০২:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অক্টোবর ২০২১
  • / ৪১১২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আমি বিশ্বাস করি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতীয় যে কোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাসহ নানা আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সেনাবাহিনী উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। আজ(২৭ অক্টোবর) বুধবার মুজিব রেজিমেন্ট ও রওশন আরা রেজিমেন্টের কাছে নতুন পতাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠান এবং সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিটকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি চট্টগ্রামের হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল ও ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আত্মত্যাগ, কর্তব্যনিষ্ঠা, পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছেন সম্মান, মর্যাদা। যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে। বিশেষ করে আমাদের সেনা সদস্যদের মানবিকতা যখন যে দেশে তারা দায়িত্ব পালন করেন সে দেশের সাধারণ জনগণকেও মুগ্ধ করে।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ শত প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন। বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নিয়েই এগিয়ে যাবে এবং বিশ্ব দরবারে বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে আমরা চলবো। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এখন যথেষ্ঠ শক্তিশালী এবং অগ্রসর হয়েছে। বিশেষ করে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস দমনে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জনগণের পাশে দাড়াতে এবং এই করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছেন তারা। সেজন্য সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। শেখ হাসিনা বলেন, আবহমানকাল থেকে যুদ্ধের ময়দানে জাতীয় পতাকা মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এই পতাকার মর্যাদা সমুন্নত রাখার দায়িত্ব আপনাদের। মহান মুক্তিযুদ্ধে যে বীরত্বের সাথে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে যে বিজয় অর্জন করেছিল সে কথাটা চিরদিন মনে রাখতে হবে যে, আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা মাথা উচু করে বিশ্ব দরবারে চলবো।

অনুষ্ঠানের শেষে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সেনাপ্রধান আর্টিলারি সেন্টার এন্ড স্কুলে ৪, ১২ ও ২০ ফিল্ড, ৫ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫ ও ৭ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১ ও ২ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন, আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ এবং এনসিও একাডেমিকে জাতীয় পতাকা প্রদান এবং মুজিব রেজিমেন্ট ও রওশন আরা রেজিমেন্টকে আর্টিলারির নতুন পতাকা প্রদান করেন।

অনুষ্ঠান থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়। বাসস

ঢাকা/এমটি 

শেয়ার করুন

x
English Version

সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ১২:৩৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অক্টোবর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আমি বিশ্বাস করি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতীয় যে কোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাসহ নানা আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সেনাবাহিনী উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। আজ(২৭ অক্টোবর) বুধবার মুজিব রেজিমেন্ট ও রওশন আরা রেজিমেন্টের কাছে নতুন পতাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠান এবং সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিটকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি চট্টগ্রামের হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল ও ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আত্মত্যাগ, কর্তব্যনিষ্ঠা, পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছেন সম্মান, মর্যাদা। যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে। বিশেষ করে আমাদের সেনা সদস্যদের মানবিকতা যখন যে দেশে তারা দায়িত্ব পালন করেন সে দেশের সাধারণ জনগণকেও মুগ্ধ করে।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ শত প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন। বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নিয়েই এগিয়ে যাবে এবং বিশ্ব দরবারে বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে আমরা চলবো। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এখন যথেষ্ঠ শক্তিশালী এবং অগ্রসর হয়েছে। বিশেষ করে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস দমনে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জনগণের পাশে দাড়াতে এবং এই করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছেন তারা। সেজন্য সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। শেখ হাসিনা বলেন, আবহমানকাল থেকে যুদ্ধের ময়দানে জাতীয় পতাকা মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এই পতাকার মর্যাদা সমুন্নত রাখার দায়িত্ব আপনাদের। মহান মুক্তিযুদ্ধে যে বীরত্বের সাথে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে যে বিজয় অর্জন করেছিল সে কথাটা চিরদিন মনে রাখতে হবে যে, আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা মাথা উচু করে বিশ্ব দরবারে চলবো।

অনুষ্ঠানের শেষে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সেনাপ্রধান আর্টিলারি সেন্টার এন্ড স্কুলে ৪, ১২ ও ২০ ফিল্ড, ৫ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৫ ও ৭ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১ ও ২ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন, আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ এবং এনসিও একাডেমিকে জাতীয় পতাকা প্রদান এবং মুজিব রেজিমেন্ট ও রওশন আরা রেজিমেন্টকে আর্টিলারির নতুন পতাকা প্রদান করেন।

অনুষ্ঠান থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়। বাসস

ঢাকা/এমটি