশ্রাম নেন জাজিরা প্রান্তের সার্ভিস এরিয়া-২ এ।

উদ্বোধনের পর পদ্মা সেতু দিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় এটিই প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত প্রথম সফর। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা জুড়ে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। টুঙ্গিপাড়া সেজে ওঠে বর্ণিল সাজে। নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা দেয়। পরে বিকেল ৩টা ২৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করেন। 

মধুমতী ভ্রমণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধুমতী নদী ভ্রমণের কর্মসূচি থকলেও তিনি তাতে অংশ নেননি। তাঁর ছেলে ও মেয়ে এরং পরিবারের সদস্যরা মধুমতী নদীতে নৌ ভ্রমণ করেছেন। তাঁরা এ সময় পাটাগাতী লঞ্চঘাটে নবনির্মিত দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শন করেন।

ঢাকা/এসএম