০৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

১২ দলের মাঠের তথ্য যাচাই করবে ইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪২২৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ৯৩ দলের মধ্যে ১২টির কাগজপত্র সঠিক পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন এসব দলের মাঠপর্যায়ের কার্যালয়ের তথ্য যাচাই করবে ইসি। এরপর নতুন দলের নিবন্ধন চূড়ান্ত করা হবে।

আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ইসি এ সিদ্ধান্ত নেয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রাথমিক বাছাইয়ে যে ১২টি দল টিকেছে, সেগুলো হলো এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।

ইসি সচিব বলেন, নতুন করে নিবন্ধন পেতে ৯৩টি দল আবেদন করেছিল। এ আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করেছে।

সচিব জানিয়েছেন, ৯৩টি আবেদনের মধ্যে ১৪টি দলের আবেদন নির্দিষ্ট ছকে (ফরম্যাট) ছিল না এবং দুটি দল আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৬টি আবেদন বাতিল হয়ে যায়। অবশিষ্ট ৭৭টি দলকে ১৫ দিনের মধ্যে তাদের কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়। ১৯টি দল ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে পারেনি। এ ছাড়া প্রেরিত চিঠি দুটির ঠিকানা ঠিক না থাকায় ফেরত এসেছে। ১০টি দল সময় আবেদন করেছিল। সেটা নামঞ্জুর করা হয়েছিল। এভাবে ৩১টি আবেদন পরবর্তী সময়ে বাতিল করা হয়। সবশেষে থাকে ৪৬টি আবেদন। এ ৪৬ আবেদনের মধ্যে ৩৪টিতে নীতিমালা আইন এবং ইসির চাওয়া শর্ত পূরণ না করায় সেগুলো বাতিল করা হয়েছে।

বাকি ১২টি দল থাকে। তারা যে তথ্য দিয়েছে, এখন তা মাঠপর্যায়ে যাচাই–বাছাই করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। এরপর কমিশন তা যাচাই–বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘যাচাই–বাছাই প্রক্রিয়া শেষে ১২টি দলের বিষয়ে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যার কারণে সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রীয় অফিস আছে কি না যাচাই করা হবে। আমরা বলেছি, ১৫ দিনের মধ্যে তথ্য দিতে হবে। রোডম্যাপ অনুযায়ী, জুনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে।’

আরও পড়ুন: সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়বে মূল্যস্ফীতিতে: পরিকল্পনামন্ত্রী

সচিব আরও বলেন, উপজেলা পর্যায়ে ২০০ ভোটারের সমর্থন থাকা লাগবে। এখন সেটা যাচাই করা হবে। এক-তৃতীয়াংশ জেলায় অফিস আছে কি না, সে রিপোর্ট আসার পর সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী তিনটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করলে কোনো রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। শর্ত তিনটি হলো—১. বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে অনুষ্ঠিত যেকোনো সংসদ নির্বাচনের যেকোনো একটিতে দলীয় প্রতীকে একটি আসন পেতে হবে। ২. কোনো সংসদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় মোট প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। ৩. দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং দেশের এক-তৃতীয়াংশ জেলায় ও ১০০টি উপজেলায় বা মেট্রোপলিটন থানায় কার্যালয় থাকতে হবে। প্রতিটি উপজেলায় দলের সদস্য হিসেবে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত থাকতে হবে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

১২ দলের মাঠের তথ্য যাচাই করবে ইসি

আপডেট: ০৫:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ৯৩ দলের মধ্যে ১২টির কাগজপত্র সঠিক পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন এসব দলের মাঠপর্যায়ের কার্যালয়ের তথ্য যাচাই করবে ইসি। এরপর নতুন দলের নিবন্ধন চূড়ান্ত করা হবে।

আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ইসি এ সিদ্ধান্ত নেয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রাথমিক বাছাইয়ে যে ১২টি দল টিকেছে, সেগুলো হলো এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।

ইসি সচিব বলেন, নতুন করে নিবন্ধন পেতে ৯৩টি দল আবেদন করেছিল। এ আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করেছে।

সচিব জানিয়েছেন, ৯৩টি আবেদনের মধ্যে ১৪টি দলের আবেদন নির্দিষ্ট ছকে (ফরম্যাট) ছিল না এবং দুটি দল আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৬টি আবেদন বাতিল হয়ে যায়। অবশিষ্ট ৭৭টি দলকে ১৫ দিনের মধ্যে তাদের কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়। ১৯টি দল ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে পারেনি। এ ছাড়া প্রেরিত চিঠি দুটির ঠিকানা ঠিক না থাকায় ফেরত এসেছে। ১০টি দল সময় আবেদন করেছিল। সেটা নামঞ্জুর করা হয়েছিল। এভাবে ৩১টি আবেদন পরবর্তী সময়ে বাতিল করা হয়। সবশেষে থাকে ৪৬টি আবেদন। এ ৪৬ আবেদনের মধ্যে ৩৪টিতে নীতিমালা আইন এবং ইসির চাওয়া শর্ত পূরণ না করায় সেগুলো বাতিল করা হয়েছে।

বাকি ১২টি দল থাকে। তারা যে তথ্য দিয়েছে, এখন তা মাঠপর্যায়ে যাচাই–বাছাই করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। এরপর কমিশন তা যাচাই–বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘যাচাই–বাছাই প্রক্রিয়া শেষে ১২টি দলের বিষয়ে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যার কারণে সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রীয় অফিস আছে কি না যাচাই করা হবে। আমরা বলেছি, ১৫ দিনের মধ্যে তথ্য দিতে হবে। রোডম্যাপ অনুযায়ী, জুনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে।’

আরও পড়ুন: সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়বে মূল্যস্ফীতিতে: পরিকল্পনামন্ত্রী

সচিব আরও বলেন, উপজেলা পর্যায়ে ২০০ ভোটারের সমর্থন থাকা লাগবে। এখন সেটা যাচাই করা হবে। এক-তৃতীয়াংশ জেলায় অফিস আছে কি না, সে রিপোর্ট আসার পর সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী তিনটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করলে কোনো রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। শর্ত তিনটি হলো—১. বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে অনুষ্ঠিত যেকোনো সংসদ নির্বাচনের যেকোনো একটিতে দলীয় প্রতীকে একটি আসন পেতে হবে। ২. কোনো সংসদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় মোট প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। ৩. দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং দেশের এক-তৃতীয়াংশ জেলায় ও ১০০টি উপজেলায় বা মেট্রোপলিটন থানায় কার্যালয় থাকতে হবে। প্রতিটি উপজেলায় দলের সদস্য হিসেবে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত থাকতে হবে।

ঢাকা/এসএ