১২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

সুদহারের সীমা মানছে না অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪১৭৮ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আমানতে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদহারের নির্দেশনা মানছে না অধিকাংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। মোট ২৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আগস্টে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের আমানতের গড় সুদ ছিল ৭ শতাংশের বেশি। ঋণে ১১ শতাংশের বেশি সুদ নিয়েছে মাত্র ৪টি প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সংশ্লিষ্টরা জানান, আমানতে সুদহারের সীমা তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে দু’দফা বৈঠক করে কোনো কাজ হয়নি। সর্বশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর এফবিসিসিআইর নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন-সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা থেকেও আমানতে সুদহারের সীমা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে আমানতে ৭ শতাংশের কম সুদ ছিল শুধু আইডিএলসি, আইপিডিসি, ডিবিএইচ, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ও ন্যাশনাল হাউজিংয়ের। আমানতে গড়ে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ সুদ ছিল উত্তরা ফাইন্যান্সে। অথচ প্রতিষ্ঠানটির ঋণের গড় সুদহার ছিল ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। প্রিমিয়ার লিজিং, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, ফাস্ট ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, আভিভা ফাইন্যান্স, ফিনিক্স ফাইন্যান্স ও সিভিসি ফাইন্যান্সের আমানতের গড় সুদহার ছিল ৯ শতাংশের আশপাশে। এ ছাড়া ঋণে ১১ শতাংশের বেশি সুদ ছিল আভিভা ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, সিভিসি ফাইন্যান্স ও ইসলামিক ফাইন্যান্সের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, নানা অনিয়মের কারণে আগের আমানত ফেরত দিতে না পারা কিছু প্রতিষ্ঠান উচ্চ সুদে নতুন আমানত নিচ্ছে। ঋণ আদায়ে জোর না দিয়ে কিংবা নতুন ঋণ বিতরণ না করে নতুনভাবে সংগ্রহ করা আমানত দিয়ে বেতন-ভাতা, পুরোনো আমানত পরিশোধসহ দৈনন্দিন চাহিদা মেটাচ্ছে। এভাবে নতুন ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তিন মাসের কম মেয়াদে কোনো আমানত নিতে পারে না। তবে ব্যাংকগুলো যে কোনো মেয়াদের আমানত নিতে পারে। আবার পরিচিতি, আস্থাসহ বিভিন্ন কারণে ব্যাংকের তুলনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব সময় বেশি সুদ দিয়ে আমানত নিতে হয়। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার কারণে ব্যাংকগুলো ব্যক্তি পর্যায়ের মেয়াদি আমানতে মূল্যস্ম্ফীতির চেয়ে কম সুদ দিতে পারছে না। মূল্যস্ম্ফীতি বাড়তির দিকে থাকায় অনেক ব্যাংকই এখন মেয়াদি আমানতে ৭ শতাংশের বেশি সুদ দিচ্ছে। যে কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত পেতে সমস্যা হচ্ছে।

ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়ে গত ১৮ এপ্রিল সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১ জুলাই থেকে ঋণে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ এবং আমানতে ৭ শতাংশ সুদহার কার্যকরের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ইএফডিতে ভ্যাট এসেছে ৩০ কোটি টাকা

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

সুদহারের সীমা মানছে না অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান

আপডেট: ১১:২৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আমানতে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদহারের নির্দেশনা মানছে না অধিকাংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। মোট ২৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আগস্টে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের আমানতের গড় সুদ ছিল ৭ শতাংশের বেশি। ঋণে ১১ শতাংশের বেশি সুদ নিয়েছে মাত্র ৪টি প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সংশ্লিষ্টরা জানান, আমানতে সুদহারের সীমা তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে দু’দফা বৈঠক করে কোনো কাজ হয়নি। সর্বশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর এফবিসিসিআইর নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন-সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা থেকেও আমানতে সুদহারের সীমা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে আমানতে ৭ শতাংশের কম সুদ ছিল শুধু আইডিএলসি, আইপিডিসি, ডিবিএইচ, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ও ন্যাশনাল হাউজিংয়ের। আমানতে গড়ে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ সুদ ছিল উত্তরা ফাইন্যান্সে। অথচ প্রতিষ্ঠানটির ঋণের গড় সুদহার ছিল ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। প্রিমিয়ার লিজিং, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, ফাস্ট ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, আভিভা ফাইন্যান্স, ফিনিক্স ফাইন্যান্স ও সিভিসি ফাইন্যান্সের আমানতের গড় সুদহার ছিল ৯ শতাংশের আশপাশে। এ ছাড়া ঋণে ১১ শতাংশের বেশি সুদ ছিল আভিভা ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, সিভিসি ফাইন্যান্স ও ইসলামিক ফাইন্যান্সের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, নানা অনিয়মের কারণে আগের আমানত ফেরত দিতে না পারা কিছু প্রতিষ্ঠান উচ্চ সুদে নতুন আমানত নিচ্ছে। ঋণ আদায়ে জোর না দিয়ে কিংবা নতুন ঋণ বিতরণ না করে নতুনভাবে সংগ্রহ করা আমানত দিয়ে বেতন-ভাতা, পুরোনো আমানত পরিশোধসহ দৈনন্দিন চাহিদা মেটাচ্ছে। এভাবে নতুন ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তিন মাসের কম মেয়াদে কোনো আমানত নিতে পারে না। তবে ব্যাংকগুলো যে কোনো মেয়াদের আমানত নিতে পারে। আবার পরিচিতি, আস্থাসহ বিভিন্ন কারণে ব্যাংকের তুলনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব সময় বেশি সুদ দিয়ে আমানত নিতে হয়। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার কারণে ব্যাংকগুলো ব্যক্তি পর্যায়ের মেয়াদি আমানতে মূল্যস্ম্ফীতির চেয়ে কম সুদ দিতে পারছে না। মূল্যস্ম্ফীতি বাড়তির দিকে থাকায় অনেক ব্যাংকই এখন মেয়াদি আমানতে ৭ শতাংশের বেশি সুদ দিচ্ছে। যে কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত পেতে সমস্যা হচ্ছে।

ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়ে গত ১৮ এপ্রিল সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১ জুলাই থেকে ঋণে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ এবং আমানতে ৭ শতাংশ সুদহার কার্যকরের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ইএফডিতে ভ্যাট এসেছে ৩০ কোটি টাকা

ঢাকা/এসএ