০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

সর্বোচ্চ লেনদেনে পুঁজিবাজার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • / ৪৪৩৫ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেষ ২৭ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের বড় উত্থান হলেও এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। মূল্যসূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩৩৪টি প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট। এর মধ্যে ৯১টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৭টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিটের। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির। বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আজ আগের দিনের তুলনায় ২৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুই মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৭৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনও কমেছে। দিনের লেনদেন শেষ ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবস শেষে ছিল ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজারটির বাজার মূলধন কমেছে ৭৩১ কোটি টাকা।

বাজার মূলধন ও মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর এই শেয়ার বাজারে লেনদেন হয়েছে ৯০০ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার। বাজারটিতে এর আগে গত ২৫ জুলাই ৯শ’ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল। সে হিসাবে প্রায় দেড় মাস পর আজ ডিএসইতে আবারও ৯শ’ কোটি টাকার উপরে লেনদেন হলো।

এদিন টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে অ্যাকটিভ ফাইনের শেয়ার। আজ কোম্পানিটির ৭১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কেপিসিএলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকার। ৪৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সায়হাম টেক্সটাইল।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ড্রাগণ সোয়েটার, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, সামিট পাওয়ার, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, কনফিডেন্স সিমেন্ট, বিএফএস থ্রেড ডাইং এবং আমান ফিড।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৫৩ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন হওয়া ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৬টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির দাম।

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

সর্বোচ্চ লেনদেনে পুঁজিবাজার

আপডেট: ০৩:০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেষ ২৭ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের বড় উত্থান হলেও এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। মূল্যসূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩৩৪টি প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট। এর মধ্যে ৯১টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৭টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিটের। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির। বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আজ আগের দিনের তুলনায় ২৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুই মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৭৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনও কমেছে। দিনের লেনদেন শেষ ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবস শেষে ছিল ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজারটির বাজার মূলধন কমেছে ৭৩১ কোটি টাকা।

বাজার মূলধন ও মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর এই শেয়ার বাজারে লেনদেন হয়েছে ৯০০ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার। বাজারটিতে এর আগে গত ২৫ জুলাই ৯শ’ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল। সে হিসাবে প্রায় দেড় মাস পর আজ ডিএসইতে আবারও ৯শ’ কোটি টাকার উপরে লেনদেন হলো।

এদিন টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে অ্যাকটিভ ফাইনের শেয়ার। আজ কোম্পানিটির ৭১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কেপিসিএলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকার। ৪৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সায়হাম টেক্সটাইল।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ড্রাগণ সোয়েটার, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, সামিট পাওয়ার, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, কনফিডেন্স সিমেন্ট, বিএফএস থ্রেড ডাইং এবং আমান ফিড।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৫৩ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন হওয়া ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৬টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির দাম।