০৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

অদ্ভুত আচরণকারী সহকর্মীকে বশে আনবেন যেভাবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১৪৫ বার দেখা হয়েছে

কর্মস্থলে সবাই দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটান সহকর্মীদের সঙ্গে। যতটা সময় একজন মানুষ বাড়িতে কাটান, তার চেয়ে অনেক বেশি সময় তিনি অফিসে কাটান। প্রায় জীবনের এক তৃতীয়াংশ তাকে প্রতিদিন সহকর্মীদের সঙ্গে কাটাতে হয়। পরিবারের সব মানুষ, আত্মীয়স্বজন যেমন একরকম হন না, সে রকমই অফিসের সব সহকর্মীও এক রকম হন না। কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তো কেউ পারলেও কিছু করেন না! কেউ প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন, তো কেউ অন্যের পদন্নোতি একদম দেখতে পারেন না!

এ রকমটা প্রায় সব অফিসেই হয়, তাই এ ঘটনা নতুন কিছু নয়। সমস্যা হয় তখন, যখন এটা নিজেদের সঙ্গে ঘটে। অফিসের কাজ আনন্দের সঙ্গে করার জন্য সহকর্মীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক খুবই জরুরি। তবে কখনো কখনো অপ্রত্যাশিত ব্যবহার করে বসেন অনেক সহকর্মী। কারো কারো আচরণ আবার অদ্ভুতও হয়। এতে কাজের পরিবেশ যেমন নষ্ট নয়, তেমনি ভুগতে হয় মানসিক কষ্টে। এ রকম কোনো অদ্ভুত সহকর্মীকে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সহজেই বশে আনা যায়।

এবার জেনে নেওয়া যাক সেই কৌশল:

নিজের বক্তব্য শান্ত মাথায় পেশ করতে হবে। হঠাৎ করে রেগে গেলে চলবে না। সহকর্মী যদি উত্তেজিত হন, তা হলেও নয়। সম্মান দেখিয়েই সম্মান আদায় করতে হবে।

নিজে ভালো তো জগত ভালো। এর আগে অন্য সহকর্মীর সঙ্গে একই সমস্যা, আবার নতুন অফিসেও তাই? তা হলে সমস্যাটা অন্যের মধ্যে না খুঁজে নিজের দিকে একবার আয়না ধরলে হয় তো উত্তর পাওয়া যাবে। সব সময়ে নিজের কথা না বলে অন্যের কথা শোনার অভ্যাসও করতে হবে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারও বজায় রেখে চলতে হবে। অন্যজন খারাপ, এটা ভেবে এগিয়ে যাওয়ার আগে একবার নিজের আচরণ বিশ্লেষণ করলে ভালো হয়।

অফিসের মধ্যে সব কথা মন খুলে বলা যায় না। আর সেটা বলা উচিতও নয়। অনেক সুস্থ স্বাভাবিক বন্ধুত্বের সম্পর্কই অফিসের নয়টা পাঁচটার ঘেরাটোপে শুকিয়ে যায়। তাই মাঝে মধ্যে বাইরে বেরোতে হবে। কোনও একদিন সহকর্মীদের লাঞ্চ বা ডিনারে আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে। অফিস ছুটির পর একটা নির্ভেজাল আড্ডা বা সিনেমাও দেখা যায়। অফিসের অনেক রেষারেষি বা মনোমালিন্য এভাবেও ফিকে হতে পারে।

যদি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেও সেই হাতে কেউ হাত না রাখেন, তা হলে অফিসের সম্পর্ক অফিস পর্যন্ত থাকলেই ভালো হয়। কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে, আবার বেশি সখ্যতা না রেখে একটা মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে হবে। যেখানে অফিস ছুটি হলেই কেউ কাউকে চিনবেন না।

অফিস গসিপ হচ্ছে অনেকটা জাঙ্ক ফুডের মতো। খেতে ভালো লাগে, কিন্তু তাতে পুষ্টি নেই, উল্টে বিপদ বাড়িয়ে দেয়। অফিস গসিপ থেকে শত হাত দূরে থাকাই মঙ্গল।

সূত্র: নিউজ১৮

শেয়ার করুন

x
English Version

অদ্ভুত আচরণকারী সহকর্মীকে বশে আনবেন যেভাবে

আপডেট: ০২:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০

কর্মস্থলে সবাই দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটান সহকর্মীদের সঙ্গে। যতটা সময় একজন মানুষ বাড়িতে কাটান, তার চেয়ে অনেক বেশি সময় তিনি অফিসে কাটান। প্রায় জীবনের এক তৃতীয়াংশ তাকে প্রতিদিন সহকর্মীদের সঙ্গে কাটাতে হয়। পরিবারের সব মানুষ, আত্মীয়স্বজন যেমন একরকম হন না, সে রকমই অফিসের সব সহকর্মীও এক রকম হন না। কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তো কেউ পারলেও কিছু করেন না! কেউ প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন, তো কেউ অন্যের পদন্নোতি একদম দেখতে পারেন না!

এ রকমটা প্রায় সব অফিসেই হয়, তাই এ ঘটনা নতুন কিছু নয়। সমস্যা হয় তখন, যখন এটা নিজেদের সঙ্গে ঘটে। অফিসের কাজ আনন্দের সঙ্গে করার জন্য সহকর্মীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক খুবই জরুরি। তবে কখনো কখনো অপ্রত্যাশিত ব্যবহার করে বসেন অনেক সহকর্মী। কারো কারো আচরণ আবার অদ্ভুতও হয়। এতে কাজের পরিবেশ যেমন নষ্ট নয়, তেমনি ভুগতে হয় মানসিক কষ্টে। এ রকম কোনো অদ্ভুত সহকর্মীকে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সহজেই বশে আনা যায়।

এবার জেনে নেওয়া যাক সেই কৌশল:

নিজের বক্তব্য শান্ত মাথায় পেশ করতে হবে। হঠাৎ করে রেগে গেলে চলবে না। সহকর্মী যদি উত্তেজিত হন, তা হলেও নয়। সম্মান দেখিয়েই সম্মান আদায় করতে হবে।

নিজে ভালো তো জগত ভালো। এর আগে অন্য সহকর্মীর সঙ্গে একই সমস্যা, আবার নতুন অফিসেও তাই? তা হলে সমস্যাটা অন্যের মধ্যে না খুঁজে নিজের দিকে একবার আয়না ধরলে হয় তো উত্তর পাওয়া যাবে। সব সময়ে নিজের কথা না বলে অন্যের কথা শোনার অভ্যাসও করতে হবে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারও বজায় রেখে চলতে হবে। অন্যজন খারাপ, এটা ভেবে এগিয়ে যাওয়ার আগে একবার নিজের আচরণ বিশ্লেষণ করলে ভালো হয়।

অফিসের মধ্যে সব কথা মন খুলে বলা যায় না। আর সেটা বলা উচিতও নয়। অনেক সুস্থ স্বাভাবিক বন্ধুত্বের সম্পর্কই অফিসের নয়টা পাঁচটার ঘেরাটোপে শুকিয়ে যায়। তাই মাঝে মধ্যে বাইরে বেরোতে হবে। কোনও একদিন সহকর্মীদের লাঞ্চ বা ডিনারে আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে। অফিস ছুটির পর একটা নির্ভেজাল আড্ডা বা সিনেমাও দেখা যায়। অফিসের অনেক রেষারেষি বা মনোমালিন্য এভাবেও ফিকে হতে পারে।

যদি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেও সেই হাতে কেউ হাত না রাখেন, তা হলে অফিসের সম্পর্ক অফিস পর্যন্ত থাকলেই ভালো হয়। কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে, আবার বেশি সখ্যতা না রেখে একটা মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে হবে। যেখানে অফিস ছুটি হলেই কেউ কাউকে চিনবেন না।

অফিস গসিপ হচ্ছে অনেকটা জাঙ্ক ফুডের মতো। খেতে ভালো লাগে, কিন্তু তাতে পুষ্টি নেই, উল্টে বিপদ বাড়িয়ে দেয়। অফিস গসিপ থেকে শত হাত দূরে থাকাই মঙ্গল।

সূত্র: নিউজ১৮