০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

অপতৎপরতা থেকে বিরত না হলে সংলাপের কোনো প্রশ্নই আসে না: ওবায়দুল কাদের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • / ৪১৪১ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংলাপ নিয়ে উদ্ভট ও মনগড়া বক্তব্য রাখছেন। তারা যতদিন এদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত এবং নির্বাচন ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতা থেকে বিরত না হবে ততদিন পর্যন্ত সংলাপের কোনো প্রশ্নই আসে না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

রোববার (১১ জুন) বিকেলে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেছেন।তিনি বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রহসনমূলক বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

কাদের বলেন, বিএনপি বিভিন্ন প্যাডসর্বস্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ঐক্য গড়ার চেষ্টা করছে। তাদের ঐক্যের রূপ কী হয় তা আমরা বিগত দিনে দেখেছি! জগাখিচুড়ি মার্কা ঐক্য নিয়ে ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল, কিন্তু জনগণ তাদের ওপর আস্থা রাখেনি। জনগণ বরাবরই শেখ হাসিনা ভিশনারি নেতৃত্বের প্রতি ইস্পাত দৃঢ় সমর্থন দিয়ে চলেছে। আগামীতেও এদেশের জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থনে আমরা জয়ী হবো।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রহসন ও প্রতারণা বিএনপির অপরাজনীতির নীতি। তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে করতে নিজেরাই প্রতারণার গোলকধাঁধায় দিশেহারা। কপটতা, শঠতা ও প্রতারণাপূর্ণ রাজনৈতিক কৌশলের জন্য জনগণ তাদের ওপর আস্থা হারিয়েছে। গণতন্ত্র, সংবিধান ও মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে বারবার ছিনিমিনি খেলায় জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে নাই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এদেশের জনগণের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে যখন যে ওয়াদা করেছে তা বাস্তবায়ন করেছে। এ কারণে দেশের জনগণও বারবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে।

আরও পড়ুন: পিকআপ চাপায় ছয় ভাইকে হত্যার দায়ে চালকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বরাবরের মতো ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছে। একমাত্র বিএনপি ও তাদের ঘিরে থাকা অগণতান্ত্রিক শক্তির কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার লাইভ ইস্যু হলেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন সব মানুষের কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি ডেড ইস্যু। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে মহামান্য আদালত অনেক আগেই ফয়সালা করে দিয়েছে। বিএনপি নেতারা যতই আহাজারি করুক মৃত এ সত্তার জীবিত রূপ আর ফিরে আসবে না। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পাহারাদার অগণতান্ত্রিক কোনো ব্যবস্থা হবে না।

তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ১০ ভাগের বেশি আসন পায়নি। বিএনপি নেতারা সেই দুঃস্বপ্নের ট্রমা আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তাই তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আসন প্রাপ্তি নিয়ে পাগলের প্রলাপ বকছে। এদেশের জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে বার বার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে বেছে নিয়েছে। দেশবাসী জানে, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার ধারিবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকলেই এদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

অপতৎপরতা থেকে বিরত না হলে সংলাপের কোনো প্রশ্নই আসে না: ওবায়দুল কাদের

আপডেট: ০৭:৩২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংলাপ নিয়ে উদ্ভট ও মনগড়া বক্তব্য রাখছেন। তারা যতদিন এদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত এবং নির্বাচন ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতা থেকে বিরত না হবে ততদিন পর্যন্ত সংলাপের কোনো প্রশ্নই আসে না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

রোববার (১১ জুন) বিকেলে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেছেন।তিনি বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রহসনমূলক বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

কাদের বলেন, বিএনপি বিভিন্ন প্যাডসর্বস্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ঐক্য গড়ার চেষ্টা করছে। তাদের ঐক্যের রূপ কী হয় তা আমরা বিগত দিনে দেখেছি! জগাখিচুড়ি মার্কা ঐক্য নিয়ে ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল, কিন্তু জনগণ তাদের ওপর আস্থা রাখেনি। জনগণ বরাবরই শেখ হাসিনা ভিশনারি নেতৃত্বের প্রতি ইস্পাত দৃঢ় সমর্থন দিয়ে চলেছে। আগামীতেও এদেশের জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থনে আমরা জয়ী হবো।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রহসন ও প্রতারণা বিএনপির অপরাজনীতির নীতি। তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে করতে নিজেরাই প্রতারণার গোলকধাঁধায় দিশেহারা। কপটতা, শঠতা ও প্রতারণাপূর্ণ রাজনৈতিক কৌশলের জন্য জনগণ তাদের ওপর আস্থা হারিয়েছে। গণতন্ত্র, সংবিধান ও মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে বারবার ছিনিমিনি খেলায় জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে নাই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এদেশের জনগণের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে যখন যে ওয়াদা করেছে তা বাস্তবায়ন করেছে। এ কারণে দেশের জনগণও বারবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে।

আরও পড়ুন: পিকআপ চাপায় ছয় ভাইকে হত্যার দায়ে চালকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বরাবরের মতো ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছে। একমাত্র বিএনপি ও তাদের ঘিরে থাকা অগণতান্ত্রিক শক্তির কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার লাইভ ইস্যু হলেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন সব মানুষের কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি ডেড ইস্যু। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে মহামান্য আদালত অনেক আগেই ফয়সালা করে দিয়েছে। বিএনপি নেতারা যতই আহাজারি করুক মৃত এ সত্তার জীবিত রূপ আর ফিরে আসবে না। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পাহারাদার অগণতান্ত্রিক কোনো ব্যবস্থা হবে না।

তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ১০ ভাগের বেশি আসন পায়নি। বিএনপি নেতারা সেই দুঃস্বপ্নের ট্রমা আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তাই তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আসন প্রাপ্তি নিয়ে পাগলের প্রলাপ বকছে। এদেশের জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে বার বার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে বেছে নিয়েছে। দেশবাসী জানে, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার ধারিবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকলেই এদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা/এসএম