০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

সরকারি প্রতিষ্ঠানে গাড়ি কেনা আরও ৬ মাস বন্ধ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:১৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১২১ বার দেখা হয়েছে

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কোনো ধরনের গাড়ি না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়ের আওতায় নতুন বা প্রতিস্থাপক হিসেবে গাড়ি কেনা স্থগিত থাকবে। ফলে এই অর্থবছরে সরকার গাড়ি কেনা বাবদ কোনো খরচ করবে না।

এর আগে অর্থবছরের শুরুর মাস জুলাইয়ে এক প্রজ্ঞাপনে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো গাড়ি কেনা হবে না বলে জানিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। গতকালের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপে সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও সরকারের ব্যয় কমানোর নীতির আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কবিরুল ইজদানী খান সমকালকে বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার কৃচ্ছ্র সাধন নীতি নিয়েছে। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর গাড়ি কেনা আরও ছয় মাস স্থগিত করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য যে ব্যয় হয় তাকে পরিচালন ব্যয় বলা হয়। আর উন্নয়ন প্রকল্প বা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ব্যয়কে বলা হয় উন্নয়ন ব্যয়। সাধারণত সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য স্থায়ীভাবে গাড়ি কেনে। আর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের গাড়ি কেনা হয়ে থাকে। করোনাভাইরাসের কারণে রাজস্ব আয় কম হওয়ার আশঙ্কা করছে সরকার। এ জন্য যেসব ব্যয় না করে কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব তেমন ব্যয় না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারির প্রভাবে অর্থনীতির দুরবস্থার মধ্যে সরকারি ব্যয় কমাতে বিভিন্ন মহলের পরামর্শও রয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পগুলোতে গাড়ি বাবদ অনেক ব্যয় হয়ে থাকে। কিন্তু প্রকল্প শেষে ওই গাড়ির প্রয়োজনীয়তা থাকে না। আবার গাড়ি কেনার চেয়ে এর পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও জ্বালানি বাবদ খরচ হয় অনেক বেশি। এসব ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও পাওয়া যায়। এ জন্য আগে থেকেই উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গাড়ি কেনা বন্ধ রেখেছে সরকার। 

এর পরিবর্তে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে গাড়ি ও চালক ভাড়া নিয়ে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে কোনো কোনো প্রকল্পে বিশেষ প্রয়োজনে গাড়ি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। সরকার যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই এসব গাড়ি কেনাও বন্ধ থাকবে। প্রকল্পে গাড়ি ভাড়া নেওয়াও বন্ধ থাকা উচিত বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

x
English Version

সরকারি প্রতিষ্ঠানে গাড়ি কেনা আরও ৬ মাস বন্ধ

আপডেট: ১১:১৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কোনো ধরনের গাড়ি না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়ের আওতায় নতুন বা প্রতিস্থাপক হিসেবে গাড়ি কেনা স্থগিত থাকবে। ফলে এই অর্থবছরে সরকার গাড়ি কেনা বাবদ কোনো খরচ করবে না।

এর আগে অর্থবছরের শুরুর মাস জুলাইয়ে এক প্রজ্ঞাপনে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো গাড়ি কেনা হবে না বলে জানিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। গতকালের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপে সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও সরকারের ব্যয় কমানোর নীতির আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কবিরুল ইজদানী খান সমকালকে বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার কৃচ্ছ্র সাধন নীতি নিয়েছে। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর গাড়ি কেনা আরও ছয় মাস স্থগিত করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য যে ব্যয় হয় তাকে পরিচালন ব্যয় বলা হয়। আর উন্নয়ন প্রকল্প বা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ব্যয়কে বলা হয় উন্নয়ন ব্যয়। সাধারণত সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য স্থায়ীভাবে গাড়ি কেনে। আর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের গাড়ি কেনা হয়ে থাকে। করোনাভাইরাসের কারণে রাজস্ব আয় কম হওয়ার আশঙ্কা করছে সরকার। এ জন্য যেসব ব্যয় না করে কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব তেমন ব্যয় না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারির প্রভাবে অর্থনীতির দুরবস্থার মধ্যে সরকারি ব্যয় কমাতে বিভিন্ন মহলের পরামর্শও রয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পগুলোতে গাড়ি বাবদ অনেক ব্যয় হয়ে থাকে। কিন্তু প্রকল্প শেষে ওই গাড়ির প্রয়োজনীয়তা থাকে না। আবার গাড়ি কেনার চেয়ে এর পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও জ্বালানি বাবদ খরচ হয় অনেক বেশি। এসব ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও পাওয়া যায়। এ জন্য আগে থেকেই উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গাড়ি কেনা বন্ধ রেখেছে সরকার। 

এর পরিবর্তে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে গাড়ি ও চালক ভাড়া নিয়ে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে কোনো কোনো প্রকল্পে বিশেষ প্রয়োজনে গাড়ি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। সরকার যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই এসব গাড়ি কেনাও বন্ধ থাকবে। প্রকল্পে গাড়ি ভাড়া নেওয়াও বন্ধ থাকা উচিত বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা।