০৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
দীর্ঘায়িত হচ্ছে শেয়ারবাজারের দরপতন

সিংহভাগ পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীরা প্রায় নিঃস্ব

বিশেষ প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৩০৭ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

এক মাসের বেশি সময় ধরে টানা পতনে রয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। কোনোভাবেই শেয়ারবাজারে পতন থামছে না। পতনের ধাক্কায় সিংহভাগ পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস তৈরি হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা কেউ বাজারের উপর্যুপরি পতনের কোনো কারণ বলতে পারছেন না। সূচকের এমন ধারাবাহিক পতনে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়ে এখন দিশেহারা।

অনেকের পুঁজি ২৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশের বেশি উধাও হয়ে গেছে। আর যারা মার্জিন ঋণে শেয়ার কিনেছিলেন, তাদের সিংহভাগ এখন প্রায় নিঃস্ব। গত কয়েকদিন যাবত তাদের পোর্টফোলির শেয়ার ছিল ফোর্স সেলের আওতায়-এমনটাই জানিয়েছেন বিভিন্ন হাউজের বিনিয়োগকারীরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তারা জানিয়েছেন, ফের দরপতন দীর্ঘায়িত হয়েছে শেয়ারবাজারে। গত এক মাসে লাগাতার দরপতনে তালিকাভুক্ত ৮৫ শতাংশ শেয়ারই দর হারিয়েছে। এতে ক্রমাগত পুঁজি হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। অনেকের পুঁজি মাত্র এক মাসেই ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমে গেছে। যারা মার্জিন ঋণে শেয়ার কিনেছেন, তাদের অবস্থা শোচনীয়।

ডিএসই’র তথ্য বিশ্লেষনে দেখা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ছিল ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্ট। এক মাস অতিক্রান্তের পর আজ ১৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ডিএসইর প্রধান সূচক কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে। এই সময়ে সূচক কমেছে ৪৭৯ পয়েন্ট।

আরও পড়ুন: পেনশন পাবেন না রাষ্ট্রায়ত্ব-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা

গত ১৮ জানুয়ারি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারদরের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর প্রথম কয়েক দিন দর ও সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে ১২ ফেব্রুয়ারি যে দরপতন শুরু হয়, তা এখনও অব্যাহত আছে। ২০২২ সালের জুলাই মাসের পর এমন টানা দরপতন হয়নি। সর্বশেষ ২১ কার্যদিবসের মধ্যে ১৮ দিনই সূচকের পতন হয়েছে। এতে সূচক কমে যায় ৫৩৯ পয়েন্ট। এর মাঝে তিন দিনে মাত্র ৬৬ পয়েন্ট বেড়েছিল। গতকাল বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫৯৭৪ পয়েন্টে নেমেছে। সূচকের এ অবস্থান ২০২১ সালের ২৫ মের পর সর্বনিম্ন।

বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করছেন, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের ধাক্বা সামলিয়ে বাজার যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, ঠিক তখন জেড ক্যাটাগরির শেয়ার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিদ্ধান্ত বাজারে দুর্যোগ নেমে আসে। এর সাথে যুক্ত হয় বহুজাতিক মেগা কোম্পানি গ্রামীণফোন ও বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকোর ফ্লোর প্রত্যাহার। চলতি সপ্তাহে আরও যুক্ত হয় বিএসইসি ও ডিএসই’র পারস্পরিক বিরোধ এবং বড় বিনিয়োগকারীদের রেষারেষি। যদিও বিএসইসি ও ডিএসই’র দ্বন্দের বিষয়টিকে গুজব ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তা-ব্যক্তিরা।

আরও পড়ুন: আমানত সংগ্রহে আগ্রাসী হয়ে উঠছে ব্যাংকিং খাত!

তাঁরা বলছেন, মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজ অ্যাসোসিয়েশন, ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের মতো ব্যাঙ্গের ছাতার সংগঠনগুলোর ভুঁইফোড় নেতারা যারা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন, বাজারকে সাপোর্ট দিবেন বলে গলাবাজি করেছিলেন, এখন তাদের পাত্তা নেই। তারা সবাই এখন হাইবারনেশনে চলে গেছে। বিনিয়োগকারীদের আর্তনাদ যেন তাদের কানে বাজছে না।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজার দেখভাল করার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা নামে একটি প্রতিষ্ঠানও দেশে রয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা এখন চুপচাপ। তাঁরাও যেন নিরবে বিনিয়োগকারীদের দুর্দশা অবলোকন করছেন। বিনিয়োগকারীদের দুর্দশা লাঘবে তাঁদের আশু উদ্যোগ দাবি করেন বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা।

একাধিক সিকিউরিটিজ হাউজের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম সারির অনেক ব্যাংক এখন ১০ শতাংশের ওপর সুদ দিচ্ছে। পরিমাণ বেশি হলে ১২ শতাংশ পর্যন্ত সুদ মিলছে। নিরাপদ বিনিয়োগে বড় মুনাফা পেলে শেয়ারবাজার থেকে টাকা বের হওয়ার অনেক নজির আছে। তবে এক মাসের টানা দরপতনের কারণে অনেকের বিনিয়োগ আটকে যাওয়াও দরপতনের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন এই ব্রোকার। তারা বলেন, বাজার মন্দায় থাকলে অনেকে নতুন বিনিয়োগের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। এতে কেনার চাহিদা কমে পতন ত্বরান্বিত হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ডিএসইর প্রধান প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬.০৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১.০২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪.৯৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫১ পয়েন্টে।

বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৫১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৮৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৫টির, কমেছে ১৭১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৮টির।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ১৩ কোটি ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১১ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

বৃহস্পতিবার সিএসইতে ২১২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৫টির, কমেছে ৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের।

আগের দিন সিএসইতে ২১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৬০টির, কমেছিল ১৩১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৬টি প্রতিষ্ঠানের।

বিজনেস জার্নাল/এইচকে

শেয়ার করুন

x
English Version

দীর্ঘায়িত হচ্ছে শেয়ারবাজারের দরপতন

সিংহভাগ পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীরা প্রায় নিঃস্ব

আপডেট: ১১:২৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

এক মাসের বেশি সময় ধরে টানা পতনে রয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। কোনোভাবেই শেয়ারবাজারে পতন থামছে না। পতনের ধাক্কায় সিংহভাগ পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস তৈরি হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা কেউ বাজারের উপর্যুপরি পতনের কোনো কারণ বলতে পারছেন না। সূচকের এমন ধারাবাহিক পতনে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়ে এখন দিশেহারা।

অনেকের পুঁজি ২৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশের বেশি উধাও হয়ে গেছে। আর যারা মার্জিন ঋণে শেয়ার কিনেছিলেন, তাদের সিংহভাগ এখন প্রায় নিঃস্ব। গত কয়েকদিন যাবত তাদের পোর্টফোলির শেয়ার ছিল ফোর্স সেলের আওতায়-এমনটাই জানিয়েছেন বিভিন্ন হাউজের বিনিয়োগকারীরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তারা জানিয়েছেন, ফের দরপতন দীর্ঘায়িত হয়েছে শেয়ারবাজারে। গত এক মাসে লাগাতার দরপতনে তালিকাভুক্ত ৮৫ শতাংশ শেয়ারই দর হারিয়েছে। এতে ক্রমাগত পুঁজি হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। অনেকের পুঁজি মাত্র এক মাসেই ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমে গেছে। যারা মার্জিন ঋণে শেয়ার কিনেছেন, তাদের অবস্থা শোচনীয়।

ডিএসই’র তথ্য বিশ্লেষনে দেখা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ছিল ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্ট। এক মাস অতিক্রান্তের পর আজ ১৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ডিএসইর প্রধান সূচক কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে। এই সময়ে সূচক কমেছে ৪৭৯ পয়েন্ট।

আরও পড়ুন: পেনশন পাবেন না রাষ্ট্রায়ত্ব-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা

গত ১৮ জানুয়ারি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারদরের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর প্রথম কয়েক দিন দর ও সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে ১২ ফেব্রুয়ারি যে দরপতন শুরু হয়, তা এখনও অব্যাহত আছে। ২০২২ সালের জুলাই মাসের পর এমন টানা দরপতন হয়নি। সর্বশেষ ২১ কার্যদিবসের মধ্যে ১৮ দিনই সূচকের পতন হয়েছে। এতে সূচক কমে যায় ৫৩৯ পয়েন্ট। এর মাঝে তিন দিনে মাত্র ৬৬ পয়েন্ট বেড়েছিল। গতকাল বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫৯৭৪ পয়েন্টে নেমেছে। সূচকের এ অবস্থান ২০২১ সালের ২৫ মের পর সর্বনিম্ন।

বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করছেন, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের ধাক্বা সামলিয়ে বাজার যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, ঠিক তখন জেড ক্যাটাগরির শেয়ার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিদ্ধান্ত বাজারে দুর্যোগ নেমে আসে। এর সাথে যুক্ত হয় বহুজাতিক মেগা কোম্পানি গ্রামীণফোন ও বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকোর ফ্লোর প্রত্যাহার। চলতি সপ্তাহে আরও যুক্ত হয় বিএসইসি ও ডিএসই’র পারস্পরিক বিরোধ এবং বড় বিনিয়োগকারীদের রেষারেষি। যদিও বিএসইসি ও ডিএসই’র দ্বন্দের বিষয়টিকে গুজব ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তা-ব্যক্তিরা।

আরও পড়ুন: আমানত সংগ্রহে আগ্রাসী হয়ে উঠছে ব্যাংকিং খাত!

তাঁরা বলছেন, মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজ অ্যাসোসিয়েশন, ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের মতো ব্যাঙ্গের ছাতার সংগঠনগুলোর ভুঁইফোড় নেতারা যারা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন, বাজারকে সাপোর্ট দিবেন বলে গলাবাজি করেছিলেন, এখন তাদের পাত্তা নেই। তারা সবাই এখন হাইবারনেশনে চলে গেছে। বিনিয়োগকারীদের আর্তনাদ যেন তাদের কানে বাজছে না।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজার দেখভাল করার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা নামে একটি প্রতিষ্ঠানও দেশে রয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা এখন চুপচাপ। তাঁরাও যেন নিরবে বিনিয়োগকারীদের দুর্দশা অবলোকন করছেন। বিনিয়োগকারীদের দুর্দশা লাঘবে তাঁদের আশু উদ্যোগ দাবি করেন বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা।

একাধিক সিকিউরিটিজ হাউজের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম সারির অনেক ব্যাংক এখন ১০ শতাংশের ওপর সুদ দিচ্ছে। পরিমাণ বেশি হলে ১২ শতাংশ পর্যন্ত সুদ মিলছে। নিরাপদ বিনিয়োগে বড় মুনাফা পেলে শেয়ারবাজার থেকে টাকা বের হওয়ার অনেক নজির আছে। তবে এক মাসের টানা দরপতনের কারণে অনেকের বিনিয়োগ আটকে যাওয়াও দরপতনের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন এই ব্রোকার। তারা বলেন, বাজার মন্দায় থাকলে অনেকে নতুন বিনিয়োগের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। এতে কেনার চাহিদা কমে পতন ত্বরান্বিত হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ডিএসইর প্রধান প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬.০৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১.০২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪.৯৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫১ পয়েন্টে।

বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৫১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৮৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৫টির, কমেছে ১৭১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৮টির।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ১৩ কোটি ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১১ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

বৃহস্পতিবার সিএসইতে ২১২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৫টির, কমেছে ৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের।

আগের দিন সিএসইতে ২১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৬০টির, কমেছিল ১৩১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৬টি প্রতিষ্ঠানের।

বিজনেস জার্নাল/এইচকে