১ জুলাই থেকে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ মোবাইল ফোন
- আপডেট: ০৭:০২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
- / ৪১৮৫ বার দেখা হয়েছে
বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত গ্রাহকের হ্যান্ডসেটগুলো আগামী ৩০ জুন বিটিআরসির সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। ফলে ১ জুলাই থেকে এ সেটগুলো বন্ধ হচ্ছে না। এ বিষয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ তথ্য জানিয়েছে। জানা যায়, আগামী ১ জুলাই থেকে অবৈধ মোবাইল ফোন শনাক্ত শুরু করার কথা ছিল বিটিআরসির। কিন্তু কিছু সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছিল, ওই দিন থেকে অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে। এই প্রেক্ষিতে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
বিটিআরসির কমিশনার এ কে এম শহীদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ কোটি হ্যান্ডসেটের চাহিদা রয়েছে। যার ৪০ শতাংশই অবৈধভাবে বাজারে প্রবেশ করেছে বা বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। আমরা এসব শৃঙ্খলার মধ্যে আনার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, মূলত আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখার জন্য এটা করা হচ্ছে। আর সুযোগ দেয়া হবে বৈধ করার জন্য। এ জন্য সবার কাছে মেসেজ যাবে। কারও মোবাইল বন্ধ হবে না। যোগাযোগ ব্যবস্থায় কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। বিদেশ থেকে কেনা হ্যান্ডসেটগুলোর ক্ষেত্রে বিটিআরসিতে বৈধ কাগজপত্র জমা দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
বিটিআরসি সূত্র জানায়, বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন পস্থায় অবৈধভাবে প্রবেশ করা এসব মোবাইল সেট শনাক্ত করা হবে। এ জন্য ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সিস্টেম ব্যবহার করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ। দেশে এই প্রথমবারের মতো এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করবে বিটিআরসি। তবে এতে মোবাইল গ্রাহকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়, যখনই কোনো সিমকার্ড হ্যান্ডসেটে প্রবেশ করানো হবে, এটি বিটিআরসি ডাটাবেসে একটি সংকেত প্রেরণ করবে যেখানে অনুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই নম্বর সংরক্ষণ করা থাকবে। হ্যান্ডসেটের আইএমইআই ডাটাবেসের সাথে মিললে তবেই সিমকার্ডটি চালু হবে।
এ বিষয়ে এ কে এম শহীদুজ্জামান আরও বলেন, যদি সক্রিয় সিমকার্ড মোবাইলে প্রবেশের পর বিটিআরসি ডাটাবেসে কোনো হ্যান্ডসেট না পাওয়া যায়, তাহলে বিটিআরসি ওই হ্যান্ডসেটের আইএমইআইকে সাদা তালিকায় সাতদিন রেখে ব্যবহারকারীকে ফোনটি আমদানি বা কেনার আইনি নথি ব্যবহার করে নিবন্ধনের সময় দেবেন। যদি কোনো ব্যবহারকারী তার হ্যান্ডসেটটি বিক্রি করতে চান, তবে তাকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হ্যান্ডসেটটি নিবন্ধনভুক্ত করে নতুন ব্যবহারকারীর নামের অধীনে ডাটাবেসে পুনরায় নিবন্ধন করাতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় তিন কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের চাহিদা রয়েছে। এর প্রায় অধিকাংশই চোরাই পথে আসে। ফলে প্রতিবছর প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারায় সরকার।
ঢাকা/এনইউ
আরও পড়ুন:
- মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান হলেন সত্য নাদেলা!
- দাঁড়িয়ে থাকলেই কমবে ওজন! বলছে গবেষণা
- নখের যেসব সমস্যা হতে পারে করোনার লক্ষণ
- হঠাৎ আবু ত্ব-হার শত্রু হলো কে?
- করোনায় আরও ৬৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৮৪০
- ঘর জামাই থাকতে চেয়ে মুকিত জাকারিয়ার বিজ্ঞাপন
- স্টার সিনেপ্লেক্সে বক্স অফিস মাতানো দুই সিনেমা
- কান্নাজড়িত কণ্ঠে রামোস বললেন, ‘আবার ফিরে আসব’
- আন্তঃব্যাংক চেক নিষ্পত্তির সময় বাড়ল আধা ঘণ্টা
- ব্লক মার্কেটে লেনদেনের শীর্ষে আইএফআইসি ব্যাংক
- ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম রফতানি বাজার বাংলাদেশ
- বিশ্ব শান্তি সূচকে সাত ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের
- ফের লেনদেন বন্ধের মেয়াদ বেড়েছে বেক্সিমকো সিনথেটিকসের
- বৃহস্পতিবার দর পতনের শীর্ষে ইনডেক্স এগ্রো