০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

করোনা মোকাবেলায় শীর্ষে নিউজিল্যান্ড শেষে মেক্সিকো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৪২:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০
  • / ৪১৬৫ বার দেখা হয়েছে

করোনা মোকাবেলায় দেশভিত্তিক সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরতে সম্প্রতি একটি র‌্যাংকিং প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ। এতে এক মাসে প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যায় শনাক্ত সংখ্যা, এক মাসের মৃত্যুহার, প্রতি ১০ লাখে মোট মৃত্যু, শনাক্তের হার ও টিকা প্রাপ্তির মতো বিষয়গুলোকে মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে। ৫৩ দেশের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এই র‌্যাংকিং করা হয়েছে।

ব্লুমবার্গের মূল্যায়নে করোনা মোকাবেলায় ৮৫.৪ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড। শীর্ষ দশে থাকা বাকি দেশগুলো হলো জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ডেনমার্ক ও ভিয়েতনাম।

এর বিপরীতে করোনা মোকাবেলায় তলানিতে আছে মেক্সিকো। শীর্ষ ১০ নাজুক পরিস্থিতির দেশের তালিকায় আছে আর্জেন্টিনা, পেরু, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র, কলম্বিয়া, ইরান, ফিলিপাইন, ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও রুমানিয়া।

ব্লুমবার্গ বলছে, করোনা মোকাবেলায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকা নিউজিল্যান্ড শুরু থেকে প্রাদুর্ভাবের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। করোনায় কোনো প্রাণহানি ঘটার আগেই ২৬ মার্চ দেশটিতে লকডাউন জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় সীমান্ত। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের সরকার বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষা, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং, কেন্দ্রীয় কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশটি করোনার কবল থেকে মুক্ত হতে পেরেছে। যদিও মহামারির কারণে দেশটির পর্যটনশিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হযেছে; এর পরও স্বস্তির খবর হলো দেশটি দুটি করোনা টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষ ৩০ দিনে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে সেখানে করোনা শনাক্ত হয়েছে মাত্র দুজনের। এই সময়ে করোনায় কোনো ধরনের প্রাণহানি হয়নি।

করোনা মোকাবেলায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জাপান কিছুটা ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছে। সেখানে লকডাউনের চেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় নজর দেওয়া হয়। যাতে করে তাঁরা আক্রান্তদের পাশে থাকতে পারেন। জনসমাগম এড়ানোর পাশাপাশি দেশটিতে কঠোরভাবে মাস্ক পরিধানের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হয়। দেশটির সরকার বয়স্ক মানুষের আধিক্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে চারটি টিকার কম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। সর্বশেষ এক মাসে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে সেখানে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৯ জনের। এই সময়ে করোনায় সেখানে মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে দশমিক ৬ শতাংশ।

এই র‌্যাংকিংয়ের তলানিতে থাকা মেক্সিকোর পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্লুমবার্গ বলছে, গত এক মাসে সেখানকার প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ১১৩ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে সেখানে মৃত্যুহার ছিল ৮.৬ শতাংশ। আর নমুনা পরীক্ষা শনাক্তের হার ৬২.৩ শতাংশ। দেশটির মোট স্কোর ৩৭.৬।

শেয়ার করুন

x
English Version

করোনা মোকাবেলায় শীর্ষে নিউজিল্যান্ড শেষে মেক্সিকো

আপডেট: ১০:৪২:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০

করোনা মোকাবেলায় দেশভিত্তিক সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরতে সম্প্রতি একটি র‌্যাংকিং প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ। এতে এক মাসে প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যায় শনাক্ত সংখ্যা, এক মাসের মৃত্যুহার, প্রতি ১০ লাখে মোট মৃত্যু, শনাক্তের হার ও টিকা প্রাপ্তির মতো বিষয়গুলোকে মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে। ৫৩ দেশের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এই র‌্যাংকিং করা হয়েছে।

ব্লুমবার্গের মূল্যায়নে করোনা মোকাবেলায় ৮৫.৪ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড। শীর্ষ দশে থাকা বাকি দেশগুলো হলো জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ডেনমার্ক ও ভিয়েতনাম।

এর বিপরীতে করোনা মোকাবেলায় তলানিতে আছে মেক্সিকো। শীর্ষ ১০ নাজুক পরিস্থিতির দেশের তালিকায় আছে আর্জেন্টিনা, পেরু, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র, কলম্বিয়া, ইরান, ফিলিপাইন, ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও রুমানিয়া।

ব্লুমবার্গ বলছে, করোনা মোকাবেলায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকা নিউজিল্যান্ড শুরু থেকে প্রাদুর্ভাবের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। করোনায় কোনো প্রাণহানি ঘটার আগেই ২৬ মার্চ দেশটিতে লকডাউন জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় সীমান্ত। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের সরকার বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষা, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং, কেন্দ্রীয় কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশটি করোনার কবল থেকে মুক্ত হতে পেরেছে। যদিও মহামারির কারণে দেশটির পর্যটনশিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হযেছে; এর পরও স্বস্তির খবর হলো দেশটি দুটি করোনা টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষ ৩০ দিনে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে সেখানে করোনা শনাক্ত হয়েছে মাত্র দুজনের। এই সময়ে করোনায় কোনো ধরনের প্রাণহানি হয়নি।

করোনা মোকাবেলায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জাপান কিছুটা ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছে। সেখানে লকডাউনের চেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় নজর দেওয়া হয়। যাতে করে তাঁরা আক্রান্তদের পাশে থাকতে পারেন। জনসমাগম এড়ানোর পাশাপাশি দেশটিতে কঠোরভাবে মাস্ক পরিধানের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হয়। দেশটির সরকার বয়স্ক মানুষের আধিক্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে চারটি টিকার কম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। সর্বশেষ এক মাসে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে সেখানে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৯ জনের। এই সময়ে করোনায় সেখানে মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে দশমিক ৬ শতাংশ।

এই র‌্যাংকিংয়ের তলানিতে থাকা মেক্সিকোর পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্লুমবার্গ বলছে, গত এক মাসে সেখানকার প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ১১৩ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে সেখানে মৃত্যুহার ছিল ৮.৬ শতাংশ। আর নমুনা পরীক্ষা শনাক্তের হার ৬২.৩ শতাংশ। দেশটির মোট স্কোর ৩৭.৬।