০৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

অপতথ্য রুখতে ইইউ’র সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:২৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১১৫ বার দেখা হয়েছে

অপতথ্য রুখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেন, অপতথ্য মানবসমাজকে বিরাট ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এগুলো করা হচ্ছে।

আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মূলত আজ আমরা ডিজইনফরমেশন ও মিসইনফরমেশন নিয়ে আলোচনা করেছি, কীভাবে ইনক্লুসিভ (অন্তর্ভুক্তিমূলক) একটি ব্যবস্থার মাধ্যমে এটার বিরুদ্ধে  শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে পারি। নতুন একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটা নিয়ে তারাও চিন্তা করছেন, আমরাও করছি। এখানে আমরা অংশীদার হচ্ছি। পরস্পরকে সহযোগিতা করে বৈশ্বিকভাবে আমরা এর একটা সুরাহা করতে পারি কি না; সেই আলাপ হয়েছে।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, অপতথ্যের কারণে পশ্চিমারা এবং আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। আমাদের মধ্যে সেই আলাপই হয়েছে। এ নিয়ে নৈতিকভাবে আমরা একমত আছি। পশ্চিমারা বিভিন্ন ধরনের আইন করছেন। সেই আইনের খসড়া, আইন প্রণয়নের বিষয়গুলো আমাদের শেয়ার করবেন। বিশ্বজুড়ে অপতথ্যের এই উদ্বেগটা আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেমন আছে, তেমনই আমাদেরও। সেক্ষেত্রে আমরা কীভাবে পরস্পরকে সহায়তা করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা করেছি।

আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা খুবই দুঃখজনক: শেখ হাসিনা

তিনি বলেন, যুদ্ধ-বিগ্রহে সাংবাদিকদের ঝুঁকির মধ্যে পড়া, সেটা তো আছেই। বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেগুলো নিয়ে একটা আলাপ হয়েছে। ইউরোপেও বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে বলে রাষ্ট্রদূত বলেছেন। আমাদের দেশেও কোথায় কোথায় আমরা ইমপ্রুভ করতে পারি, সেটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে ওপেন করে দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটেছে। এই উদার করতে এমনও হয়েছে, গণমাধ্যমের মধ্যেও একটা ইনডিসিপ্লিন হয়ে গেছে। এটা আমরা বলছি না, গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে আপনারাই বলছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পেশাদার সাংবাদিকরাই বলছেন যে এটাকে রেগুলেশন, ডিসিপ্লিনে আনা দরকার। আপনারাই বলছেন একটু রেগুলেট করতে হবে। এগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ চাই। গণতন্ত্র হচ্ছে আইনের শাসন। স্বাধীনতার নামে আমরা তো জঙ্গল বানিয়ে ফেলতে পারি না।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

x

অপতথ্য রুখতে ইইউ’র সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

আপডেট: ০৪:২৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অপতথ্য রুখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেন, অপতথ্য মানবসমাজকে বিরাট ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এগুলো করা হচ্ছে।

আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মূলত আজ আমরা ডিজইনফরমেশন ও মিসইনফরমেশন নিয়ে আলোচনা করেছি, কীভাবে ইনক্লুসিভ (অন্তর্ভুক্তিমূলক) একটি ব্যবস্থার মাধ্যমে এটার বিরুদ্ধে  শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে পারি। নতুন একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটা নিয়ে তারাও চিন্তা করছেন, আমরাও করছি। এখানে আমরা অংশীদার হচ্ছি। পরস্পরকে সহযোগিতা করে বৈশ্বিকভাবে আমরা এর একটা সুরাহা করতে পারি কি না; সেই আলাপ হয়েছে।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, অপতথ্যের কারণে পশ্চিমারা এবং আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। আমাদের মধ্যে সেই আলাপই হয়েছে। এ নিয়ে নৈতিকভাবে আমরা একমত আছি। পশ্চিমারা বিভিন্ন ধরনের আইন করছেন। সেই আইনের খসড়া, আইন প্রণয়নের বিষয়গুলো আমাদের শেয়ার করবেন। বিশ্বজুড়ে অপতথ্যের এই উদ্বেগটা আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেমন আছে, তেমনই আমাদেরও। সেক্ষেত্রে আমরা কীভাবে পরস্পরকে সহায়তা করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা করেছি।

আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা খুবই দুঃখজনক: শেখ হাসিনা

তিনি বলেন, যুদ্ধ-বিগ্রহে সাংবাদিকদের ঝুঁকির মধ্যে পড়া, সেটা তো আছেই। বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেগুলো নিয়ে একটা আলাপ হয়েছে। ইউরোপেও বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে বলে রাষ্ট্রদূত বলেছেন। আমাদের দেশেও কোথায় কোথায় আমরা ইমপ্রুভ করতে পারি, সেটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে ওপেন করে দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটেছে। এই উদার করতে এমনও হয়েছে, গণমাধ্যমের মধ্যেও একটা ইনডিসিপ্লিন হয়ে গেছে। এটা আমরা বলছি না, গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে আপনারাই বলছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পেশাদার সাংবাদিকরাই বলছেন যে এটাকে রেগুলেশন, ডিসিপ্লিনে আনা দরকার। আপনারাই বলছেন একটু রেগুলেট করতে হবে। এগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ চাই। গণতন্ত্র হচ্ছে আইনের শাসন। স্বাধীনতার নামে আমরা তো জঙ্গল বানিয়ে ফেলতে পারি না।

ঢাকা/কেএ