০৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ইউএফএসের মালিকসহ ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইসিবির মামলা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৩৩ বার দেখা হয়েছে

জাল ব্যাংক প্রতিবেদন ও ভুয়া এফডিআরের মাধ্যমে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশন (ইউএফএস) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি মিউচুয়াল ফান্ডের ২০৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় কোম্পানিটির ১৩ কর্মকতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাষ্ট্রয়াত্ত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এ মামলা দায়ের করেছে। গত ১১ জানুয়ারি করা আইসিবির মামলাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ট্রাস্টির পক্ষ থেকে বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার নথিতে বলা হয়েছে, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে প্রতারণামূলকভাবে টাকা আত্মসাৎ করার অপরাধ চিহ্নিত হয়েছে। আত্মসাৎকৃত ২০৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা উদ্ধার করতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মামলার আসামিরা হলেন—অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইউএফএস, ইউএফএসের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলমগীর ফারুখ চৌধুরী, কোম্পানির এমডি সৈয়দ হামজা আলমগীর, পরিচালক ইসরাত আলমগীর, আলিয়া হক আলমগীর, মাহিদ হক, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মোহাম্মদ মাসুম চৌধুরী, মোসাম্মত উম্মে ইসলাম সোহানা, সৈয়দা শেহরীন হোসেন, তারিক মাসুদ খান, সৈয়দা মেহরীন হুসেইনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জন।

এর আগে বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজারের স্বার্থে উল্লিখিত ইউএফএস ও কোম্পানির সব ফান্ডের নিরীক্ষককে যেকোনো মিউচুয়াল ফান্ডের নিরীক্ষা থেকে নিষিদ্ধ করা উচিত, জানিয়ে বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়, ইউএফএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনায় চারটি ফান্ড ইউএফএস-আইবিবিএল শরিয়া ইউনিট ফান্ড, ইউএফএস-পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ড, ইউএফএস-পদ্মা লাইফ ইসলামিক ইউনিট ফান্ড ও ইউএফএস-ব্যাংক এশিয়া ইউনিট ফান্ডের নিরীক্ষা করে আসছে আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। নিরীক্ষক মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর অনুসন্ধানের জন্য তদন্তের শুনানিতে উপস্থিত হয়নি। এ থেকে স্পষ্ট যে, তদন্ত কমিটির সঙ্গে নিরীক্ষক অপেশাদার আচরণ করেছে। তাই, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর ধারা ২০-এ দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে মিউচুয়াল ফান্ডের ম্যানেজার, ট্রাস্টি, কাস্টোডিয়ান, ইস্যুকারী এবং সম্পদ ব্যবস্থাপককে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে, নিরীক্ষক আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে ইউএফএসের অধীনে থাকা কোনো মিউচুয়াল ফান্ডের নিরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হবে না। কমিশন আরও নির্দেশ দিয়েছে, নিরীক্ষককে কোনো মিউচুয়াল ফান্ড এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির নিরীক্ষক হতে অনুমতি দেবে না কমিশন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত জারি থাকবে।

আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে ১৫৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ

এর আগে কোম্পানিটির ফান্ড সংশ্লিষ্টদের কাছে ২৩টি তথ্য চেয়েছে কমিশন, যা ৮ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছিল। বিএসইসির চিঠিতে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো—ইউএফএসের ব্যবস্থাপনার ইউএফএসইপিএল ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং ইউএফএসইপিএল প্রাইভেট ইকুইটি ফান্ডের পূর্বের ও বর্তমানের সব আর্থিক প্রতিবেদন, ফান্ড দুটির সব ব্যাংক স্টেটমেন্টের তথ্য, ফান্ড দুটিতে উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ ও তাদের ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট, ফান্ডগুলোর গ্রাহক ও তাদের টাকার পরিমাণের তথ্য, ফান্ড দুটিতে বিনিয়োগ কমিটির সদস্যদের তালিকা।

সেই সঙ্গে ফান্ড দুটির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যেসব ব্যবসায় বিনিয়োগ আছে, সেগুলো ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ জমা দিতে বলা হয়েছে। ফান্ডগুলোর পোর্টফোলিওতে থাকা কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থার বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া, ফান্ড দুটির বিনিয়োগের অবস্থা এবং নির্দিষ্ট সীমার বিষয়ে প্রকাশ করা তথ্য, অতালিকাভুক্ত কোম্পানিতে ফান্ড দুটির বিনিয়োগের বিষয়ে ট্রাস্টি থেকে প্রাপ্ত কনসেন্ট লেটার, ফান্ডগুলোর সম্পদ মূল্য ও শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা ফি এবং সংশ্লিষ্ট সব তথ্য কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:  আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোংয়ের অপেশাদারীত্বে চার ফান্ডের ১৫৮ কোটি টাকা খোয়া

অপরদিকে, টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ইউএফএস ও তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ হামজা আলমগীরসহ ১৫ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত বা জব্দ করা হয়েছে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ কথা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন বন্ধে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সংস্থা হচ্ছে বিএফআইইউ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঠানো চিঠিতে ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশনসহ ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিএফআইইউ। চিঠিতে প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা ও টিআইএন নম্বর (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো—ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশনস লিমিটেড। ইউএফএসের এমডি সৈয়দ হামজা আলমগীর, আলিয়া হক আলমগীর ও মাহিদ হকের নাম রয়েছে। চিঠিতে আরও নাম আছে তারেক মাসুদ খান, মোহাম্মাদ জাকির হোসেন ও মোসা. উম্মে ইসলাম সোহানা, ইশরাত আলমগীর, সৈয়দা মেহরীন রহমান, সৈয়দ আলমগীর ফারুক চৌধুরী ও সৈয়দা শেহরীন হুসাইনের।

আরও পড়ুন: চার ফান্ডের ১৫৮ কোটি টাকা নিয়ে উধাও ইউএফএসের এমডি

অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখার তালিকায় আরও আছে— ইউএফএস-আইবিবিএল শরিয়া ইউনিট ফান্ড, ইউএফএস-পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ড ৩৮, ইউএফএস-ব্যাংক এশিয়া ইউনিট ফান্ড এবং ইউএফএস-পদ্মা লাইফ ইসলামিক ফান্ড। এর আগে এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই দিন থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে বিএসইসি ও আইসিবিকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ইউএফএসের মালিকসহ ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইসিবির মামলা

আপডেট: ১১:৫০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জাল ব্যাংক প্রতিবেদন ও ভুয়া এফডিআরের মাধ্যমে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশন (ইউএফএস) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি মিউচুয়াল ফান্ডের ২০৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় কোম্পানিটির ১৩ কর্মকতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাষ্ট্রয়াত্ত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এ মামলা দায়ের করেছে। গত ১১ জানুয়ারি করা আইসিবির মামলাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ট্রাস্টির পক্ষ থেকে বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার নথিতে বলা হয়েছে, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে প্রতারণামূলকভাবে টাকা আত্মসাৎ করার অপরাধ চিহ্নিত হয়েছে। আত্মসাৎকৃত ২০৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা উদ্ধার করতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মামলার আসামিরা হলেন—অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইউএফএস, ইউএফএসের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলমগীর ফারুখ চৌধুরী, কোম্পানির এমডি সৈয়দ হামজা আলমগীর, পরিচালক ইসরাত আলমগীর, আলিয়া হক আলমগীর, মাহিদ হক, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মোহাম্মদ মাসুম চৌধুরী, মোসাম্মত উম্মে ইসলাম সোহানা, সৈয়দা শেহরীন হোসেন, তারিক মাসুদ খান, সৈয়দা মেহরীন হুসেইনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জন।

এর আগে বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজারের স্বার্থে উল্লিখিত ইউএফএস ও কোম্পানির সব ফান্ডের নিরীক্ষককে যেকোনো মিউচুয়াল ফান্ডের নিরীক্ষা থেকে নিষিদ্ধ করা উচিত, জানিয়ে বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়, ইউএফএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনায় চারটি ফান্ড ইউএফএস-আইবিবিএল শরিয়া ইউনিট ফান্ড, ইউএফএস-পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ড, ইউএফএস-পদ্মা লাইফ ইসলামিক ইউনিট ফান্ড ও ইউএফএস-ব্যাংক এশিয়া ইউনিট ফান্ডের নিরীক্ষা করে আসছে আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। নিরীক্ষক মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর অনুসন্ধানের জন্য তদন্তের শুনানিতে উপস্থিত হয়নি। এ থেকে স্পষ্ট যে, তদন্ত কমিটির সঙ্গে নিরীক্ষক অপেশাদার আচরণ করেছে। তাই, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর ধারা ২০-এ দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে মিউচুয়াল ফান্ডের ম্যানেজার, ট্রাস্টি, কাস্টোডিয়ান, ইস্যুকারী এবং সম্পদ ব্যবস্থাপককে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে, নিরীক্ষক আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে ইউএফএসের অধীনে থাকা কোনো মিউচুয়াল ফান্ডের নিরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হবে না। কমিশন আরও নির্দেশ দিয়েছে, নিরীক্ষককে কোনো মিউচুয়াল ফান্ড এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির নিরীক্ষক হতে অনুমতি দেবে না কমিশন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত জারি থাকবে।

আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে ১৫৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ

এর আগে কোম্পানিটির ফান্ড সংশ্লিষ্টদের কাছে ২৩টি তথ্য চেয়েছে কমিশন, যা ৮ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছিল। বিএসইসির চিঠিতে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো—ইউএফএসের ব্যবস্থাপনার ইউএফএসইপিএল ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং ইউএফএসইপিএল প্রাইভেট ইকুইটি ফান্ডের পূর্বের ও বর্তমানের সব আর্থিক প্রতিবেদন, ফান্ড দুটির সব ব্যাংক স্টেটমেন্টের তথ্য, ফান্ড দুটিতে উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ ও তাদের ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট, ফান্ডগুলোর গ্রাহক ও তাদের টাকার পরিমাণের তথ্য, ফান্ড দুটিতে বিনিয়োগ কমিটির সদস্যদের তালিকা।

সেই সঙ্গে ফান্ড দুটির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যেসব ব্যবসায় বিনিয়োগ আছে, সেগুলো ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ জমা দিতে বলা হয়েছে। ফান্ডগুলোর পোর্টফোলিওতে থাকা কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থার বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া, ফান্ড দুটির বিনিয়োগের অবস্থা এবং নির্দিষ্ট সীমার বিষয়ে প্রকাশ করা তথ্য, অতালিকাভুক্ত কোম্পানিতে ফান্ড দুটির বিনিয়োগের বিষয়ে ট্রাস্টি থেকে প্রাপ্ত কনসেন্ট লেটার, ফান্ডগুলোর সম্পদ মূল্য ও শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা ফি এবং সংশ্লিষ্ট সব তথ্য কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:  আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোংয়ের অপেশাদারীত্বে চার ফান্ডের ১৫৮ কোটি টাকা খোয়া

অপরদিকে, টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ইউএফএস ও তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ হামজা আলমগীরসহ ১৫ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত বা জব্দ করা হয়েছে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ কথা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন বন্ধে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সংস্থা হচ্ছে বিএফআইইউ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঠানো চিঠিতে ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশনসহ ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিএফআইইউ। চিঠিতে প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা ও টিআইএন নম্বর (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো—ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশনস লিমিটেড। ইউএফএসের এমডি সৈয়দ হামজা আলমগীর, আলিয়া হক আলমগীর ও মাহিদ হকের নাম রয়েছে। চিঠিতে আরও নাম আছে তারেক মাসুদ খান, মোহাম্মাদ জাকির হোসেন ও মোসা. উম্মে ইসলাম সোহানা, ইশরাত আলমগীর, সৈয়দা মেহরীন রহমান, সৈয়দ আলমগীর ফারুক চৌধুরী ও সৈয়দা শেহরীন হুসাইনের।

আরও পড়ুন: চার ফান্ডের ১৫৮ কোটি টাকা নিয়ে উধাও ইউএফএসের এমডি

অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখার তালিকায় আরও আছে— ইউএফএস-আইবিবিএল শরিয়া ইউনিট ফান্ড, ইউএফএস-পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ড ৩৮, ইউএফএস-ব্যাংক এশিয়া ইউনিট ফান্ড এবং ইউএফএস-পদ্মা লাইফ ইসলামিক ফান্ড। এর আগে এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই দিন থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে বিএসইসি ও আইসিবিকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ঢাকা/এসএ