০২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে ট্রেন ছুটল ৬২০ কি.মি বেগে! (ভিডিও)

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১২৫ বার দেখা হয়েছে

হাইস্পিড ট্রেন প্রযুক্তিতে চীন ইতোমধ্যে উন্নত দেশগুলোকে বেশ পেছনে ফেলে দিয়েছে। চলমান করোনা মহামারির মধ্যেই চীন আরও একটি উন্নত প্রযুক্তির ট্রেন প্রকাশ্যে এনেছে। সম্প্রতি তারা ‘ম্যাগলেভ’ প্রযুক্তি নির্ভর একটি প্রোটোটাইপ ট্রেনের পরীক্ষা করেছে। যার সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ৬২০ কিলোমিটার!

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক খবরে জানা যায়, ‘ম্যাগলেভ’ শব্দটি এসেছে ‘ম্যাগনেটিক লেভিটেশন’ শব্দ যুগল থেকে। অর্থাৎ এই প্রযুক্তিতে ট্রেনকে তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তির দ্বারা উত্তোলন করে প্রায় ভাসমান অবস্থায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলে ট্রেন লাইনের সঙ্গে ইঞ্জিন বা কামরার ঘর্ষণ হয় না। ফলে গতি অনেক বাড়িয়ে দেওয়া যায়।

চীনের এই প্রোটোটাইপ ট্রেনটি তৈরি করেছে দ্যা সাউথওয়েস্ট জিয়াওটং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। এই ট্রেনে কোনও চাকা নেই। ট্রেনটি চুম্বকীয় বলেই রেল লাইনের উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে। ৬৯ ফুটের এই প্রোটোটাইপটি বুধবার (১৩ জানুয়ারি) চিনের চেংদু-তে প্রকাশ্যে আনা হয়।

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, আগামী ৩ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এটি মানুষের ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। সেই সঙ্গে চেষ্টা চলছে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ৬২০ থেকে বাড়িয়ে প্রতি ঘণ্টায় ৮০০ কিলোমিটারে নিয়ে যেতে।

শেয়ার করুন

x
English Version

হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে ট্রেন ছুটল ৬২০ কি.মি বেগে! (ভিডিও)

আপডেট: ০৩:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১

হাইস্পিড ট্রেন প্রযুক্তিতে চীন ইতোমধ্যে উন্নত দেশগুলোকে বেশ পেছনে ফেলে দিয়েছে। চলমান করোনা মহামারির মধ্যেই চীন আরও একটি উন্নত প্রযুক্তির ট্রেন প্রকাশ্যে এনেছে। সম্প্রতি তারা ‘ম্যাগলেভ’ প্রযুক্তি নির্ভর একটি প্রোটোটাইপ ট্রেনের পরীক্ষা করেছে। যার সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ৬২০ কিলোমিটার!

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক খবরে জানা যায়, ‘ম্যাগলেভ’ শব্দটি এসেছে ‘ম্যাগনেটিক লেভিটেশন’ শব্দ যুগল থেকে। অর্থাৎ এই প্রযুক্তিতে ট্রেনকে তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তির দ্বারা উত্তোলন করে প্রায় ভাসমান অবস্থায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলে ট্রেন লাইনের সঙ্গে ইঞ্জিন বা কামরার ঘর্ষণ হয় না। ফলে গতি অনেক বাড়িয়ে দেওয়া যায়।

চীনের এই প্রোটোটাইপ ট্রেনটি তৈরি করেছে দ্যা সাউথওয়েস্ট জিয়াওটং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। এই ট্রেনে কোনও চাকা নেই। ট্রেনটি চুম্বকীয় বলেই রেল লাইনের উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে। ৬৯ ফুটের এই প্রোটোটাইপটি বুধবার (১৩ জানুয়ারি) চিনের চেংদু-তে প্রকাশ্যে আনা হয়।

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, আগামী ৩ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এটি মানুষের ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। সেই সঙ্গে চেষ্টা চলছে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ৬২০ থেকে বাড়িয়ে প্রতি ঘণ্টায় ৮০০ কিলোমিটারে নিয়ে যেতে।