০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫০:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৪৭ বার দেখা হয়েছে

২০২৩ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। টানা দুই ম্যাচ খেলে ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগের ১৩ দলের মধ্যে তৃতীয় স্থানে টাইগাররা। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে জিতলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠবে বাংলাদেশ। কিন্তু, কি এই আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ। কিন্তু কী কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই সুপার লিগ?

ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট। টি-টোয়েন্টির কারণে টেস্টের পর ওয়ানডে ফরম্যাটের আকর্ষণ আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধি করতে আইসিসি’র মস্তিষ্ক থেকে উদয় হয়েছে আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ। যার মানে ২০২৩ বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব।

কী এই বাছাই পর্ব কিংবা আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ কোন প্রক্রিয়া হবে?

টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া ১২টি দলের সাথে এই বাছাই পর্বে নেদারল্যান্ডসসহ মোট ১৩টি দল অংশ নেবে। প্রতিটি দল ৪টি করে হোম এবং অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে। আগামী দুই বছরে প্রতিটি দল মোট ৮টি সিরিজ অর্থাৎ ২৪টি ওয়ানডে খেলবে। প্রতিটি সিরিজে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে থাকবে। ম্যাচ সংখ্যা তিনের বেশি হলেও, শুধু মাত্র তিন ম্যাচের জন্য পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে আইসিসি। প্রতি ম্যাচে জয়ী দল পাবে ১০ পয়েন্ট। আর খেলাটাই কিংবা কোনো কারণে পণ্ড হলে সমান ৫ পয়েন্ট করে পাবে দু’দল।

২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজের ভিত্তিতে ১৩টি দল এই বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ৮ দল ২০২৩ বিশ্বকাপে অংশ নেবে। তবে, আয়োজক দেশ ভারত যদি সেরা আটের মধ্যে থাকে বাকি সাত দল খেলবে মূল পর্বে। সেক্ষেত্রে ৯ এবং ১০ নম্বর দলকে আইসিসির কোয়ালিফায়ার খেলতে হবে আইসিসির সহযোগী সাতটি দেশের বিপক্ষে। দলগুলো হলো- স্কটল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেপাল, নামিবিয়া, ওমান,পাপুয়া নিউ গিনি ও যুক্তরাষ্ট্র। এখান থেকে সেরা দুই দল ছাড়পত্র পাবে বিশ্বকাপের। অর্থাৎ ১০ দলের অংশগ্রহণে হবে ২০২৩ ভারত ওয়ানডে বিশ্বকাপ।

বাংলাদেশ কোন প্রক্রিয়া আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ বা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের মিশন শুরু করবে?

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের মধ্যে দিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে টাইগাররা। দুই ম্যাচ জিতে ২০ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগ টেবিলে তিন নম্বরে তামিম ইকবালের দল। উইন্ডিজদের পরের ম্যাচে হারাতে পারলেই নেট রান রেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হটিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠবে বাংলাদেশ। শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া।

আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ বা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের চারটি হোম সিরিজ উইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আগামী দুই বছরে চারটি অ্যাওয়ে সিরিজ টাইগারদের নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে হোম সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই জেতা জরুরি বাংলাদেশের জন্য। কারণে, অ্যাওয়ে সিরিজে নিউজিল্যান্ডে ১২টি আর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ১৩টি ওয়ানডে খেলেও এখনো জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। তাই আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ বা বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব বাংলাদেশের জন্য বিদেশের মাটিতে কঠিন চ্যালেঞ্জ নির্দ্বিধায়।

শেয়ার করুন

x
English Version

ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

আপডেট: ০১:৫০:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১

২০২৩ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। টানা দুই ম্যাচ খেলে ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগের ১৩ দলের মধ্যে তৃতীয় স্থানে টাইগাররা। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে জিতলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠবে বাংলাদেশ। কিন্তু, কি এই আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ। কিন্তু কী কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই সুপার লিগ?

ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট। টি-টোয়েন্টির কারণে টেস্টের পর ওয়ানডে ফরম্যাটের আকর্ষণ আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধি করতে আইসিসি’র মস্তিষ্ক থেকে উদয় হয়েছে আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ। যার মানে ২০২৩ বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব।

কী এই বাছাই পর্ব কিংবা আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ কোন প্রক্রিয়া হবে?

টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া ১২টি দলের সাথে এই বাছাই পর্বে নেদারল্যান্ডসসহ মোট ১৩টি দল অংশ নেবে। প্রতিটি দল ৪টি করে হোম এবং অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে। আগামী দুই বছরে প্রতিটি দল মোট ৮টি সিরিজ অর্থাৎ ২৪টি ওয়ানডে খেলবে। প্রতিটি সিরিজে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে থাকবে। ম্যাচ সংখ্যা তিনের বেশি হলেও, শুধু মাত্র তিন ম্যাচের জন্য পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে আইসিসি। প্রতি ম্যাচে জয়ী দল পাবে ১০ পয়েন্ট। আর খেলাটাই কিংবা কোনো কারণে পণ্ড হলে সমান ৫ পয়েন্ট করে পাবে দু’দল।

২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজের ভিত্তিতে ১৩টি দল এই বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ৮ দল ২০২৩ বিশ্বকাপে অংশ নেবে। তবে, আয়োজক দেশ ভারত যদি সেরা আটের মধ্যে থাকে বাকি সাত দল খেলবে মূল পর্বে। সেক্ষেত্রে ৯ এবং ১০ নম্বর দলকে আইসিসির কোয়ালিফায়ার খেলতে হবে আইসিসির সহযোগী সাতটি দেশের বিপক্ষে। দলগুলো হলো- স্কটল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেপাল, নামিবিয়া, ওমান,পাপুয়া নিউ গিনি ও যুক্তরাষ্ট্র। এখান থেকে সেরা দুই দল ছাড়পত্র পাবে বিশ্বকাপের। অর্থাৎ ১০ দলের অংশগ্রহণে হবে ২০২৩ ভারত ওয়ানডে বিশ্বকাপ।

বাংলাদেশ কোন প্রক্রিয়া আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ বা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের মিশন শুরু করবে?

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের মধ্যে দিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে টাইগাররা। দুই ম্যাচ জিতে ২০ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগ টেবিলে তিন নম্বরে তামিম ইকবালের দল। উইন্ডিজদের পরের ম্যাচে হারাতে পারলেই নেট রান রেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হটিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠবে বাংলাদেশ। শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া।

আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ বা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের চারটি হোম সিরিজ উইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আগামী দুই বছরে চারটি অ্যাওয়ে সিরিজ টাইগারদের নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে হোম সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই জেতা জরুরি বাংলাদেশের জন্য। কারণে, অ্যাওয়ে সিরিজে নিউজিল্যান্ডে ১২টি আর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ১৩টি ওয়ানডে খেলেও এখনো জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। তাই আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ বা বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব বাংলাদেশের জন্য বিদেশের মাটিতে কঠিন চ্যালেঞ্জ নির্দ্বিধায়।