০১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে নতুন নির্দেশনা: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২
  • / ৪১৩০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি নতুন নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ অনুযায়ী পাঁচ বছর পর পর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল ও স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ নিয়ম মানছেন না, এ বিষয়ে এতোদিন সরকারেরও কোনো তদারকি ছিল না।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসনের পরিপ্রেক্ষিতে বিধিমালাটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্পদ বিবরণী দাখিল ও স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির নিয়ম মানতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের কাছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের ২৪ জুন চিঠি পাঠানো হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ চিঠির পর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর অধীন দপ্তর-সংস্থাসহ নিজেদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাগিদ দিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু সম্পদের হিসাব দিতে সাড়া নেই সরকারি চাকুরেদের।

এ প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়া বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর আওতাভুক্ত সব সরকারি কর্মকর্তা তাদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল, উক্ত সম্পদ বিবরণী ডাটাবেজ তৈরি ও নিয়ন্ত্রণকারী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় থেকে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন/বিক্রয়ের বিষয়ে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ এর ১১, ১২ ও ১৩ বিধি প্রতিপালন পূর্বক এ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে পুনরায় অনুরোধ করা হলো।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়া নিয়ে একটি ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডাটাবেজ থেকে যাতে সহজে বুঝা যায়, নিয়ম অনুযায়ী কোন কোন কর্মচারীকে হিসাব জমা দিতে হবে, কে জমা দিয়েছে কিংবা কে জমা দেয়নি। সহজে হিসাব জমা দেওয়ার জন্য একটি ফরমও প্রস্তুত করা হচ্ছে।

গত বছরের ২৪ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-৪ শাখার চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ এর বিধি ১১, ১২ ও ১৩-তে সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, বিক্রয় ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সুশাসন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী উল্লিখিত বিধিসমূহ কার্যকরভাবে কর্মকর্তাদের অনুসরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে জোর নির্দেশনা দিয়েছে।

এমতাবস্থায়, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর আওতাভুক্তদের তাদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/দপ্তর/অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত সব সরকারি কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী দাখিল, উক্ত সম্পদ বিবরণীর ডাটাবেজ তৈরি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও বিক্রয়ের অনুমতি নেওয়ার বিষয়ে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ এর ১১, ১২ এবং ১৩ বিধি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিপালনের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।

এছাড়া সরকারি কর্মচারীর জমি/বাড়ি/ফ্ল্যাট/সম্পত্তি ক্রয় বা অর্জন ও বিক্রির অনুমতির জন্য আবেদনপত্রের নমুনা ফরম ও বিদ্যমান সম্পদ বিবরণী দাখিলের ছকও চিঠির সঙ্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে নতুন নির্দেশনা: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

আপডেট: ১১:৪৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি নতুন নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ অনুযায়ী পাঁচ বছর পর পর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল ও স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ নিয়ম মানছেন না, এ বিষয়ে এতোদিন সরকারেরও কোনো তদারকি ছিল না।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসনের পরিপ্রেক্ষিতে বিধিমালাটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্পদ বিবরণী দাখিল ও স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির নিয়ম মানতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের কাছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের ২৪ জুন চিঠি পাঠানো হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ চিঠির পর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর অধীন দপ্তর-সংস্থাসহ নিজেদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাগিদ দিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু সম্পদের হিসাব দিতে সাড়া নেই সরকারি চাকুরেদের।

এ প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়া বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর আওতাভুক্ত সব সরকারি কর্মকর্তা তাদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল, উক্ত সম্পদ বিবরণী ডাটাবেজ তৈরি ও নিয়ন্ত্রণকারী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় থেকে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন/বিক্রয়ের বিষয়ে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ এর ১১, ১২ ও ১৩ বিধি প্রতিপালন পূর্বক এ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে পুনরায় অনুরোধ করা হলো।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়া নিয়ে একটি ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডাটাবেজ থেকে যাতে সহজে বুঝা যায়, নিয়ম অনুযায়ী কোন কোন কর্মচারীকে হিসাব জমা দিতে হবে, কে জমা দিয়েছে কিংবা কে জমা দেয়নি। সহজে হিসাব জমা দেওয়ার জন্য একটি ফরমও প্রস্তুত করা হচ্ছে।

গত বছরের ২৪ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-৪ শাখার চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ এর বিধি ১১, ১২ ও ১৩-তে সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, বিক্রয় ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সুশাসন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী উল্লিখিত বিধিসমূহ কার্যকরভাবে কর্মকর্তাদের অনুসরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে জোর নির্দেশনা দিয়েছে।

এমতাবস্থায়, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর আওতাভুক্তদের তাদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/দপ্তর/অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত সব সরকারি কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী দাখিল, উক্ত সম্পদ বিবরণীর ডাটাবেজ তৈরি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও বিক্রয়ের অনুমতি নেওয়ার বিষয়ে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ এর ১১, ১২ এবং ১৩ বিধি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিপালনের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।

এছাড়া সরকারি কর্মচারীর জমি/বাড়ি/ফ্ল্যাট/সম্পত্তি ক্রয় বা অর্জন ও বিক্রির অনুমতির জন্য আবেদনপত্রের নমুনা ফরম ও বিদ্যমান সম্পদ বিবরণী দাখিলের ছকও চিঠির সঙ্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/টিএ