০২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

করোনা টিকা নিতে উপচেপড়া ভিড়, কার্ড পেতে ভোগান্তি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩৩:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অগাস্ট ২০২১
  • / ১০৪০৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলমান গণটিকা কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনেও টিকা নিতে কেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছে মানুষ। তবে টিকার সংখ্যা সীমিত হওয়ায় অনেকেই টিকা কার্ড পাচ্ছেন না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ফিরে যেতে হচ্ছে।

রোববার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে মাতুয়াইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের টিকাকেন্দ্রে অবস্থান করে এই চিত্র দেখা গেছে।

টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা সকাল ৯টায়। কিন্তু সকাল ৭টা থেকেই লোকজন আসতে শুরু করে। সকাল ৮টার মধ্যে মাতুয়াইল কবরস্থান রোডের ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় চত্বর কয়েকশ নারী-পুরুষে ভরে যায়। সকালের বৃষ্টি মাথায় নিয়েই লোকজন টিকা নিতে চলে আসেন।

টিকা নিতে সকাল ৮টার মধ্যে চলে এসেছেন বহুমুখী স্কুল রোডের বাসিন্দা টিপু। তিনি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডে (বিটিসিএল) চাকরি করেন। তিনি বলেন, টিকা দেয়ার কার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে নিতে হয়। আমি গতকাল রাত ৯টায় কাউন্সিলের কাছ থেকে কার্ড নিয়েছি। আজ টিকা দিতে আসলাম।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কাউন্সিলর কার্যালয়ের একজনের সঙ্গে কিছুটা উচ্চস্বরে কথা বলছিলেন বোরকাপরা দুই নারী। তারা দুই বোন শান্তা ও মারিয়া। তারা উত্তর রায়েরবাগ থেকে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়ে এসেছেন। শান্তা বলেন, আমরা তো আগে কার্ড নেয়নি। একজন বলল, কাউন্সিলর এসে কার্ড দেবে। আবার আরেকজন বলেছেন, আজ আর কার্ড দেয়া হবে না। আমার কার কথা শুনব, বুঝতে পারছি না। তারা ঠিক করে বলুক।

শাহাদাত হোসেনও কিছুটা ক্ষুব্ধ, তিনি বলেন, ‘খবরে কইতাছে, আইডি কার্ড নিয়া আইলেই টিকা নেওন যাইব। এখানে আবার উল্টা নিয়ম। আগে কার্ড নিতে অইব। আমার লগে তো খাতির নাই আমারে কি কার্ড দিব?’

তিনি আরও বলেন, ‘কী আর করমু চইলা যাই, সকালে আইসা বইসা রইছি হুদাই।’

বৃদ্ধ করিমন বেওয়া এসেছেন মাদরাসা রোড থেকে। দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে তিনি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চলে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাবা আমি তো জানি না। খালি ভোটার কার্ড নিয়া আইছি। হ্যারা এখন কও আরও কার্ড লাগব। হেই কার্ড ছাড়া টিকা দিব না। টিকা না দিলে বইয়া থাইক্যা কি করমু।’

সকাল সাড়ে ৯টায়ও এই কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি কর্মীরা। পুরুষ ও নারীরা আলাদা দুটি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। নারীদের সংখ্যাই ছিল বেশি।

এই টিকাকেন্দ্রের সুপারভাইজার আল-আমিন আরিফ বলেন, ‘আমরা এখানে প্রতিদিন ২৫০টি টিকা দিয়ে থাকি। মোট ছয়দিন এই কার্যক্রম চলবে।’

তিনি বলেন, যারা কার্ড নিয়ে আসবেন তাদের মধ্য থেকে আড়াইশজনকে আমরা টিকা দেব। টিকা কার্ড আমরা কাউন্সিলরকে দিয়ে দিই, তিনিই সেগুলো বিতরণ করেন। সূত্র:জাগোনিউজ

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

করোনা টিকা নিতে উপচেপড়া ভিড়, কার্ড পেতে ভোগান্তি

আপডেট: ১২:৩৩:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলমান গণটিকা কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনেও টিকা নিতে কেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছে মানুষ। তবে টিকার সংখ্যা সীমিত হওয়ায় অনেকেই টিকা কার্ড পাচ্ছেন না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ফিরে যেতে হচ্ছে।

রোববার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে মাতুয়াইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের টিকাকেন্দ্রে অবস্থান করে এই চিত্র দেখা গেছে।

টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা সকাল ৯টায়। কিন্তু সকাল ৭টা থেকেই লোকজন আসতে শুরু করে। সকাল ৮টার মধ্যে মাতুয়াইল কবরস্থান রোডের ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় চত্বর কয়েকশ নারী-পুরুষে ভরে যায়। সকালের বৃষ্টি মাথায় নিয়েই লোকজন টিকা নিতে চলে আসেন।

টিকা নিতে সকাল ৮টার মধ্যে চলে এসেছেন বহুমুখী স্কুল রোডের বাসিন্দা টিপু। তিনি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডে (বিটিসিএল) চাকরি করেন। তিনি বলেন, টিকা দেয়ার কার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে নিতে হয়। আমি গতকাল রাত ৯টায় কাউন্সিলের কাছ থেকে কার্ড নিয়েছি। আজ টিকা দিতে আসলাম।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কাউন্সিলর কার্যালয়ের একজনের সঙ্গে কিছুটা উচ্চস্বরে কথা বলছিলেন বোরকাপরা দুই নারী। তারা দুই বোন শান্তা ও মারিয়া। তারা উত্তর রায়েরবাগ থেকে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়ে এসেছেন। শান্তা বলেন, আমরা তো আগে কার্ড নেয়নি। একজন বলল, কাউন্সিলর এসে কার্ড দেবে। আবার আরেকজন বলেছেন, আজ আর কার্ড দেয়া হবে না। আমার কার কথা শুনব, বুঝতে পারছি না। তারা ঠিক করে বলুক।

শাহাদাত হোসেনও কিছুটা ক্ষুব্ধ, তিনি বলেন, ‘খবরে কইতাছে, আইডি কার্ড নিয়া আইলেই টিকা নেওন যাইব। এখানে আবার উল্টা নিয়ম। আগে কার্ড নিতে অইব। আমার লগে তো খাতির নাই আমারে কি কার্ড দিব?’

তিনি আরও বলেন, ‘কী আর করমু চইলা যাই, সকালে আইসা বইসা রইছি হুদাই।’

বৃদ্ধ করিমন বেওয়া এসেছেন মাদরাসা রোড থেকে। দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে তিনি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চলে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাবা আমি তো জানি না। খালি ভোটার কার্ড নিয়া আইছি। হ্যারা এখন কও আরও কার্ড লাগব। হেই কার্ড ছাড়া টিকা দিব না। টিকা না দিলে বইয়া থাইক্যা কি করমু।’

সকাল সাড়ে ৯টায়ও এই কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি কর্মীরা। পুরুষ ও নারীরা আলাদা দুটি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। নারীদের সংখ্যাই ছিল বেশি।

এই টিকাকেন্দ্রের সুপারভাইজার আল-আমিন আরিফ বলেন, ‘আমরা এখানে প্রতিদিন ২৫০টি টিকা দিয়ে থাকি। মোট ছয়দিন এই কার্যক্রম চলবে।’

তিনি বলেন, যারা কার্ড নিয়ে আসবেন তাদের মধ্য থেকে আড়াইশজনকে আমরা টিকা দেব। টিকা কার্ড আমরা কাউন্সিলরকে দিয়ে দিই, তিনিই সেগুলো বিতরণ করেন। সূত্র:জাগোনিউজ

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: