১২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলো সরকার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২
  • / ৪১১০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সাময়িকভাবে সব ধরনের সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাজারে এই মানের চালের দাম নিয়ন্ত্রণে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানি বন্ধের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রপ্তানি বন্ধ করার জন্য গত ২৯ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দেয়।

গত এক বছর ধরে ধাপে ধাপে বেড়েছে সব ধরনের চাল। তবে গত রমজানে দেশের বাজারে বাড়তে থাকে সুগন্ধি চালের দাম। কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তাই দেশে দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

রপ্তানি বন্ধের ফলে ৪১ প্রতিষ্ঠানকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্দিষ্ট পরিমাণ সুগন্ধি চাল রপ্তানির যে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তাদের অনুমোদিত কোটার বাকি চাল রপ্তানির পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, সুগন্ধি চালসহ সব ধরনের চাল রপ্তানি বন্ধ রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে খাদ্য অধিদপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসনের তদারকি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এর পরও বাজারে সুগন্ধি ও সরু চালের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক, যা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। তাই আপাতত সুগন্ধি চালসহ সব ধরনের চাল রপ্তানি বন্ধ করা প্রয়োজন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এনবিআরকে চিঠি দিলে প্রতিষ্ঠানটি রপ্তানি বন্ধ করে।

বাজারে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সুগন্ধি চালের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের চালও পাওয়া যায়। গত বছর দেশে প্রতি কেজি চিনিগুঁড়া, কালিজিরা, কাটারিভোগসহ নানা ধরনের সুগন্ধি চালের দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কিন্তু ধাপে ধাপে বেড়ে এখন প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। সেই হিসাবে কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। পাশাপাশি অন্যান্য চালের দামও বেড়েছে কেজিতে ৯ থেকে ১৫ শতাংশ।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলো সরকার

আপডেট: ১০:৫৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সাময়িকভাবে সব ধরনের সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাজারে এই মানের চালের দাম নিয়ন্ত্রণে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানি বন্ধের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রপ্তানি বন্ধ করার জন্য গত ২৯ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দেয়।

গত এক বছর ধরে ধাপে ধাপে বেড়েছে সব ধরনের চাল। তবে গত রমজানে দেশের বাজারে বাড়তে থাকে সুগন্ধি চালের দাম। কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তাই দেশে দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

রপ্তানি বন্ধের ফলে ৪১ প্রতিষ্ঠানকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্দিষ্ট পরিমাণ সুগন্ধি চাল রপ্তানির যে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তাদের অনুমোদিত কোটার বাকি চাল রপ্তানির পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, সুগন্ধি চালসহ সব ধরনের চাল রপ্তানি বন্ধ রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে খাদ্য অধিদপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসনের তদারকি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এর পরও বাজারে সুগন্ধি ও সরু চালের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক, যা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। তাই আপাতত সুগন্ধি চালসহ সব ধরনের চাল রপ্তানি বন্ধ করা প্রয়োজন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এনবিআরকে চিঠি দিলে প্রতিষ্ঠানটি রপ্তানি বন্ধ করে।

বাজারে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সুগন্ধি চালের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের চালও পাওয়া যায়। গত বছর দেশে প্রতি কেজি চিনিগুঁড়া, কালিজিরা, কাটারিভোগসহ নানা ধরনের সুগন্ধি চালের দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কিন্তু ধাপে ধাপে বেড়ে এখন প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। সেই হিসাবে কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। পাশাপাশি অন্যান্য চালের দামও বেড়েছে কেজিতে ৯ থেকে ১৫ শতাংশ।

ঢাকা/এসএ