০৬:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩
  • / ৪১৮২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করতে বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধ করতে পারবে বাংলাদেশ। প্রকল্পটি ২০১০ সালের ১ জুলাই থেকে চলছে। আগামী ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রোববার (২৫ জুন) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সম্মেলনকক্ষে এডিবি ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মধ্যে এ ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং এডিবির পক্ষে চুক্তিতে সই করেন অফিসার ইন বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের (বিআরএম) মিস্টার ঝিয়াংবো নিং।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি আবাসিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইআরডি থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়া উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্পে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি। এ বিষয়ে একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত ও প্রকল্পের আওতায় দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার কিলোমিটার নতুন সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। এর ফলে পর্যটন শহর কক্সবাজারের সাথে রেলওয়ে সংযোগ স্থাপন; যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে রেলওয়ের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি; কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সেই সাথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার করিডোরের সাথে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরকে যুক্ত করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন: ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৪৪ কোটি ডলার

এডিবি ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। সুদের হার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ, ও ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়া, অধিকরণকৃত ঋণের ওপর শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ প্রদান করতে হবে।

উল্লেখ্য, এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উপকরণ সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্য লাভের পর থেকে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতসমূহ ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এডিবি এ যাবত বাংলাদেশ সরকারকে ২ হাজার ৮৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

আপডেট: ০৬:৩১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩

দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করতে বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধ করতে পারবে বাংলাদেশ। প্রকল্পটি ২০১০ সালের ১ জুলাই থেকে চলছে। আগামী ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রোববার (২৫ জুন) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সম্মেলনকক্ষে এডিবি ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মধ্যে এ ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং এডিবির পক্ষে চুক্তিতে সই করেন অফিসার ইন বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের (বিআরএম) মিস্টার ঝিয়াংবো নিং।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি আবাসিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইআরডি থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়া উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্পে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি। এ বিষয়ে একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত ও প্রকল্পের আওতায় দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার কিলোমিটার নতুন সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। এর ফলে পর্যটন শহর কক্সবাজারের সাথে রেলওয়ে সংযোগ স্থাপন; যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে রেলওয়ের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি; কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সেই সাথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার করিডোরের সাথে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরকে যুক্ত করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন: ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৪৪ কোটি ডলার

এডিবি ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। সুদের হার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ, ও ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়া, অধিকরণকৃত ঋণের ওপর শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ প্রদান করতে হবে।

উল্লেখ্য, এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উপকরণ সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্য লাভের পর থেকে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতসমূহ ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এডিবি এ যাবত বাংলাদেশ সরকারকে ২ হাজার ৮৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়।

ঢাকা/এসএ