১১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সাংবাদিক তোয়াব খানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৪৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪১৪৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক তোয়াব খানের (৮৭) প্রথম নামাজে জানাজা তার সর্বশেষ কর্মস্থল দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় তার সহকর্মীরা ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয় মরদেহ। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ রাখা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বেলা ১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে রাখা হয় তোয়াব খানের মরদেহ। সেখানে দ্বিতীয় জানাজার পর মরদেহ নেওয়া হবে গুলশানে মরহুমের নিজ বাসভবনে। বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে এই সাংবাদিককে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। গত ১ অক্টোবর রাজধানীর একটি হাসপাতালে দুপুর সাড়ে ১২টায় মারা যান তোয়াব খান। 

তিনি ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সাংবাদিক হিসেবে সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন তার। ২০১৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন তোয়াব খান। একই বছর তাকে বাংলা একাডেমি সম্মানীত ফেলো নির্বাচিত করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন তোয়াব খান। পরে রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রেস সচিবের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

ছাত্রজীবন থেকেই তোয়াব খান তৎকালীন বিভিন্ন পত্রিকায় সমকালীন ইস্যু নিয়ে লেখালেখি করতেন। ১৯৫৩ সালে তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান।

দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন তিনি। দেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন এই যশস্বী সাংবাদিক। নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে সবশেষ দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান।

আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়া বাগে এসেছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

সাংবাদিক তোয়াব খানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

আপডেট: ০৪:৪৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক তোয়াব খানের (৮৭) প্রথম নামাজে জানাজা তার সর্বশেষ কর্মস্থল দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় তার সহকর্মীরা ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয় মরদেহ। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ রাখা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বেলা ১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে রাখা হয় তোয়াব খানের মরদেহ। সেখানে দ্বিতীয় জানাজার পর মরদেহ নেওয়া হবে গুলশানে মরহুমের নিজ বাসভবনে। বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে এই সাংবাদিককে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। গত ১ অক্টোবর রাজধানীর একটি হাসপাতালে দুপুর সাড়ে ১২টায় মারা যান তোয়াব খান। 

তিনি ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সাংবাদিক হিসেবে সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন তার। ২০১৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন তোয়াব খান। একই বছর তাকে বাংলা একাডেমি সম্মানীত ফেলো নির্বাচিত করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন তোয়াব খান। পরে রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রেস সচিবের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

ছাত্রজীবন থেকেই তোয়াব খান তৎকালীন বিভিন্ন পত্রিকায় সমকালীন ইস্যু নিয়ে লেখালেখি করতেন। ১৯৫৩ সালে তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান।

দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন তিনি। দেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন এই যশস্বী সাংবাদিক। নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে সবশেষ দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান।

আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়া বাগে এসেছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

ঢাকা/এসএ