০৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

এখনকার ডিপ্লোমেসি পলিটিক্যাল নয়, ইকোনমিক হবে: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:০৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২৩৫ বার দেখা হয়েছে

করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান যুদ্ধের ফলে বিশ্ব পরিস্থিতিতে বর্তমানে যে কূটনীতি তা রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এখনকার ডিপ্লোমেসি পলিটিক্যাল নয়, ইকোনোমিক হবে। অর্থাৎ প্রতিটা দূতাবাস ব্যবসা-বাণিজ্য, রফতানি, কোন দেশে কিসের চাহিদা, কী আমরা রফতানি করতে পারি বা কোথা থেকে আমরা বিনিয়োগ আনতে পারি; সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য বিদেশে আমাদের প্রতিটা দূতাবাসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

রোববার (১ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই মর্যাদা কার্যকর করার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন কমিটি করে কোন খাতে কী কী করণীয় সেগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তবে কোভিডের কারণে আমাদের দুই বছর সময় নিতে হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশ কার্যকর করবো, ২০২৪ এ করার কথা ছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন; এসবের ফলে সারা বিশ্বব্যাপী আজ অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। নিজেদের মন্দার দেশ হিসেবে ঘোষণা করছে। আমরা কিন্তু এখনও সে পর্যায়ে যাইনি। আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি।’

আরও পড়ুন: দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

তিনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়ানোর পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, ‘এর আগে আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছি, ওই অঞ্চলে আমাদের যারা রাষ্ট্রদূত আছে, তাদের ডেকে ব্রিফ করেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও এমন নির্দেশনা দেওয়া আছে যে, প্রত্যেকটা দূতাবাস চেষ্টা করবে, কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা আছে (তা জানাবে), সেই পণ্য আমরা আমাদের দেশে উৎপাদন করবো, রফতানি করবো। এভাবেই বাণিজ্য আমরা বৃদ্ধি করবো।’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি জসীম উদ্দিন এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান। অনুষ্ঠানে দেশের ব্যবসায়ী নেতা, রফতানিকারক, মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি এবং স্থানীয় জনসাধারণও উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

এখনকার ডিপ্লোমেসি পলিটিক্যাল নয়, ইকোনমিক হবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০১:০৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩

করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান যুদ্ধের ফলে বিশ্ব পরিস্থিতিতে বর্তমানে যে কূটনীতি তা রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এখনকার ডিপ্লোমেসি পলিটিক্যাল নয়, ইকোনোমিক হবে। অর্থাৎ প্রতিটা দূতাবাস ব্যবসা-বাণিজ্য, রফতানি, কোন দেশে কিসের চাহিদা, কী আমরা রফতানি করতে পারি বা কোথা থেকে আমরা বিনিয়োগ আনতে পারি; সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য বিদেশে আমাদের প্রতিটা দূতাবাসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

রোববার (১ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই মর্যাদা কার্যকর করার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন কমিটি করে কোন খাতে কী কী করণীয় সেগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তবে কোভিডের কারণে আমাদের দুই বছর সময় নিতে হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশ কার্যকর করবো, ২০২৪ এ করার কথা ছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন; এসবের ফলে সারা বিশ্বব্যাপী আজ অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। নিজেদের মন্দার দেশ হিসেবে ঘোষণা করছে। আমরা কিন্তু এখনও সে পর্যায়ে যাইনি। আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি।’

আরও পড়ুন: দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

তিনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়ানোর পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, ‘এর আগে আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছি, ওই অঞ্চলে আমাদের যারা রাষ্ট্রদূত আছে, তাদের ডেকে ব্রিফ করেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও এমন নির্দেশনা দেওয়া আছে যে, প্রত্যেকটা দূতাবাস চেষ্টা করবে, কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা আছে (তা জানাবে), সেই পণ্য আমরা আমাদের দেশে উৎপাদন করবো, রফতানি করবো। এভাবেই বাণিজ্য আমরা বৃদ্ধি করবো।’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি জসীম উদ্দিন এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান। অনুষ্ঠানে দেশের ব্যবসায়ী নেতা, রফতানিকারক, মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি এবং স্থানীয় জনসাধারণও উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসএ