১০:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

সৌদি আরবে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো ফার্মা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৩২৭ বার দেখা হয়েছে

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ বিনিয়োগে আগামী বছর থেকে সৌদি আরবে ওষুধ উৎপাদন শুরু করবে। আর সেখানে যে জনবল ও ট্যাকনিক্যাল সাপোর্ট লাগবে তা বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

শনিবার (১১ মার্চ) সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শনে আসেন সালমান এফ রহমান। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা শতভাগ মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরির চেষ্টা করি। কারণ, ওষুধ রফতানির ক্ষেত্রে আমাদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। যে কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ওষুধের ওপর মানুষের একটা আস্থা তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন, বাংলাদেশের ওষুধ মানসম্মত। শুধু মানসম্মতই নয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় দামও বেশ পরিমিত।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মনে করেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশ ভালো এবং ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে আমাদের একটা ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে। সরকার ওষুধ শিল্পপার্ক স্থাপন করে দিচ্ছে। খুব শিগগিরই সেখানে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন হবে। ফলে এ শিল্পের বিকাশ আরও সহজ হবে।’

বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩-এ যোগ দিতে ১০ মার্চ বিকালে ঢাকায় আসেন সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ডক্টর মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি। পরে ওইদিনই গাজীপুরের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌদিমন্ত্রী। এরপর গণমাধ্যম সঙ্গে কথাও বলেন তারা।

সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনও কাঙিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। আমরা সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে খুঁজে দেখবো। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও জনশক্তি রফতানিতে আমাদের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে চাই।

বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালকে বিশ্বমানের ওষুধ প্রস্তুতি কারখানা উল্লেখ করে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল উন্নত সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওষুধ উৎপাদন করছে।

আরও পড়ুন: ডিএসই সাবেক পরিচালক গোলাম রসুল ইন্তেকাল করেছেন

আর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানান, যৌথ বিনিয়োগে সৌদিতে এ কারখানা নির্মাণ হচ্ছে। তবে এর বেশিরভাগই অর্থ বাংলাদেশের। আর ওখানে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ তৈরি করা হবে।

বাংলাদেশ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পৃথিবীর ১৬০টি দেশে ওষুধ রফতানি করছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ওষুধ রফতানির হয়েছে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২২) সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৭৭ পয়সা। এছাড়া, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ৯৩ টাকা ৫২ পয়সা।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

সৌদি আরবে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো ফার্মা

আপডেট: ১২:২৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ বিনিয়োগে আগামী বছর থেকে সৌদি আরবে ওষুধ উৎপাদন শুরু করবে। আর সেখানে যে জনবল ও ট্যাকনিক্যাল সাপোর্ট লাগবে তা বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

শনিবার (১১ মার্চ) সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শনে আসেন সালমান এফ রহমান। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা শতভাগ মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরির চেষ্টা করি। কারণ, ওষুধ রফতানির ক্ষেত্রে আমাদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। যে কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ওষুধের ওপর মানুষের একটা আস্থা তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন, বাংলাদেশের ওষুধ মানসম্মত। শুধু মানসম্মতই নয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় দামও বেশ পরিমিত।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মনে করেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশ ভালো এবং ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে আমাদের একটা ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে। সরকার ওষুধ শিল্পপার্ক স্থাপন করে দিচ্ছে। খুব শিগগিরই সেখানে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন হবে। ফলে এ শিল্পের বিকাশ আরও সহজ হবে।’

বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩-এ যোগ দিতে ১০ মার্চ বিকালে ঢাকায় আসেন সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ডক্টর মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি। পরে ওইদিনই গাজীপুরের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌদিমন্ত্রী। এরপর গণমাধ্যম সঙ্গে কথাও বলেন তারা।

সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনও কাঙিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। আমরা সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে খুঁজে দেখবো। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও জনশক্তি রফতানিতে আমাদের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে চাই।

বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালকে বিশ্বমানের ওষুধ প্রস্তুতি কারখানা উল্লেখ করে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল উন্নত সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওষুধ উৎপাদন করছে।

আরও পড়ুন: ডিএসই সাবেক পরিচালক গোলাম রসুল ইন্তেকাল করেছেন

আর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানান, যৌথ বিনিয়োগে সৌদিতে এ কারখানা নির্মাণ হচ্ছে। তবে এর বেশিরভাগই অর্থ বাংলাদেশের। আর ওখানে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ তৈরি করা হবে।

বাংলাদেশ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পৃথিবীর ১৬০টি দেশে ওষুধ রফতানি করছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ওষুধ রফতানির হয়েছে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২২) সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৭৭ পয়সা। এছাড়া, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ৯৩ টাকা ৫২ পয়সা।

ঢাকা/এসএ