১১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

সি পার্লের মালিকানায় এলো সি পার্ল সুন্দরবন ইকো রিসোর্ট

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২৫১ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা সি পার্ল সুন্দরবন ইকো রিসোর্টের কাছে হস্তান্তর করেছে শামীম এন্টারপ্রাইজ। গত ৯ ফেব্রুয়ারি মালিকানা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশ করা হয়।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ডিএসই জানিয়েছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শামীম এন্টারপ্রাইজের হাতে থাকা রয়েল টিউলিপের ৪ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ৯০০টি শেয়ার বা ৪০ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার সি পার্ল সুন্দরবন ইকো রিসোর্টের কাছে হস্তান্তর করেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

যার বাজার মূল্য ১ হাজার ৩৪৯ কোটি ৭৬ লাখ ৭৫ হাজার ৩০ টাকা। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শেয়ারটির সর্বশেষ মূল্য ছিল ২৭৬ টাকা ৭০ পয়সা, সেই হিসেবে শেয়ারের মূল্য এই টাকা দাঁড়িয়েছে।

হস্তান্তরের অনুমোদন পেতে এর আগের প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করে। সর্বশেষ কমিশন সভায় সেই আবেদন অনুমোদন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তারপর চুক্তি সম্পন্ন হয়। শেয়ার হস্তান্তরের পর সি পার্ল বিচ অ্যান্ড রিসোর্টের সঙ্গে শামীম এন্টারপ্রাইজ (প্রা.) একীভূত হতে পারে।

সি পার্ল সুন্দরবন ইকো রিসোর্ট খুলনার বটিয়াঘাটে বিনোদনের জন্য একটি জায়গায় ব্যবসা পরিচালনা করে। যেখানে ভবিষ্যতে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর শেয়ার গ্রহণ করে সুন্দরবন ইকো রিসোর্ট স্পন্সর হিসেবে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’র বোর্ডে বসবে।

আরও পড়ুন: তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে কস্ট অডিট বাধ্যতামূলক চায় আইসিএমএবি

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে রিসোর্ট এবং হোটেল ব্যবসায় যাত্রা শুরু করা সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড ২০১৯ সালে দেশের দুই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০১৯-২০ ও ২০-২১ অর্থবছরে মুনাফা কম হয়। তবে ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিদায়ী বছরে (২০২২) আগের অর্থবছরের তুলনায় ১১৯ শতাংশ মুনাফা বেড়েছে কোম্পানিটির। সেখান থেকে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৫০ পয়সা করে নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়েছে।

কোম্পানিটির ১২ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২৬ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

সি পার্লের মালিকানায় এলো সি পার্ল সুন্দরবন ইকো রিসোর্ট

আপডেট: ০৭:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা সি পার্ল সুন্দরবন ইকো রিসোর্টের কাছে হস্তান্তর করেছে শামীম এন্টারপ্রাইজ। গত ৯ ফেব্রুয়ারি মালিকানা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশ করা হয়।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ডিএসই জানিয়েছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শামীম এন্টারপ্রাইজের হাতে থাকা রয়েল টিউলিপের ৪ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ৯০০টি শেয়ার বা ৪০ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার সি পার্ল সুন্দরবন ইকো রিসোর্টের কাছে হস্তান্তর করেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

যার বাজার মূল্য ১ হাজার ৩৪৯ কোটি ৭৬ লাখ ৭৫ হাজার ৩০ টাকা। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শেয়ারটির সর্বশেষ মূল্য ছিল ২৭৬ টাকা ৭০ পয়সা, সেই হিসেবে শেয়ারের মূল্য এই টাকা দাঁড়িয়েছে।

হস্তান্তরের অনুমোদন পেতে এর আগের প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করে। সর্বশেষ কমিশন সভায় সেই আবেদন অনুমোদন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তারপর চুক্তি সম্পন্ন হয়। শেয়ার হস্তান্তরের পর সি পার্ল বিচ অ্যান্ড রিসোর্টের সঙ্গে শামীম এন্টারপ্রাইজ (প্রা.) একীভূত হতে পারে।

সি পার্ল সুন্দরবন ইকো রিসোর্ট খুলনার বটিয়াঘাটে বিনোদনের জন্য একটি জায়গায় ব্যবসা পরিচালনা করে। যেখানে ভবিষ্যতে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর শেয়ার গ্রহণ করে সুন্দরবন ইকো রিসোর্ট স্পন্সর হিসেবে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’র বোর্ডে বসবে।

আরও পড়ুন: তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে কস্ট অডিট বাধ্যতামূলক চায় আইসিএমএবি

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে রিসোর্ট এবং হোটেল ব্যবসায় যাত্রা শুরু করা সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড ২০১৯ সালে দেশের দুই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০১৯-২০ ও ২০-২১ অর্থবছরে মুনাফা কম হয়। তবে ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিদায়ী বছরে (২০২২) আগের অর্থবছরের তুলনায় ১১৯ শতাংশ মুনাফা বেড়েছে কোম্পানিটির। সেখান থেকে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৫০ পয়সা করে নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়েছে।

কোম্পানিটির ১২ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২৬ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার।

ঢাকা/এসএ