১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

এই তিন নিয়ম মেনে ফল খেলে পাবেন বেশি উপকার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
  • / ৪২৩৭ বার দেখা হয়েছে

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অন্যতম শর্ত হলো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। এই খাবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফলের নাম উল্লেখযোগ্য। ফলে থাকে সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। ফলে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, খনিজ এবং এনজাইম থাকে, এগুলো প্রতিটিরই নিজস্ব সুবিধা রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শুধু ফল খেলেই হবে না; ফল খাওয়ার উপকারিতাগুলো বেশি পেতে চাইলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আপনার খাবারের তালিকায় কিছু পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার যোগ করার পাশাপাশি ৩টি নিয়ম মেনে ফল খেলে পাবেন অনেক বেশি উপকার। ফল হলো ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস যা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। তাই এগুলো খাওয়ার ক্ষেত্রে উদাসীন থাকা চলবে না।

সব ফলই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, তবে আপনার জন্য বেশি উপকারী হলো আপনার অঞ্চলে যখন যে ফল বেশি পাওয়া যায়, সেগুলো। আমদানি করা ফল বেশি স্বাস্থ্যকর এমন ধারণা থেকে সরে আসুন। কারণ এসব ফল পাকানোর আগেই ছিঁড়ে ফেলা হয়, এতে সেগুলোর পুষ্টিমান কমে যায়। অনেক সময় সেগুলো বাজারে পৌঁছালে দ্রুত এবং অপ্রাকৃতিকভাবে পাকানোর জন্য রাসায়নিক স্প্রে করা হয়। তাই এর থেকে বাঁচার সর্বোত্তম উপায় হলো স্থানীয় ফল খাওয়া। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে ফল খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন-

আরও পড়ুন: যেভাবে পরিষ্কার করলে ফ্রিজ দীর্ঘদিন নতুন থাকবে

আস্ত ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন

ফলের জুস করে খাওয়ার বদলে আস্ত ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফলের রস খেলে তাতে ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ এবং এনজাইম অনেকটাই বাদ পড়ে যায়। ফলের রস খাওয়ার পরে খুব দ্রুত পাকস্থলীতে চলে যায় যায়, যা সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বাড়িয়ে দিতে পারে, যা পরবর্তীতে আরও অনেক স্বাস্থ্য জটিলতার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

খাবারের পর ফল খাবেন না

আপনি যদি আপনার খাবার খাওয়ার ঠিক পরপরই ফল খান তবে তা পাকস্থলীতে চলে যায় এবং আগে খাওয়া খাবারগুলোর সঙ্গে পচতে শুরু করে। ফলস্বরূপ, ফলগুলোকে হজম করার জন্য পাকস্থলীকে আরও অ্যাসিড তৈরি করতে হয়। এতে দেখা দেয় অ্যাসিডিটির সমস্যা। সেইসঙ্গে ফল থেকে সঠিক পুষ্টিলাভও সম্ভব হয় না।

ফল খাওয়ার আগে কিছু বাদাম খান

ফল খাওয়ার আগে কয়েকটি বাদাম খেয়ে নিন। ফলের কারণে রক্তে শর্করা বৃদ্ধির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে এই বাদাম। কারণ বাদাম হলো স্বাস্থ্যকর চর্বির উৎস। তাই ফল খাওয়ার আগে কিছু বাদাম খেয়ে নেওয়া হলো বুদ্ধিমানের কাজ।

ঢাকা/এসএম

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

এই তিন নিয়ম মেনে ফল খেলে পাবেন বেশি উপকার

আপডেট: ১১:৫১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অন্যতম শর্ত হলো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। এই খাবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফলের নাম উল্লেখযোগ্য। ফলে থাকে সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। ফলে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, খনিজ এবং এনজাইম থাকে, এগুলো প্রতিটিরই নিজস্ব সুবিধা রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শুধু ফল খেলেই হবে না; ফল খাওয়ার উপকারিতাগুলো বেশি পেতে চাইলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আপনার খাবারের তালিকায় কিছু পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার যোগ করার পাশাপাশি ৩টি নিয়ম মেনে ফল খেলে পাবেন অনেক বেশি উপকার। ফল হলো ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস যা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। তাই এগুলো খাওয়ার ক্ষেত্রে উদাসীন থাকা চলবে না।

সব ফলই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, তবে আপনার জন্য বেশি উপকারী হলো আপনার অঞ্চলে যখন যে ফল বেশি পাওয়া যায়, সেগুলো। আমদানি করা ফল বেশি স্বাস্থ্যকর এমন ধারণা থেকে সরে আসুন। কারণ এসব ফল পাকানোর আগেই ছিঁড়ে ফেলা হয়, এতে সেগুলোর পুষ্টিমান কমে যায়। অনেক সময় সেগুলো বাজারে পৌঁছালে দ্রুত এবং অপ্রাকৃতিকভাবে পাকানোর জন্য রাসায়নিক স্প্রে করা হয়। তাই এর থেকে বাঁচার সর্বোত্তম উপায় হলো স্থানীয় ফল খাওয়া। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে ফল খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন-

আরও পড়ুন: যেভাবে পরিষ্কার করলে ফ্রিজ দীর্ঘদিন নতুন থাকবে

আস্ত ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন

ফলের জুস করে খাওয়ার বদলে আস্ত ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফলের রস খেলে তাতে ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ এবং এনজাইম অনেকটাই বাদ পড়ে যায়। ফলের রস খাওয়ার পরে খুব দ্রুত পাকস্থলীতে চলে যায় যায়, যা সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বাড়িয়ে দিতে পারে, যা পরবর্তীতে আরও অনেক স্বাস্থ্য জটিলতার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

খাবারের পর ফল খাবেন না

আপনি যদি আপনার খাবার খাওয়ার ঠিক পরপরই ফল খান তবে তা পাকস্থলীতে চলে যায় এবং আগে খাওয়া খাবারগুলোর সঙ্গে পচতে শুরু করে। ফলস্বরূপ, ফলগুলোকে হজম করার জন্য পাকস্থলীকে আরও অ্যাসিড তৈরি করতে হয়। এতে দেখা দেয় অ্যাসিডিটির সমস্যা। সেইসঙ্গে ফল থেকে সঠিক পুষ্টিলাভও সম্ভব হয় না।

ফল খাওয়ার আগে কিছু বাদাম খান

ফল খাওয়ার আগে কয়েকটি বাদাম খেয়ে নিন। ফলের কারণে রক্তে শর্করা বৃদ্ধির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে এই বাদাম। কারণ বাদাম হলো স্বাস্থ্যকর চর্বির উৎস। তাই ফল খাওয়ার আগে কিছু বাদাম খেয়ে নেওয়া হলো বুদ্ধিমানের কাজ।

ঢাকা/এসএম