১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

এপ্রিলে ৪৫ ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছে বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
  • / ৪২৩১ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

এইচ কে জনি: নতুন কমিশন দায়িত্ব্য নেয়ার পর থেকেই পুঁজিবাজারে কারসাজি বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করায় ৪৫ ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠান ও সিকিউরিটিজ হাউজকে সতর্ক করেছে কমিশন। বিএসইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসির পক্ষ থেকে যেসব প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ৩৪টি সিকিউরিটিজ হাউজ, তিনটি মার্চেন্ট ব্যাংক এবং একটি তালিকাভুক্ত কোম্পানি রয়েছে।

কমিশন সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা যথাযথ কারণ দেখিয়ে ক্ষমা চাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এ ধরণের আইন লঙ্ঘন যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারণে মার্চে যে ৩৪ সিকিউরিটিজ হাউজকে সতর্ক করা হয়, সেগুলো হলো- পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, সাদ সিকিউরিটিজ, সিনহা সিকিউরিটিজ, এরিনা সিকিউরিটিজ, স্টক অ্যান্ড বন্ড লিমিটেড, খাজা ইক্যুইটি সার্ভিসেস লি: (২ দফা), বি-রীচ লি:, এ.কে খান সিকিউরিটিজ, ভ্যানগার্ড শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, গ্লোবাল সিকিউরিটিজ, টাইমস সিকিউরিটিজ, ইবিএল সিকিউরিটিজ, ইমিন্যান্ট সিকিউরিটিজ, এএনএফ ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানি লি: (২ দফা), হাজ্বী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজ, এ্যাঙ্কর সিকিউরিটিজ, সিনথিয়া সিকিউরিটিজ, এনআরবিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, আইএফআইসি সিকিউরিটিজ, এ্যাডামস সিকিউরিটিজ, ওয়েস্টার্ন সিকিউরিটিজ ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজম্যান্ট, প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ, পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজ, মিকা সিকিউরিটিজ, এএম সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, প্রাইলিংক সিকিউরিটিজ, আল হাজা জাহানারা সিকিউরিটিজ, কাজী ফিরোজ রশীদ সিকিউরিটিজ, হেদায়েতুল্লাহ সিকিউরিটিজ, পাইওনিয়র শেয়ারস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ, প্রুডেন্সিয়াল সিকিউরিটিজ এবং জিএমএফ সিকিউরিটিজ লিমিটেড। 

এদিকে, সিকিউরিটি আইন লঙ্ঘণের দায়ে যে ৮ প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে, সেগুলো হলো- বি অ্যান্ড বি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড, রহিমা ফুড করপোরেশন লিমিটেড, এমডি. আবুল খায়ের অ্যান্ড হিজ অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড, যমুনা ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজম্যান্ট লিমিটেড, কে এম হাসান অ্যান্ড কোং, ইউনিক্যাপ ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং এবি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড।

আরও পড়ুন: মার্চে যেসব সিকিউরিটিজ হাউজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বিএসইসি

অন্যদিকে, সিকিউরিটি আইন লঙ্ঘণের দায়ে যে ৩ ব্যক্তিকে সতর্ক করা হয়েছে, তারা হলেন- মশিহর সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী মিসেস মোরশেদা মাহবুব, মশিহর সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী মো: হিমেল তালুকদার এবং সিনথিয়া সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী মিসেস জোৎস্না পারভীন।

এদিকে এই ৪৫ ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠানের মতো আরও কিছু ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের নথি বিএসইসির হাতে রয়েছে বলে জানা গেছে। এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তিদের মধ্যে অনেকেই নিজেরাই নিজেদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে ভূমিকা রেখেছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএসইসি কর্মকর্তা বলেন, ‘আইন অমান্য করার কারণে বিএসইসি এরই মধ্যে বেশকিছু ব্রোকারেজ হাউজ ও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, যা আমাদের নিয়মিত কাজ। ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। ’

তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন অমান্য করার শাস্তি শুধুমাত্র সতর্ক করা কিংবা এক-দুই লাখ টাকা জরিমানা হওয়া উচিত নয়। অনিয়মের মাধ্যমে যে পরিমাণ মুনাফা অর্জন করেছে, সে পরিমাণ বা তার বেশি অর্থ জরিমানা না করলে এসব কার্যক্রম থামানো যাবে না। কারণ, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না হলে অনিয়ম চলতেই থাকবে।

বিএসইসির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ব্রোকার হাউজগুলোর অনিয়মের দৌরাত্ম্য প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। গ্রাহকের অর্থ এফডিআর করে শর্ট ফল করে রাখা, ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয়ে মার্জিন ঋণ প্রদান, নির্ধারিত অনুপাতের অতিরিক্ত মার্জিন ঋণ প্রদান, ক্যাশ হিসাবে মার্জিন ঋণ সুবিধা প্রদান, গ্রাহকদের অর্থ ও শেয়ার প্রদান না করা, প্রদত্ত চেক প্রত্যাখান  হওয়া, শর্টসেল করাসহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে অনেক সিকিউরিটিজ হাউজ। যেসব প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করে নিজেদের শেয়ারের বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর হ্রাস-বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে খুব শিগগির পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

বিজনেস জার্নাল/ঢাকা/এইচকে

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

এপ্রিলে ৪৫ ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছে বিএসইসি

আপডেট: ০৬:৩৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

এইচ কে জনি: নতুন কমিশন দায়িত্ব্য নেয়ার পর থেকেই পুঁজিবাজারে কারসাজি বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করায় ৪৫ ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠান ও সিকিউরিটিজ হাউজকে সতর্ক করেছে কমিশন। বিএসইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসির পক্ষ থেকে যেসব প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ৩৪টি সিকিউরিটিজ হাউজ, তিনটি মার্চেন্ট ব্যাংক এবং একটি তালিকাভুক্ত কোম্পানি রয়েছে।

কমিশন সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা যথাযথ কারণ দেখিয়ে ক্ষমা চাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এ ধরণের আইন লঙ্ঘন যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারণে মার্চে যে ৩৪ সিকিউরিটিজ হাউজকে সতর্ক করা হয়, সেগুলো হলো- পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, সাদ সিকিউরিটিজ, সিনহা সিকিউরিটিজ, এরিনা সিকিউরিটিজ, স্টক অ্যান্ড বন্ড লিমিটেড, খাজা ইক্যুইটি সার্ভিসেস লি: (২ দফা), বি-রীচ লি:, এ.কে খান সিকিউরিটিজ, ভ্যানগার্ড শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, গ্লোবাল সিকিউরিটিজ, টাইমস সিকিউরিটিজ, ইবিএল সিকিউরিটিজ, ইমিন্যান্ট সিকিউরিটিজ, এএনএফ ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানি লি: (২ দফা), হাজ্বী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজ, এ্যাঙ্কর সিকিউরিটিজ, সিনথিয়া সিকিউরিটিজ, এনআরবিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, আইএফআইসি সিকিউরিটিজ, এ্যাডামস সিকিউরিটিজ, ওয়েস্টার্ন সিকিউরিটিজ ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজম্যান্ট, প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ, পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজ, মিকা সিকিউরিটিজ, এএম সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, প্রাইলিংক সিকিউরিটিজ, আল হাজা জাহানারা সিকিউরিটিজ, কাজী ফিরোজ রশীদ সিকিউরিটিজ, হেদায়েতুল্লাহ সিকিউরিটিজ, পাইওনিয়র শেয়ারস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ, প্রুডেন্সিয়াল সিকিউরিটিজ এবং জিএমএফ সিকিউরিটিজ লিমিটেড। 

এদিকে, সিকিউরিটি আইন লঙ্ঘণের দায়ে যে ৮ প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে, সেগুলো হলো- বি অ্যান্ড বি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড, রহিমা ফুড করপোরেশন লিমিটেড, এমডি. আবুল খায়ের অ্যান্ড হিজ অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড, যমুনা ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজম্যান্ট লিমিটেড, কে এম হাসান অ্যান্ড কোং, ইউনিক্যাপ ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং এবি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড।

আরও পড়ুন: মার্চে যেসব সিকিউরিটিজ হাউজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বিএসইসি

অন্যদিকে, সিকিউরিটি আইন লঙ্ঘণের দায়ে যে ৩ ব্যক্তিকে সতর্ক করা হয়েছে, তারা হলেন- মশিহর সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী মিসেস মোরশেদা মাহবুব, মশিহর সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী মো: হিমেল তালুকদার এবং সিনথিয়া সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী মিসেস জোৎস্না পারভীন।

এদিকে এই ৪৫ ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠানের মতো আরও কিছু ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের নথি বিএসইসির হাতে রয়েছে বলে জানা গেছে। এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তিদের মধ্যে অনেকেই নিজেরাই নিজেদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে ভূমিকা রেখেছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএসইসি কর্মকর্তা বলেন, ‘আইন অমান্য করার কারণে বিএসইসি এরই মধ্যে বেশকিছু ব্রোকারেজ হাউজ ও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, যা আমাদের নিয়মিত কাজ। ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। ’

তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন অমান্য করার শাস্তি শুধুমাত্র সতর্ক করা কিংবা এক-দুই লাখ টাকা জরিমানা হওয়া উচিত নয়। অনিয়মের মাধ্যমে যে পরিমাণ মুনাফা অর্জন করেছে, সে পরিমাণ বা তার বেশি অর্থ জরিমানা না করলে এসব কার্যক্রম থামানো যাবে না। কারণ, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না হলে অনিয়ম চলতেই থাকবে।

বিএসইসির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ব্রোকার হাউজগুলোর অনিয়মের দৌরাত্ম্য প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। গ্রাহকের অর্থ এফডিআর করে শর্ট ফল করে রাখা, ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয়ে মার্জিন ঋণ প্রদান, নির্ধারিত অনুপাতের অতিরিক্ত মার্জিন ঋণ প্রদান, ক্যাশ হিসাবে মার্জিন ঋণ সুবিধা প্রদান, গ্রাহকদের অর্থ ও শেয়ার প্রদান না করা, প্রদত্ত চেক প্রত্যাখান  হওয়া, শর্টসেল করাসহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে অনেক সিকিউরিটিজ হাউজ। যেসব প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করে নিজেদের শেয়ারের বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর হ্রাস-বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে খুব শিগগির পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

বিজনেস জার্নাল/ঢাকা/এইচকে