০৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ৬ রোহিঙ্গাসহ ৮ জনের মৃত্যূ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:১৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১
  • / ৪১৪৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কক্সবাজারে ভারী বর্ষণে পাহাড়ী টিলা ধসে ৬ রোহিঙ্গা মারা গেছেন। এ সময় পানিতে ডুবে মারা গেছেন এক রোহিঙ্গা শিশুও। উখিয়ার কুতুপালং বালুখালীর কয়েকটি ক্যাম্পে পাহাড়ী টিলা ধসের কারণে এই মৃত্যূর ঘটনা ঘটেছে।

শরনার্থী বিষয়ক কমিশনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. শামসৌদ্দজা নয়ন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে বালুখালির ক্যাম্প নং ৯ ও ১০ এর কয়েকটি ব্লকে পাহাড় ধসে পড়ে বসত বাড়ীতে এসে পড়ে মাটি। এসময় আলাদা ঘটনায় ঘরের ভেতর থাকা ৫ রোহিঙ্গা মাটি চাপা পড়ে মারা যান।

অন্যদিকে বৃষ্টির পানিতে তৈরি হওয়া বন্যার পানিতে এক রোহিঙ্গা শিশু ডুবে মারা গেছেন। তিনি আরও জানান, শতাধিক ঘর এসময় ধসে গেছে।  এদিকে ঘরের মাটি চাপা পড়ে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় এক স্থানীয় বৃদ্ধ মারা গেছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তাছাড়া টানা ভারী বর্ষণের ফলে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ভোর থেকে টানা বৃষ্টি চলছে সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো বাতাসও। 

যার কারণে কক্সবাজার সদরের পিএমখালী, পোকখালী, ভারুয়াখালী, গোমাতলী, ঈদগাঁও, ইসলাম, পেকুয়া, টেকনাফ, চকরিয়া, উখিয়ার জালিয়াপাড়া, ইনানী, টেকনাফের সাবরাং, হ্নীলা, হোয়াইক্যং,মহেশখালী, কুতুবদিয়া উপজেলার নিম্ন অঞ্চলের অন্তত শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা, সাংবারাংয়ের বেশ কয়েকটি গ্রামের অন্তত ৭ শতাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জোয়ারের পানি নেমে গেলে হয়তো ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুচ্ছফা বলেন, ২০ গ্রামের মানুষ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। বেরিবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে এসব গ্রামে। 

এদিকে, কক্সবাজার আবহাওয়া দফতরের সহকারী আবহাওয়াবীদ মো. আব্দুর রহমান বলেন, বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের কারণে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার উপকুলে যে সমস্ত নৌযান চলাচল করে সেসব নৌযানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদে থেকে মাছ শিকারের কথা বলা হচ্ছে। গেল ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজারে ১১৭ মি. মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ৬ রোহিঙ্গাসহ ৮ জনের মৃত্যূ

আপডেট: ০৪:১৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কক্সবাজারে ভারী বর্ষণে পাহাড়ী টিলা ধসে ৬ রোহিঙ্গা মারা গেছেন। এ সময় পানিতে ডুবে মারা গেছেন এক রোহিঙ্গা শিশুও। উখিয়ার কুতুপালং বালুখালীর কয়েকটি ক্যাম্পে পাহাড়ী টিলা ধসের কারণে এই মৃত্যূর ঘটনা ঘটেছে।

শরনার্থী বিষয়ক কমিশনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. শামসৌদ্দজা নয়ন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে বালুখালির ক্যাম্প নং ৯ ও ১০ এর কয়েকটি ব্লকে পাহাড় ধসে পড়ে বসত বাড়ীতে এসে পড়ে মাটি। এসময় আলাদা ঘটনায় ঘরের ভেতর থাকা ৫ রোহিঙ্গা মাটি চাপা পড়ে মারা যান।

অন্যদিকে বৃষ্টির পানিতে তৈরি হওয়া বন্যার পানিতে এক রোহিঙ্গা শিশু ডুবে মারা গেছেন। তিনি আরও জানান, শতাধিক ঘর এসময় ধসে গেছে।  এদিকে ঘরের মাটি চাপা পড়ে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় এক স্থানীয় বৃদ্ধ মারা গেছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তাছাড়া টানা ভারী বর্ষণের ফলে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ভোর থেকে টানা বৃষ্টি চলছে সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো বাতাসও। 

যার কারণে কক্সবাজার সদরের পিএমখালী, পোকখালী, ভারুয়াখালী, গোমাতলী, ঈদগাঁও, ইসলাম, পেকুয়া, টেকনাফ, চকরিয়া, উখিয়ার জালিয়াপাড়া, ইনানী, টেকনাফের সাবরাং, হ্নীলা, হোয়াইক্যং,মহেশখালী, কুতুবদিয়া উপজেলার নিম্ন অঞ্চলের অন্তত শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা, সাংবারাংয়ের বেশ কয়েকটি গ্রামের অন্তত ৭ শতাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জোয়ারের পানি নেমে গেলে হয়তো ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুচ্ছফা বলেন, ২০ গ্রামের মানুষ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। বেরিবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে এসব গ্রামে। 

এদিকে, কক্সবাজার আবহাওয়া দফতরের সহকারী আবহাওয়াবীদ মো. আব্দুর রহমান বলেন, বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের কারণে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার উপকুলে যে সমস্ত নৌযান চলাচল করে সেসব নৌযানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদে থেকে মাছ শিকারের কথা বলা হচ্ছে। গেল ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজারে ১১৭ মি. মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: