০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

হামলার শিকার হলে মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করতাম: জেলেনস্কি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:১৯:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪২২৫ বার দেখা হয়েছে

টানা ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। আগ্রাসনের শুরু থেকে রুশ সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বহু শহরে দফায় দফায় হামলা চালালেও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাসভবন এবং তার সদর দপ্তরে আক্রমণ হয়নি।

তবে যদি হামলা হতো তাহলে তিনি মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করতেন বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। এমনকি এর প্রস্তুতি হিসেবে সাথে করে একটি পিস্তলও রাখেন তিনি। রোববার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

 

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজের সাথে পিস্তল বহন করেন এবং যুদ্ধের শুরুতে রাশিয়ানরা কিয়েভে তার সদর দপ্তরে হামলা চালালে তিনি তার সঙ্গীদের নিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করতেন বলে শনিবার (২৯ এপ্রিল) প্রচারিত একটি সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন।

১+১ টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি জানি কিভাবে গুলি চালাতে হয়। আপনি কি কল্পনা করতে পারেন- ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রুশরা বন্দী করে নিয়ে গেছে?’ এটি খুবই অপমানজনক। আমি বিশ্বাস করি, এটি অসম্মানজনক হবে।’

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, আক্রমণের পর প্রথম দিনগুলোতে রাশিয়ার গোয়েন্দা ইউনিটগুলো রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়।

এমনকি কিয়েভের কেন্দ্র বলে পরিচিত ব্যাঙ্কোভা স্ট্রিটে পৌঁছতেও ব্যর্থ হয় রাশিয়ানরা। আর এই ব্যাঙ্কোভা স্ট্রিটেই প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাসভবন অনুষ্ঠিত।

রয়টার্স বলছে, একপর্যায়ে অন্যান্য রাশিয়ান ইউনিট কিয়েভের উপকণ্ঠে আক্রমণ শুরু করে, কিন্তু সেখানেও তারা অগ্রসর হতে পারেনি। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা সেসময় শহরের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি ব্যর্থ নাশকতার প্রচেষ্টার কথাও জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে নিহত ৫

সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, তারা (রুশ সেনা বা গোয়েন্দারা) যদি প্রশাসনের ভেতরে ঢুকে যেত, তাহলে আমরা এখানে থাকতাম না।’

অবশ্য ইউক্রেনের লড়াইরত এই প্রেসিডেন্ট রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর ঠিক কোন ইউনিটের কথা বলছেন, তা স্পষ্ট নয়।

জেলেনস্কি বলছেন, ‘(রাশিয়ার বাহিনী) কাউকে বন্দি করতে পারত না কারণ আমরা ব্যাঙ্কোভা স্ট্রিটের প্রতিরক্ষা খুব গুরুত্ব সহকারে প্রস্তুত করেছি। আমরা শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতাম।’

ইউক্রেনীয় এই প্রেসিডেন্ট পিস্তল সাথে রাখেন কিনা এবং সেটি ব্যবহার করার অনুশীলন করেছিলেন কিনা জানতে চাইলে জেলেনস্কি বলেন, তিনি সেটি করেছিলেন।

তবে শেষমেষ রাশিয়ার সেনাদের হাতে ধরার পড়ার পরিবর্তে আত্মহত্যার জন্য পিস্তলটি ব্যবহার করতে পারেন, এমন ধারণা খারিজ করে দেন তিনি। জেলেনস্কির ভাষায়, ‘না, না, না। এটা আমার (নিজেকে গুলি করা) নয়। অবশ্যই (শত্রুদের দিকে) পাল্টা গুলি করতে হবে।’

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

হামলার শিকার হলে মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করতাম: জেলেনস্কি

আপডেট: ১০:১৯:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

টানা ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। আগ্রাসনের শুরু থেকে রুশ সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বহু শহরে দফায় দফায় হামলা চালালেও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাসভবন এবং তার সদর দপ্তরে আক্রমণ হয়নি।

তবে যদি হামলা হতো তাহলে তিনি মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করতেন বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। এমনকি এর প্রস্তুতি হিসেবে সাথে করে একটি পিস্তলও রাখেন তিনি। রোববার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

 

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজের সাথে পিস্তল বহন করেন এবং যুদ্ধের শুরুতে রাশিয়ানরা কিয়েভে তার সদর দপ্তরে হামলা চালালে তিনি তার সঙ্গীদের নিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করতেন বলে শনিবার (২৯ এপ্রিল) প্রচারিত একটি সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন।

১+১ টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি জানি কিভাবে গুলি চালাতে হয়। আপনি কি কল্পনা করতে পারেন- ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রুশরা বন্দী করে নিয়ে গেছে?’ এটি খুবই অপমানজনক। আমি বিশ্বাস করি, এটি অসম্মানজনক হবে।’

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, আক্রমণের পর প্রথম দিনগুলোতে রাশিয়ার গোয়েন্দা ইউনিটগুলো রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়।

এমনকি কিয়েভের কেন্দ্র বলে পরিচিত ব্যাঙ্কোভা স্ট্রিটে পৌঁছতেও ব্যর্থ হয় রাশিয়ানরা। আর এই ব্যাঙ্কোভা স্ট্রিটেই প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাসভবন অনুষ্ঠিত।

রয়টার্স বলছে, একপর্যায়ে অন্যান্য রাশিয়ান ইউনিট কিয়েভের উপকণ্ঠে আক্রমণ শুরু করে, কিন্তু সেখানেও তারা অগ্রসর হতে পারেনি। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা সেসময় শহরের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি ব্যর্থ নাশকতার প্রচেষ্টার কথাও জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে নিহত ৫

সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, তারা (রুশ সেনা বা গোয়েন্দারা) যদি প্রশাসনের ভেতরে ঢুকে যেত, তাহলে আমরা এখানে থাকতাম না।’

অবশ্য ইউক্রেনের লড়াইরত এই প্রেসিডেন্ট রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর ঠিক কোন ইউনিটের কথা বলছেন, তা স্পষ্ট নয়।

জেলেনস্কি বলছেন, ‘(রাশিয়ার বাহিনী) কাউকে বন্দি করতে পারত না কারণ আমরা ব্যাঙ্কোভা স্ট্রিটের প্রতিরক্ষা খুব গুরুত্ব সহকারে প্রস্তুত করেছি। আমরা শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতাম।’

ইউক্রেনীয় এই প্রেসিডেন্ট পিস্তল সাথে রাখেন কিনা এবং সেটি ব্যবহার করার অনুশীলন করেছিলেন কিনা জানতে চাইলে জেলেনস্কি বলেন, তিনি সেটি করেছিলেন।

তবে শেষমেষ রাশিয়ার সেনাদের হাতে ধরার পড়ার পরিবর্তে আত্মহত্যার জন্য পিস্তলটি ব্যবহার করতে পারেন, এমন ধারণা খারিজ করে দেন তিনি। জেলেনস্কির ভাষায়, ‘না, না, না। এটা আমার (নিজেকে গুলি করা) নয়। অবশ্যই (শত্রুদের দিকে) পাল্টা গুলি করতে হবে।’

ঢাকা/এসএম