১০:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

১৪ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতাল কখনই নিবন্ধন করেনি: আইসিডিডিআরবি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৫২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪১২৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশে অবৈধ ও অনিবন্ধিত ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কঠোর অভিযান চলছে। এর মধ্যেই দেশে অনিবন্ধিত হাসপাতালের সংখ্যা নিয়ে উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) বলছে, দেশে এমন কিছু সংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে যারা নিবন্ধনের জন্য কখনই আবেদন করেনি, শতকরা হিসেবে তা প্রায় ১৪ শতাংশ। এমনকি যারা কোনো এক সময় নিবন্ধনের আওতায় এসেছিলো, তাদের মধ্যেও বড় একটি সংখ্যার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় আইসিডিডিআরবি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই গবেষণা উপাত্ত তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ডিভিশনের (এমসিএইচডি) সিনিয়র ডিরেক্টর ডা. শামস এল আরেফিন।

২০১৯-২০ সালে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়। তবে, ২০২২ সালে এসে সেই পরিস্থিতি পরিবর্তন হতেও পারে বলে জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি।

ডা. শামস এল আরেফিন বলেন, দেশে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ বিষয়টি দেখতে ইউএস-এইডের সহায়তায় আমরা ১২ সিটি কর্পোরেশনের ১০টি জেলার ২৯টি উপজেলায় একটি গবেষণা জরিপ পরিচালনা করি। এতে স্থানীয় সিভিল সার্জনসহ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল সহায়তা করে।

তিনি বলেন, ‘গবেষণাটি করতে গিয়ে ১১৮৯টি বেসরকারি হাসপাতালকে অ্যাসেসমেন্টের (মূল্যায়ন) জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়, কিন্তু তাদের মধ্যে ৪০টি হাসপাতালই সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানায়। সবশেষে ১১১৭টিতে অ্যাসেসমেন্ট করা হয়।’

শামস এল আরেফিন বলেন, ‘জরিপকৃত ১১১৭টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৯৫৬টি হাসপাতাল কোনো এক সময় নিবন্ধনের আওতায় এসেছিলো, শতকরা হিসেবে যা প্রায় ৮৬ শতাংশ। আর বাকি ১৬১টি বেসরকারি হাসপাতাল কখনই নিবন্ধন করেনি, যা শতাংশ হিসেবে ১৪ শতাংশ।’

তিনি বলেন, ‘কোনো একসম নিবন্ধনের আওতায় আসা ৯৫৬টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৮৮৬টির (৭৯ শতাংশ) লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, ৬৬টি হাসপাতালের (৬ শতাংশ) বৈধ লাইসেন্স ছিলো এবং বাকি ৪টি হাসপাতাল (দশমিক ৫ শতাংশ) এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি।’

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ সাল থেকে দেশে বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের অগ্রগতি শুরু হয়। অগ্রগতিটা সবচেয়ে বেশি হয় ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্য সেবার জন্য নির্ভর করে বেসরকারি হাসপাতালের ওপর। বেসরকারি হাসপাতালের ওপর মানুষের এই নির্ভরশীলতার কারণ হলো সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ নানা সংকট।

আরও বলা হয়, ১৯৮২ সালের আইন অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে স্বাস্থ্যসেবার সাতটি শর্ত/নিয়ম মানতে হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব শর্ত পূরণ করে স্বাস্থ্যসেবা দিতে গেলে নানা বাঁধার মুখে পড়তে হয়, যে কারণে কোয়ালিটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে সমস্যা হয়।

আরো পড়ুন: দেশে গুম-খুনের সংস্কৃতি চালু করেছে জিয়া: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

১৪ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতাল কখনই নিবন্ধন করেনি: আইসিডিডিআরবি

আপডেট: ০৩:৫২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশে অবৈধ ও অনিবন্ধিত ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কঠোর অভিযান চলছে। এর মধ্যেই দেশে অনিবন্ধিত হাসপাতালের সংখ্যা নিয়ে উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) বলছে, দেশে এমন কিছু সংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে যারা নিবন্ধনের জন্য কখনই আবেদন করেনি, শতকরা হিসেবে তা প্রায় ১৪ শতাংশ। এমনকি যারা কোনো এক সময় নিবন্ধনের আওতায় এসেছিলো, তাদের মধ্যেও বড় একটি সংখ্যার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় আইসিডিডিআরবি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই গবেষণা উপাত্ত তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ডিভিশনের (এমসিএইচডি) সিনিয়র ডিরেক্টর ডা. শামস এল আরেফিন।

২০১৯-২০ সালে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়। তবে, ২০২২ সালে এসে সেই পরিস্থিতি পরিবর্তন হতেও পারে বলে জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি।

ডা. শামস এল আরেফিন বলেন, দেশে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ বিষয়টি দেখতে ইউএস-এইডের সহায়তায় আমরা ১২ সিটি কর্পোরেশনের ১০টি জেলার ২৯টি উপজেলায় একটি গবেষণা জরিপ পরিচালনা করি। এতে স্থানীয় সিভিল সার্জনসহ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল সহায়তা করে।

তিনি বলেন, ‘গবেষণাটি করতে গিয়ে ১১৮৯টি বেসরকারি হাসপাতালকে অ্যাসেসমেন্টের (মূল্যায়ন) জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়, কিন্তু তাদের মধ্যে ৪০টি হাসপাতালই সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানায়। সবশেষে ১১১৭টিতে অ্যাসেসমেন্ট করা হয়।’

শামস এল আরেফিন বলেন, ‘জরিপকৃত ১১১৭টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৯৫৬টি হাসপাতাল কোনো এক সময় নিবন্ধনের আওতায় এসেছিলো, শতকরা হিসেবে যা প্রায় ৮৬ শতাংশ। আর বাকি ১৬১টি বেসরকারি হাসপাতাল কখনই নিবন্ধন করেনি, যা শতাংশ হিসেবে ১৪ শতাংশ।’

তিনি বলেন, ‘কোনো একসম নিবন্ধনের আওতায় আসা ৯৫৬টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৮৮৬টির (৭৯ শতাংশ) লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, ৬৬টি হাসপাতালের (৬ শতাংশ) বৈধ লাইসেন্স ছিলো এবং বাকি ৪টি হাসপাতাল (দশমিক ৫ শতাংশ) এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি।’

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ সাল থেকে দেশে বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের অগ্রগতি শুরু হয়। অগ্রগতিটা সবচেয়ে বেশি হয় ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্য সেবার জন্য নির্ভর করে বেসরকারি হাসপাতালের ওপর। বেসরকারি হাসপাতালের ওপর মানুষের এই নির্ভরশীলতার কারণ হলো সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ নানা সংকট।

আরও বলা হয়, ১৯৮২ সালের আইন অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে স্বাস্থ্যসেবার সাতটি শর্ত/নিয়ম মানতে হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব শর্ত পূরণ করে স্বাস্থ্যসেবা দিতে গেলে নানা বাঁধার মুখে পড়তে হয়, যে কারণে কোয়ালিটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে সমস্যা হয়।

আরো পড়ুন: দেশে গুম-খুনের সংস্কৃতি চালু করেছে জিয়া: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা/এসএ