০২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ১৩.১৮ শতাংশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৩০:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৪১২৪ বার দেখা হয়েছে

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঋণ বিতরণ হয়েছে ৫ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে ঋণ বিতরণ হয় ৪ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। সে তুলনায় ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৭১০ কোটি টাকা বা ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত সংগ্রহ করা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় আমানত সংগ্রহ বেড়েছে ৩৭ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা বা ১৫ দশমিক ২৭ শতাংশ।

দেশের ব্যাংক খাতে ২০১৪ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। বর্তমানে এই সেবার গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৬ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৬টি। দেশব্যাপী পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে এরকম এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৬১টি। আর এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ৬০২টি।

এজেন্ট ব্যাংকিং আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এজেন্ট আউটলেটে একজন গ্রাহক সহজেই তার হাতের আঙুলের স্পর্শের মাধ্যমে হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। তাই গ্রামীণ জনপদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যকরী একটি উদ্যোগ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: ‘ঈদের আগেই সব খাতের শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে’

এদিকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে ব্রাজিল। আর বাংলাদেশে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করে।

নীতিমালা অনুযায়ী, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে প্রত্যেক এজেন্টের একটি চলতি হিসাব থাকতে হয়। এ সেবার মাধ্যমে ছোট অঙ্কের অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যায়।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স স্থানীয় মুদ্রায় বিতরণ, ছোট অঙ্কের ঋণ প্রদান ও আদায় এবং এককালীন জমার কাজও করেন এজেন্টরা। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন উপযোগ সেবার বিল পরিশোধের পাশাপাশি সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর অর্থও উত্তোলন করা যায়। এ ছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব খোলা, ঋণ আবেদন, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নথিপত্র সংগ্রহ করতে পারেন এসব এজেন্ট। তবে এখনো বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের কোনো সুযোগ নেই এজেন্টদের।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ১৩.১৮ শতাংশ

আপডেট: ০৩:৩০:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঋণ বিতরণ হয়েছে ৫ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে ঋণ বিতরণ হয় ৪ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। সে তুলনায় ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৭১০ কোটি টাকা বা ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত সংগ্রহ করা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় আমানত সংগ্রহ বেড়েছে ৩৭ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা বা ১৫ দশমিক ২৭ শতাংশ।

দেশের ব্যাংক খাতে ২০১৪ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। বর্তমানে এই সেবার গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৬ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৬টি। দেশব্যাপী পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে এরকম এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৬১টি। আর এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ৬০২টি।

এজেন্ট ব্যাংকিং আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এজেন্ট আউটলেটে একজন গ্রাহক সহজেই তার হাতের আঙুলের স্পর্শের মাধ্যমে হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। তাই গ্রামীণ জনপদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যকরী একটি উদ্যোগ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: ‘ঈদের আগেই সব খাতের শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে’

এদিকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে ব্রাজিল। আর বাংলাদেশে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করে।

নীতিমালা অনুযায়ী, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে প্রত্যেক এজেন্টের একটি চলতি হিসাব থাকতে হয়। এ সেবার মাধ্যমে ছোট অঙ্কের অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যায়।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স স্থানীয় মুদ্রায় বিতরণ, ছোট অঙ্কের ঋণ প্রদান ও আদায় এবং এককালীন জমার কাজও করেন এজেন্টরা। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন উপযোগ সেবার বিল পরিশোধের পাশাপাশি সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর অর্থও উত্তোলন করা যায়। এ ছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব খোলা, ঋণ আবেদন, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নথিপত্র সংগ্রহ করতে পারেন এসব এজেন্ট। তবে এখনো বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের কোনো সুযোগ নেই এজেন্টদের।

ঢাকা/এসএম