০৫:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

হ্যাশট্যাগ কেন ব্যবহার করা হয়?

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০১:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৪১৯১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: হ্যাশট্যাগ শব্দটির সঙ্গে প্রায় আমরা সবাই পরিচিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর তা হলো, যে কোনো ইভেন্ট বা বিষয়কে একতাবদ্ধ করতে এর ব্যবহার। প্রায়ই আমাদের চোখে পড়ে হ্যাশট্যাগ (#ট্যাগ) সংবলিত স্ট্যাটাস বা ছবি। অনেকেই বুঝতে পারেন না, এই স্ট্যাটাস বা ছবির পেছনে কেন আঠার মতো লেগে আছে হ্যাশ (#)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আসলে এটাকে মাইক্রোব্লগিংয়ের ভাষায় বলা হয় হ্যাশট্যাগ। এটা একই ধরনের বক্তব্যকে একীভূত করে। যেমন ধরুন এখন বাণিজ্য মেলা চলছে। এখন যদি কেউ মেলা সম্পর্কে তথ্য বা কোনো বক্তব্য দিতে ব্যবহার করে # বাণিজ্য মেলা, তবে বুঝতে হবে এই রিলেটেড আরও বক্তব্য বা তথ্য আছে এই হ্যাশট্যাগে।

আপনি যখন কোনো শব্দের শুরুতেই হ্যাশট্যাগ (#ট্যাগ) ব্যবহার করবেন তখন সেটি নীল বর্ণ ধারণ করবে। অর্থাৎ সেটা একটা লিংক-এ পরিণত হবে। পরবর্তীতে এই রিলেটেড সব স্ট্যাটাস বা ছবি যদি একই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে দেওয়া হয় তবে সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারকারীরা সহজেই সব এক জায়গায় পাবেন। অর্থাৎ এটি সবার মতামত এক করার একটি উদ্যোগ।

তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, হ্যাশট্যাগের শব্দ সমষ্টি কোনো স্পেস ছাড়া লিখতে হয়। এতে সংখ্যা থাকতে পারে। স্পেস থাকলে এটা লিংক তৈরি করতে পারে না। এমনকি দাড়ি, কমা বা ফুলস্টপের মতো কোনো যতি চিহ্ন ব্যবহার করা যায় না।

সাধারণত কোনো বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে হ্যাশট্যাগের ব্যবহার বেশি। ইদানীং অবশ্য এর বিভিন্ন ব্যবহার বেড়েছে। আজকাল সিনেমার প্রচারেও এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে হচ্ছে। আবার কেউ কোনো বিষয়কে প্রাধান্য দিতেও একই কাজ করেন। কেউবা শুধুই নিজেদের ভিতর আড্ডার জন্যও এমনটা করতে পারেন।

হ্যাশট্যাগের ব্যবহার শুরু হয় মূলত মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে। পরে ২০১৩ সালের জুনে ফেসবুকেও এর ব্যবহার শুরু হয়। এখন গুগলপ্লাসেও এর ব্যবহার দেখা যায়। হ্যাশট্যাগের জনপ্রিয়তা এত বেড়ে যায় যে, শেষ পর্যন্ত ‘হ্যাশট্যাগ’ শব্দটি ২০১৪ সালের জুন মাসে অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারিতেও জায়গা করে নেয়।

হ্যাশট্যাগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। সবকিছুতে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা যায় না। যেমন- ইচ্ছে হলেই হ্যাশট্যাগ দিয়ে দিলেন, যত ইচ্ছা তত দিলেন। ব্যাপারটা এমন নয়। আপনি কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন তার ওপর ভিত্তি করে সংখ্যা কমবেশি হতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞরা দুই-তিনটির বেশি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার না করাই ভালো বলে পরামর্শ দেন।

হ্যাশট্যাগ যতোটা সম্ভব ছোট এবং সংক্ষিপ্ত রাখুন। অনেকগুলো শব্দ মিলিয়ে হ্যাশট্যাগ না দেওয়াই ভালো। দরকার না হলে সব পোস্টে হ্যাশট্যাগ দেওয়ার দরকার নেই। যদি আপনার পোস্ট বিশেষ কোনো বিষয় সম্পর্কে বলে তবে সেই বিষয়টি হ্যাশট্যাগ আকারে জুড়ে দিতে পারেন।

হ্যাশট্যাগ জুড়ে দেওয়া পোস্ট আপনাকে কেবল সম্ভাব্য লক্ষ্য বা টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে আপনাকে নিয়ে যাবে তা-ই নয়। এটি বিপণন ক্ষেত্র এবং আপনার প্রতিদ্বন্দী সম্পর্কেও জানাবে। তাই নিজের যোগ করা হ্যাশট্যাগ দিয়েই খুঁজে দেখুন আপনার পণ্যের মতো পণ্য অন্য কেউ সরবরাহ করছে কি না।

ঢাকা/বিএইচ

শেয়ার করুন

x

হ্যাশট্যাগ কেন ব্যবহার করা হয়?

আপডেট: ০৬:০১:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: হ্যাশট্যাগ শব্দটির সঙ্গে প্রায় আমরা সবাই পরিচিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর তা হলো, যে কোনো ইভেন্ট বা বিষয়কে একতাবদ্ধ করতে এর ব্যবহার। প্রায়ই আমাদের চোখে পড়ে হ্যাশট্যাগ (#ট্যাগ) সংবলিত স্ট্যাটাস বা ছবি। অনেকেই বুঝতে পারেন না, এই স্ট্যাটাস বা ছবির পেছনে কেন আঠার মতো লেগে আছে হ্যাশ (#)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আসলে এটাকে মাইক্রোব্লগিংয়ের ভাষায় বলা হয় হ্যাশট্যাগ। এটা একই ধরনের বক্তব্যকে একীভূত করে। যেমন ধরুন এখন বাণিজ্য মেলা চলছে। এখন যদি কেউ মেলা সম্পর্কে তথ্য বা কোনো বক্তব্য দিতে ব্যবহার করে # বাণিজ্য মেলা, তবে বুঝতে হবে এই রিলেটেড আরও বক্তব্য বা তথ্য আছে এই হ্যাশট্যাগে।

আপনি যখন কোনো শব্দের শুরুতেই হ্যাশট্যাগ (#ট্যাগ) ব্যবহার করবেন তখন সেটি নীল বর্ণ ধারণ করবে। অর্থাৎ সেটা একটা লিংক-এ পরিণত হবে। পরবর্তীতে এই রিলেটেড সব স্ট্যাটাস বা ছবি যদি একই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে দেওয়া হয় তবে সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারকারীরা সহজেই সব এক জায়গায় পাবেন। অর্থাৎ এটি সবার মতামত এক করার একটি উদ্যোগ।

তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, হ্যাশট্যাগের শব্দ সমষ্টি কোনো স্পেস ছাড়া লিখতে হয়। এতে সংখ্যা থাকতে পারে। স্পেস থাকলে এটা লিংক তৈরি করতে পারে না। এমনকি দাড়ি, কমা বা ফুলস্টপের মতো কোনো যতি চিহ্ন ব্যবহার করা যায় না।

সাধারণত কোনো বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে হ্যাশট্যাগের ব্যবহার বেশি। ইদানীং অবশ্য এর বিভিন্ন ব্যবহার বেড়েছে। আজকাল সিনেমার প্রচারেও এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে হচ্ছে। আবার কেউ কোনো বিষয়কে প্রাধান্য দিতেও একই কাজ করেন। কেউবা শুধুই নিজেদের ভিতর আড্ডার জন্যও এমনটা করতে পারেন।

হ্যাশট্যাগের ব্যবহার শুরু হয় মূলত মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে। পরে ২০১৩ সালের জুনে ফেসবুকেও এর ব্যবহার শুরু হয়। এখন গুগলপ্লাসেও এর ব্যবহার দেখা যায়। হ্যাশট্যাগের জনপ্রিয়তা এত বেড়ে যায় যে, শেষ পর্যন্ত ‘হ্যাশট্যাগ’ শব্দটি ২০১৪ সালের জুন মাসে অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারিতেও জায়গা করে নেয়।

হ্যাশট্যাগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। সবকিছুতে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা যায় না। যেমন- ইচ্ছে হলেই হ্যাশট্যাগ দিয়ে দিলেন, যত ইচ্ছা তত দিলেন। ব্যাপারটা এমন নয়। আপনি কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন তার ওপর ভিত্তি করে সংখ্যা কমবেশি হতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞরা দুই-তিনটির বেশি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার না করাই ভালো বলে পরামর্শ দেন।

হ্যাশট্যাগ যতোটা সম্ভব ছোট এবং সংক্ষিপ্ত রাখুন। অনেকগুলো শব্দ মিলিয়ে হ্যাশট্যাগ না দেওয়াই ভালো। দরকার না হলে সব পোস্টে হ্যাশট্যাগ দেওয়ার দরকার নেই। যদি আপনার পোস্ট বিশেষ কোনো বিষয় সম্পর্কে বলে তবে সেই বিষয়টি হ্যাশট্যাগ আকারে জুড়ে দিতে পারেন।

হ্যাশট্যাগ জুড়ে দেওয়া পোস্ট আপনাকে কেবল সম্ভাব্য লক্ষ্য বা টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে আপনাকে নিয়ে যাবে তা-ই নয়। এটি বিপণন ক্ষেত্র এবং আপনার প্রতিদ্বন্দী সম্পর্কেও জানাবে। তাই নিজের যোগ করা হ্যাশট্যাগ দিয়েই খুঁজে দেখুন আপনার পণ্যের মতো পণ্য অন্য কেউ সরবরাহ করছে কি না।

ঢাকা/বিএইচ