অবশেষে আইপিওর অর্থ ব্যবহারের অনুমতি পেল রিং শাইন
- আপডেট: ০৪:৫৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১
- / ৪২৬৭ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করা অর্থের একাংশ ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিং শাইন টেক্সটাইলস লিমিটেড। আইপিওর কিছুদিনের মধ্যেই কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দেশ ছেড়ে যাওয়ার গুজবের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়েছিল। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যবস্থা নিয়েছিল। এতে চলতি মূলধনের অভাবে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কোম্পানিটিকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন বৈঠকে আইপিওর অর্থ থেকে ৪০ কোটি টাকা ছাড় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে কোম্পানিটির পর্ষদে কয়েকজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সূত্র অনুসারে, আলোচিত অর্থ থেকে শ্রমিকদের অবসর ভাতা পরিশোধে ১৫ কোটি টাকা, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের বকেয়া পরিশোধে ৩ কোটি টাকা, তিতাস গ্যাসের বকেয়া বিল পরিশোধে সাড়ে ৩ কোটি টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে ১০ কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে ৬ কোটি টাকা এবং বিবিধ খাতে আড়াই কোটি টাকা ব্যয় করা যাবে।
এছাড়াও আজকের বৈঠকে ন্যুনতম ৫১ শতাংশ শেয়ারহোল্ডারের উপস্থিতিতে কোম্পানিটির আইপিওর অর্থ ব্যবহার পরিকল্পনা সংশোধন/পরিবর্তনের ঘটনাত্তোর অনুমোদন দেওয়া হয়।
অন্যদিকে কোম্পানিটি আইপিওতে আসার আসে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে যে টাকা উত্তোলন করেছে বলে দেখিয়েছে, তার মধ্য থেকে কোনো অর্থ জমা না হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীর শেয়ার বাতিল এবং তা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়কমিশন বৈঠকে।
উল্লেখ, গত বছর প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসে রিং শাইন টেক্সটাইলস। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি বাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। কোম্পানিটি আইপিওর আগে কোম্পানিটি ১৫০ কোটি টাকার ‘শেয়ার মানি ডিপোজিট’কে শেয়ারে রূপান্তর করে।
রিং শাইনের আইপিওর অনুমোদন পাওয়ার পর থেকেই নানা বিতর্ক শুরু হয়। অতি দুর্বল কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা নানা কারসাজির মাধ্যমে ভাল আর্থিক চিত্র দেখিয়ে কোম্পানিটিকে বাজারে নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ উঠে।
ঢাকা/এনইউ
আরও পড়ুন:
- ব্লকে মার্কেটে লেনদেনের শীর্ষে রেনেটা লিমিটেড
- করোনায় ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ৩৬, শনাক্ত ১৪৫৭
- ফের লেনদেন বন্ধের মেয়াদ বাড়লো বেক্সিমকো সিনথেটিকসের
- সাংবাদিক রোজিনার জামিন শুনানি শেষ, আদেশ পরে
- শেষ কার্যদিবসে সূচক ও লেনদেনের বড় পতন
- রোববার স্পট মার্কেটে যাচ্ছে ৩ কোম্পানি
- গুণীজনদের হাতে স্বাধীনতা পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- বিকেলে আসছে ৯ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ও আর্থিক প্রতিবেদন
- ডিভিডেন্ড পাঠিয়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক
- এক নজরে ৫ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- রাশিফল: কেমন কাটবে আপনার দিনটি!
- ২০ মে: ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিলো
- নতুন ৩০ ব্রোকারেজ হাউজের অনুমোদন
- বিএসইসির নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ ২১ কোম্পানি
- স্টাইলক্রাফটের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ