০৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

৯ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দেড় হাজার কোটি ডলার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:১৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • / ৪১৭৭ বার দেখা হয়েছে

চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৬১ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রার (১ ডলার সমান ১০৬ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। আজ বুধবার (১০ মে) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশ ৫ হাজার ৩৯৩ কোটি ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে ৬ হাজার ১৫২ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের (প্রথম ৯ মাস) চেয়ে ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম আমদানি হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অর্থবছরের একই সময়ে দেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৯৩২ কোটি ডলারের পণ্য। যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে ৩ হাজার ৬৪৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

এদিকে গত ডিসেম্বর শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১ হাজার ২৩০ কোটি ডলার। মার্চ শেষে তা বেড়ে ১ হাজার ৪৬১ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ২৩১ কোটি ডলার বা ২৪ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা।

প্রতিবেদন বলছে, মার্চ শেষে অর্থবছরের ৯ মাসে সেবাখাত থেকে দেশের আয় হয়েছে ৬৫০ কোটি ডলার। একই সময়ে সেবাখাতে ব্যয় হয়েছে ৯৪০ কোটি ডলার। এসময়ে সেবাখাতে ২৮৯ কোটি ডলার ঘাটতি দাঁড়িয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৭৯ কোটি ডলার।

চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা মানে নিয়মিত লেনদেনে কোনো ঋণ করতে হয় না দেশকে। আর ঘাটতি থাকলে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। সে হিসাবে উন্নয়নশীল দেশের জন্য চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা ভালো। তবে আমাদের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স এখন ঋণাত্মক। তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে চলতি হিসাবে ঘাটতি হয়েছে ৩৬৪ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৪৩৪ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের ঋণে রিজার্ভ বেড়ে ৩০ বিলিয়ন ডলারে

আলোচিত সময়ে দেশ সামগ্রিক লেনদেনেও বড় ঘাটতিতে পড়েছে। মার্চ শেষে সামগ্রিক লেনদেনের (ঋণাত্মক) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮১৬ কোটি ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে (ঋণাত্মক) ছিল ৩০৯ কোটি ডলার। তবে চলতি অর্থবছরের এ সময়ে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই বেড়েছে। আলোচিত ৯ মাসে এফডিআই এসেছে ৩৭৮ কোটি ডলার, যা ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ছিল ৩৫৩ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ এফডিআই বেড়েছে।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ড অনুযায়ী গণনা করায় রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে দেশের ব্যবহারযোগ্য মোট রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

৯ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দেড় হাজার কোটি ডলার

আপডেট: ০৫:১৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৬১ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রার (১ ডলার সমান ১০৬ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। আজ বুধবার (১০ মে) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশ ৫ হাজার ৩৯৩ কোটি ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে ৬ হাজার ১৫২ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের (প্রথম ৯ মাস) চেয়ে ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম আমদানি হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অর্থবছরের একই সময়ে দেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৯৩২ কোটি ডলারের পণ্য। যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে ৩ হাজার ৬৪৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

এদিকে গত ডিসেম্বর শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১ হাজার ২৩০ কোটি ডলার। মার্চ শেষে তা বেড়ে ১ হাজার ৪৬১ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ২৩১ কোটি ডলার বা ২৪ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা।

প্রতিবেদন বলছে, মার্চ শেষে অর্থবছরের ৯ মাসে সেবাখাত থেকে দেশের আয় হয়েছে ৬৫০ কোটি ডলার। একই সময়ে সেবাখাতে ব্যয় হয়েছে ৯৪০ কোটি ডলার। এসময়ে সেবাখাতে ২৮৯ কোটি ডলার ঘাটতি দাঁড়িয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৭৯ কোটি ডলার।

চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা মানে নিয়মিত লেনদেনে কোনো ঋণ করতে হয় না দেশকে। আর ঘাটতি থাকলে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। সে হিসাবে উন্নয়নশীল দেশের জন্য চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা ভালো। তবে আমাদের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স এখন ঋণাত্মক। তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে চলতি হিসাবে ঘাটতি হয়েছে ৩৬৪ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৪৩৪ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের ঋণে রিজার্ভ বেড়ে ৩০ বিলিয়ন ডলারে

আলোচিত সময়ে দেশ সামগ্রিক লেনদেনেও বড় ঘাটতিতে পড়েছে। মার্চ শেষে সামগ্রিক লেনদেনের (ঋণাত্মক) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮১৬ কোটি ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে (ঋণাত্মক) ছিল ৩০৯ কোটি ডলার। তবে চলতি অর্থবছরের এ সময়ে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই বেড়েছে। আলোচিত ৯ মাসে এফডিআই এসেছে ৩৭৮ কোটি ডলার, যা ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ছিল ৩৫৩ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ এফডিআই বেড়েছে।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ড অনুযায়ী গণনা করায় রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে দেশের ব্যবহারযোগ্য মোট রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

ঢাকা/এসএ