০৮:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অর্থছাড় ইস্যুতে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক আজ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০৩১৫ বার দেখা হয়েছে

চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ৪৭০ কোটি ডলার চলমান ঋণের শর্ত পর্যালোচনায় ঢাকায় পা রেখেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইএমএফের গবেষণা শাখার উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও। ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করবে প্রতিনিধিদলটি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী, আজ রবিবার (৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করবে আইএমএফের প্রতিনিধিদলটি। একইদিন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও বৈঠক হবে তাদের। আগামী ১৭ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সফর শেষ করবে আইএমএফের প্রতিনিধিদলটি।

এবারের বৈঠকে আইএমএফ কর্মকর্তারা অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। মূল্যায়ন করা হবে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আইএমএফের শর্ত পূরণের বিষয়টি। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো আইএমএফের নীতির সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ সেগুলে পর্যালোচনা করবে সফররত প্রতিনিধিদলটি।

এর আগে, ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের একটি ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় তৎকালীন সরকার। পরে ওই বছরেরই ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করে আইএমএফ। মোট তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ ২৩১ কোটি ডলার পেলেও এখনও বাকি রয়েছে ২৩৯ কোটি ডলার।

এরপর জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এর মাঝেই ঋণের পরবর্তী কিস্তির অর্থছাড় আর আইএমএফের জুড়ে দেওয়া শর্ত নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাব সামাল দেওয়া কঠিন হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের ৮ মাসে বাকি ঋণের অর্থছাড়ের বিষয়টি দুই দফায় পেছালেও আগামী জুনেই চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়ার আশা করছে সরকার। তবে, এজন্য আইএমএফের জুড়ে দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করতে হবে, যেটি বেশ চ্যালেঞ্জিং।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

অর্থছাড় ইস্যুতে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক আজ

আপডেট: ১২:৪২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ৪৭০ কোটি ডলার চলমান ঋণের শর্ত পর্যালোচনায় ঢাকায় পা রেখেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইএমএফের গবেষণা শাখার উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও। ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করবে প্রতিনিধিদলটি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী, আজ রবিবার (৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করবে আইএমএফের প্রতিনিধিদলটি। একইদিন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও বৈঠক হবে তাদের। আগামী ১৭ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সফর শেষ করবে আইএমএফের প্রতিনিধিদলটি।

এবারের বৈঠকে আইএমএফ কর্মকর্তারা অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। মূল্যায়ন করা হবে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আইএমএফের শর্ত পূরণের বিষয়টি। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো আইএমএফের নীতির সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ সেগুলে পর্যালোচনা করবে সফররত প্রতিনিধিদলটি।

এর আগে, ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের একটি ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় তৎকালীন সরকার। পরে ওই বছরেরই ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করে আইএমএফ। মোট তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ ২৩১ কোটি ডলার পেলেও এখনও বাকি রয়েছে ২৩৯ কোটি ডলার।

এরপর জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এর মাঝেই ঋণের পরবর্তী কিস্তির অর্থছাড় আর আইএমএফের জুড়ে দেওয়া শর্ত নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাব সামাল দেওয়া কঠিন হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের ৮ মাসে বাকি ঋণের অর্থছাড়ের বিষয়টি দুই দফায় পেছালেও আগামী জুনেই চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়ার আশা করছে সরকার। তবে, এজন্য আইএমএফের জুড়ে দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করতে হবে, যেটি বেশ চ্যালেঞ্জিং।

ঢাকা/টিএ