০১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

এফডিআর কিংবা ডিপিএস, কোন ব্যাংকে কত সুদ!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:১১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১
  • / ৫৯৮৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ ছোটখাটো কোন ব্যবসা বা চাকুরিজীবী হলে আপনি চাইলেও পারেন না বড় কোনো বিনিয়োগ করতে। একসঙ্গে অনেক টাকার ব্যবস্থা করতে হিমশিম খেতে হয় তাঁদের। মাসিক বেতন থেকে তো আর খরচ বাদে খুব বেশি টাকা থাকে না। ফলে করতে হবে নিয়মিত সঞ্চয়ের অভ্যাস। একটু একটু করে করা সঞ্চয় একদিন বড় হয়ে ওঠে। আপনাকে প্রয়োজনে সহযোগিতা

করতে পারে। তাই সবারই উচিত নিয়মিত খরচের পাশাপাশি প্রতি মাসে যতটুকু পারা যায় সঞ্চয় করা।

একসময় এটা যেমন বড় আকার ধারণ করবে, সঙ্গে পাবেন কিছু বাড়তি টাকাও। টাকা তো আর ঘরে রাখলে নিরাপদ থাকবে না। তাই টাকা জমানোর জন্য আপনি ব্যাংকে হিসাব খুলতে পারেন। আর ব্যাংকে আপনি ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস) ও ফিক্সড ডিপোজিটের (এফডিআর) মাধ্যমে টাকা জমা রাখতে পারনে। এর বাইরে সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা রাখলে পেতে পারেন বাড়তি টাকা। চলুন, জেনে নিই কোন ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে তাঁরা আপনাকে কত টাকা হারে সুদ বা মুনাফা দেবে।

ঢাকা ব্যাংক: ঢাকা ব্যাংকে ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ বছর মেয়াদি ডিপিএস হিসাবের মাসিক কিস্তিগুলো আছে ৫০০, ১০০০, ১৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০০০০ টাকা। প্রদত্ত সুদের শতকরা হারগুলো: শতকরা ৬, ৭, ৮, ৮.৫, ৮.৭৫, ৯ ও ৯.৫ টাকা। এ ব্যাংকে আপনি এফডিআর করতে পারবেন ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর মেয়াদে। এবং সুদের হার যথাক্রমে শতকরা ৬, ৮ ও ৮.৫ টাকা। সঞ্চয়ী হিসাবে সুদের হার ৪ টাকা।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক: এখানে ডিপিএস আছে ৩, ৫, ৮ ও ১০ বছর মেয়াদে। মাসিক কিস্তি দিতে পারবেন ৫০০, ১০০০, ১৫০০, ২০০০, ২৫০০, ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত । সুদের হার শতকরা ৭.৫ টাকা। এফডিআর করা যাবে ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর মেয়াদি। সব ক্ষেত্রে সুদ পাবেন ৮ টাকা। এ ব্যাংক সঞ্চয়ী হিসাবে সুদ দেবে ৪ টাকা হারে।

সিটি ব্যাংক: ব্যাংকে ডিপিএসের মাসিক কিস্তিগুলো ৫০০, ১০০০, ২০০০, ৫০০০, ১০০০০ থেকে ২০০০০ টাকা পর্যন্ত। আর মেয়াদকাল ৩, ৫, ৭ ও ১০ বছর। ডিপিএসে সিটি ব্যাংক আপনাকে সুদ দেবে শতকরা ৮.৫ হারে। এ ব্যাংকে এফডিআর মেয়াদগুলো হলো ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর। সুদের হার নির্ধারিত আছে যথাক্রমে ৭, ৭.৫ ও ৮ টাকা (শতকরা হারে)। সিটি ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাবে আপনি পাবেন শতকরা ৪ টাকা হারে সুদ।

ন্যাশনাল ব্যাংক: পাঁচ ধরনের মাসিক কিস্তিতে ডিপিএস করা যাবে। মাসিক কিস্তি হলো ৫০০ থেকে ১০০০, ২০০০, ৫০০০ ও ১০০০০ টাকা। যেসব মেয়াদে ডিপিএস করা যাচ্ছে, সেগুলো ৩, ৬, ৮ ও ১০ বছর। প্রদত্ত সুদের হার শতকরা ৭.৭৫ থেকে ৯.৫ টাকা পর্যন্ত। ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডে এফডিআর আছে ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর মেয়াদে। এফডিআরে সুদের হার ধারাবাহিকভাবে শতবরা ৭.৭৫, ৮, ৮.২৫, ৮.৫ ও ৮.৭৫ টাকা। আর সঞ্চয়ী হিসাবে পাবেন আপনি শতকরা ৪.৫ টাকা।

আইএফআইসি ব্যাংক: তিন ও পাঁচ বছর মেয়াদে ডিপিএসের মাসিক কিস্তি ৫০০ টাকা থেকে এর গুণিতক এবং সুদের হার শতকরা ৯.৫ টাকা। এফডিআরের মেয়াদকাল ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর। সুদের হার শতকরা ৮.২৫, ৯, ৯.২৫ ও ৯.৫ টাকা। সঞ্চয়ী হিসাবে সুদের হার শতকরা ৫ টাকা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক: এ ব্যাংকে ডিপিএসে মাসিক কিস্তি আছে ৫০০, ১০০০, ৫০০০, ১০০০০, ১৫০০০ ও ২৫০০০ টাকা। মেয়াদকাল আছে ৫ ও ১০ বছর। সুদের হার শতকরা ৯ টাকা। এফডিআরের মেয়াদকাল ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর এবং সুদের হার সব ক্ষেত্রে ৮.৫ টাকা। আর সঞ্চয়ী হিসাবে এই ব্যাংক গ্রাহককে দেবে শতকরা ৫ টাকা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক:  ডিপিএস মাসিক কিস্তি ২৫০, ৫০০, ১০০০, ১৫০০, ২৫০০ ও ৫০০০ টাকা। মেয়াদগুলো ৫, ৮ ও ১০ বছর। সুদের হার শতকরা ৮ থেকে ৯.২৫ টাকা পর্যন্ত। এফডিআরের মেয়াদ আছে ১, ৩-৯ মাস এবং ১ বছর। সুদের হার ৭, ৯ ও ৯.২৫ টাকা। এ ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাবে সুদের হার শতকরা ৪.৫ টাকা।

ট্রাস্ট ব্যাংকএ ব্যাংকে ডিপিএসগুলো হচ্ছে ৫০০, ১০০০, ২০০০, ৩০০০, ৪০০০ ও ৫০০০ টাকা। মেয়াদ আছে ৩, ৫, ৭ ও ১০ বছর। সুদ পাবেন শতকরা ৮ টাকা। এফডিআর হবে ১, ৩, ৬ মাস ও ১ বছর। সুদের হার হবে ৭, ৮, ৮.২৫ ও ৮.৫ টাকা। ট্রাস্ট ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব থাকলে সুদ দেয় শতকরা ৬ টাকা।

সোনালী ব্যাংক: মাসিক কিস্তি আছে ৫০০, ১০০০, ২০০০, ৩০০০, ৪০০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০০০ টাকা। ৮.৫০ টাকা হারে সবগুলোই ৫ বছর মেয়াদি। এ ব্যাংকে এফডিআর আছে ৩ ও ৬ মাস এবং ১ ও ২ বছর। সুদ ৭.২৫, ৭.৫, ৮ ও ৮.২৫ টাকা। সঞ্চয়ী হিসাবে সুদের হার ৬.৫ টাকা।

অগ্রণী ব্যাংক:  ডিপিএসের মাসিক কিস্তিগুলো ১০০০ থেকে ১০০০০ টাকা। মেয়াদকাল ৫ ও ১০ বছর। শতকরা সুদের হার ৭ ও ৯ টাকা। ৭.২৫, ৭.৫ ও ৮ টাকা সুদের হারে এফডিআরের মেয়াদকাল ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর। সঞ্চয়ী হিসাব থাকলে পাবেন শতকরা ৪ টাকা।

জনতা ব্যাংক: ডিপিএস করতে পারবেন ৪ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত। মাসিক কিস্তি ২০০ থেকে ৫০০০ টাকা। সুদ শতকরা ৮ টাকা থেকে ক্ষেত্রে বিশেষে ৯ টাকাও পাওয়া যাবে। এফডিআর হয় ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর
মেয়াদে। এর সুদ শতকরা ৭, ৭.৫, ৭.৭৫ ও ৮ টাকা। জনতা ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব খুললে সুদ দেয় শতকরা ৬ টাকা।

পূবালী ব্যাংক: পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ডিপিএসগুলো ৫০০, ১০০০, ১৫০০ ও ২০০০ টাকার মাসিক কিস্তির। মেয়াদকাল ৩ ও ৫ বছর। সুদের হার ধরা হয়েছে শতকরা ৮.২৫ থেকে ৯.৫ টাকা। এফডিআরের মেয়াদকাল ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর। শতকরা ৭.৫, ৭.৭৫ ও ৮ টাকা হারে সুদ পাবেন আপনি। সঞ্চয়ী হিসাবে সুদের হার ৪.৫ টাকা।

স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক: এ ব্যাংকে ডিপিএস করার সুযোগ কম। আপনি শুধু ৩ বছর মেয়াদি একটি হিসাব এ ব্যাংকে খুলতে পারবেন। তার জন্য প্রাথমিক জমা ১০০০০ টাকা। আর মাসিক কিস্তি ১০০০ টাকা। অর্থাৎ মোট ৪৬০০০ টাকা জমা করলে এককালীন পাবেন ৫৩ হাজার টাকা। এফডিআর করতে পারবেন ন্যূনতম ১ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর মেয়াদে। সুদ শতকরা ৪.৭৫ টাকা। আর সঞ্চয়ী হিসাবে বিভিন্ন বিভাগে (টাকা জমার পরিমাণ অনুযায়ী নির্ধারিত) ২.৫ থেকে ৫ টাকা হারে সুদ পাওয়া যাবে।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ৮ ধরনের মাসিক কিস্তি সুবিধা রয়েছে। সেগুলো ১০০, ২৫০, ৫০০, ১০০০, ১৫০০, ২০০০, ২৫০০ এবং সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা পর্যন্ত মেয়াদগুলো হচ্ছে ৫, ৮ ও ১০ বছর। আর মুনাফার শতকার ৯ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত (শতকরা) । এখানে এফডিআর আছে ১, ৩ ও ৬
মাস এবং ১ বছর মেয়াদি এবং মুনাফা পাবেন ৭.৫, ৯, ৯.২৫ ও ৯.৫ টাকা হারে। এ ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব রাখলে হিসাবধারীকে ৭.৭৫ টাকা শতকরা হারে মুনাফা দেবে ব্যাংকটি।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক: ডিপিএস (লাখপতি ডিপোজিট স্কিম): কিস্তির হার ৪৫০, ৬৫০, ১২৫০ ও ২৩৫০ টাকা। মেয়াদ ৩, ৫, ৮ ও ১০ বছর। মুনাফার হার ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত থাকবে। এফডিআরের মেয়াদ ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর। মুনাফার হার ৯.২৫ ও ৯ টাকা (প্রাক্কলিত) । সঞ্চয়ী হিসাবে শতকরা ৪ টাকা মুনাফা পাবেন আপনি।

ঢাকা/এইচকে

শেয়ার করুন

x
English Version

এফডিআর কিংবা ডিপিএস, কোন ব্যাংকে কত সুদ!

আপডেট: ০৫:১১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ ছোটখাটো কোন ব্যবসা বা চাকুরিজীবী হলে আপনি চাইলেও পারেন না বড় কোনো বিনিয়োগ করতে। একসঙ্গে অনেক টাকার ব্যবস্থা করতে হিমশিম খেতে হয় তাঁদের। মাসিক বেতন থেকে তো আর খরচ বাদে খুব বেশি টাকা থাকে না। ফলে করতে হবে নিয়মিত সঞ্চয়ের অভ্যাস। একটু একটু করে করা সঞ্চয় একদিন বড় হয়ে ওঠে। আপনাকে প্রয়োজনে সহযোগিতা

করতে পারে। তাই সবারই উচিত নিয়মিত খরচের পাশাপাশি প্রতি মাসে যতটুকু পারা যায় সঞ্চয় করা।

একসময় এটা যেমন বড় আকার ধারণ করবে, সঙ্গে পাবেন কিছু বাড়তি টাকাও। টাকা তো আর ঘরে রাখলে নিরাপদ থাকবে না। তাই টাকা জমানোর জন্য আপনি ব্যাংকে হিসাব খুলতে পারেন। আর ব্যাংকে আপনি ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস) ও ফিক্সড ডিপোজিটের (এফডিআর) মাধ্যমে টাকা জমা রাখতে পারনে। এর বাইরে সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা রাখলে পেতে পারেন বাড়তি টাকা। চলুন, জেনে নিই কোন ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে তাঁরা আপনাকে কত টাকা হারে সুদ বা মুনাফা দেবে।

ঢাকা ব্যাংক: ঢাকা ব্যাংকে ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ বছর মেয়াদি ডিপিএস হিসাবের মাসিক কিস্তিগুলো আছে ৫০০, ১০০০, ১৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০০০০ টাকা। প্রদত্ত সুদের শতকরা হারগুলো: শতকরা ৬, ৭, ৮, ৮.৫, ৮.৭৫, ৯ ও ৯.৫ টাকা। এ ব্যাংকে আপনি এফডিআর করতে পারবেন ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর মেয়াদে। এবং সুদের হার যথাক্রমে শতকরা ৬, ৮ ও ৮.৫ টাকা। সঞ্চয়ী হিসাবে সুদের হার ৪ টাকা।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক: এখানে ডিপিএস আছে ৩, ৫, ৮ ও ১০ বছর মেয়াদে। মাসিক কিস্তি দিতে পারবেন ৫০০, ১০০০, ১৫০০, ২০০০, ২৫০০, ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত । সুদের হার শতকরা ৭.৫ টাকা। এফডিআর করা যাবে ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর মেয়াদি। সব ক্ষেত্রে সুদ পাবেন ৮ টাকা। এ ব্যাংক সঞ্চয়ী হিসাবে সুদ দেবে ৪ টাকা হারে।

সিটি ব্যাংক: ব্যাংকে ডিপিএসের মাসিক কিস্তিগুলো ৫০০, ১০০০, ২০০০, ৫০০০, ১০০০০ থেকে ২০০০০ টাকা পর্যন্ত। আর মেয়াদকাল ৩, ৫, ৭ ও ১০ বছর। ডিপিএসে সিটি ব্যাংক আপনাকে সুদ দেবে শতকরা ৮.৫ হারে। এ ব্যাংকে এফডিআর মেয়াদগুলো হলো ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর। সুদের হার নির্ধারিত আছে যথাক্রমে ৭, ৭.৫ ও ৮ টাকা (শতকরা হারে)। সিটি ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাবে আপনি পাবেন শতকরা ৪ টাকা হারে সুদ।

ন্যাশনাল ব্যাংক: পাঁচ ধরনের মাসিক কিস্তিতে ডিপিএস করা যাবে। মাসিক কিস্তি হলো ৫০০ থেকে ১০০০, ২০০০, ৫০০০ ও ১০০০০ টাকা। যেসব মেয়াদে ডিপিএস করা যাচ্ছে, সেগুলো ৩, ৬, ৮ ও ১০ বছর। প্রদত্ত সুদের হার শতকরা ৭.৭৫ থেকে ৯.৫ টাকা পর্যন্ত। ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডে এফডিআর আছে ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর মেয়াদে। এফডিআরে সুদের হার ধারাবাহিকভাবে শতবরা ৭.৭৫, ৮, ৮.২৫, ৮.৫ ও ৮.৭৫ টাকা। আর সঞ্চয়ী হিসাবে পাবেন আপনি শতকরা ৪.৫ টাকা।

আইএফআইসি ব্যাংক: তিন ও পাঁচ বছর মেয়াদে ডিপিএসের মাসিক কিস্তি ৫০০ টাকা থেকে এর গুণিতক এবং সুদের হার শতকরা ৯.৫ টাকা। এফডিআরের মেয়াদকাল ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর। সুদের হার শতকরা ৮.২৫, ৯, ৯.২৫ ও ৯.৫ টাকা। সঞ্চয়ী হিসাবে সুদের হার শতকরা ৫ টাকা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক: এ ব্যাংকে ডিপিএসে মাসিক কিস্তি আছে ৫০০, ১০০০, ৫০০০, ১০০০০, ১৫০০০ ও ২৫০০০ টাকা। মেয়াদকাল আছে ৫ ও ১০ বছর। সুদের হার শতকরা ৯ টাকা। এফডিআরের মেয়াদকাল ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর এবং সুদের হার সব ক্ষেত্রে ৮.৫ টাকা। আর সঞ্চয়ী হিসাবে এই ব্যাংক গ্রাহককে দেবে শতকরা ৫ টাকা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক:  ডিপিএস মাসিক কিস্তি ২৫০, ৫০০, ১০০০, ১৫০০, ২৫০০ ও ৫০০০ টাকা। মেয়াদগুলো ৫, ৮ ও ১০ বছর। সুদের হার শতকরা ৮ থেকে ৯.২৫ টাকা পর্যন্ত। এফডিআরের মেয়াদ আছে ১, ৩-৯ মাস এবং ১ বছর। সুদের হার ৭, ৯ ও ৯.২৫ টাকা। এ ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাবে সুদের হার শতকরা ৪.৫ টাকা।

ট্রাস্ট ব্যাংকএ ব্যাংকে ডিপিএসগুলো হচ্ছে ৫০০, ১০০০, ২০০০, ৩০০০, ৪০০০ ও ৫০০০ টাকা। মেয়াদ আছে ৩, ৫, ৭ ও ১০ বছর। সুদ পাবেন শতকরা ৮ টাকা। এফডিআর হবে ১, ৩, ৬ মাস ও ১ বছর। সুদের হার হবে ৭, ৮, ৮.২৫ ও ৮.৫ টাকা। ট্রাস্ট ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব থাকলে সুদ দেয় শতকরা ৬ টাকা।

সোনালী ব্যাংক: মাসিক কিস্তি আছে ৫০০, ১০০০, ২০০০, ৩০০০, ৪০০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০০০ টাকা। ৮.৫০ টাকা হারে সবগুলোই ৫ বছর মেয়াদি। এ ব্যাংকে এফডিআর আছে ৩ ও ৬ মাস এবং ১ ও ২ বছর। সুদ ৭.২৫, ৭.৫, ৮ ও ৮.২৫ টাকা। সঞ্চয়ী হিসাবে সুদের হার ৬.৫ টাকা।

অগ্রণী ব্যাংক:  ডিপিএসের মাসিক কিস্তিগুলো ১০০০ থেকে ১০০০০ টাকা। মেয়াদকাল ৫ ও ১০ বছর। শতকরা সুদের হার ৭ ও ৯ টাকা। ৭.২৫, ৭.৫ ও ৮ টাকা সুদের হারে এফডিআরের মেয়াদকাল ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর। সঞ্চয়ী হিসাব থাকলে পাবেন শতকরা ৪ টাকা।

জনতা ব্যাংক: ডিপিএস করতে পারবেন ৪ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত। মাসিক কিস্তি ২০০ থেকে ৫০০০ টাকা। সুদ শতকরা ৮ টাকা থেকে ক্ষেত্রে বিশেষে ৯ টাকাও পাওয়া যাবে। এফডিআর হয় ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর
মেয়াদে। এর সুদ শতকরা ৭, ৭.৫, ৭.৭৫ ও ৮ টাকা। জনতা ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব খুললে সুদ দেয় শতকরা ৬ টাকা।

পূবালী ব্যাংক: পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ডিপিএসগুলো ৫০০, ১০০০, ১৫০০ ও ২০০০ টাকার মাসিক কিস্তির। মেয়াদকাল ৩ ও ৫ বছর। সুদের হার ধরা হয়েছে শতকরা ৮.২৫ থেকে ৯.৫ টাকা। এফডিআরের মেয়াদকাল ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর। শতকরা ৭.৫, ৭.৭৫ ও ৮ টাকা হারে সুদ পাবেন আপনি। সঞ্চয়ী হিসাবে সুদের হার ৪.৫ টাকা।

স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক: এ ব্যাংকে ডিপিএস করার সুযোগ কম। আপনি শুধু ৩ বছর মেয়াদি একটি হিসাব এ ব্যাংকে খুলতে পারবেন। তার জন্য প্রাথমিক জমা ১০০০০ টাকা। আর মাসিক কিস্তি ১০০০ টাকা। অর্থাৎ মোট ৪৬০০০ টাকা জমা করলে এককালীন পাবেন ৫৩ হাজার টাকা। এফডিআর করতে পারবেন ন্যূনতম ১ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর মেয়াদে। সুদ শতকরা ৪.৭৫ টাকা। আর সঞ্চয়ী হিসাবে বিভিন্ন বিভাগে (টাকা জমার পরিমাণ অনুযায়ী নির্ধারিত) ২.৫ থেকে ৫ টাকা হারে সুদ পাওয়া যাবে।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ৮ ধরনের মাসিক কিস্তি সুবিধা রয়েছে। সেগুলো ১০০, ২৫০, ৫০০, ১০০০, ১৫০০, ২০০০, ২৫০০ এবং সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা পর্যন্ত মেয়াদগুলো হচ্ছে ৫, ৮ ও ১০ বছর। আর মুনাফার শতকার ৯ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত (শতকরা) । এখানে এফডিআর আছে ১, ৩ ও ৬
মাস এবং ১ বছর মেয়াদি এবং মুনাফা পাবেন ৭.৫, ৯, ৯.২৫ ও ৯.৫ টাকা হারে। এ ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব রাখলে হিসাবধারীকে ৭.৭৫ টাকা শতকরা হারে মুনাফা দেবে ব্যাংকটি।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক: ডিপিএস (লাখপতি ডিপোজিট স্কিম): কিস্তির হার ৪৫০, ৬৫০, ১২৫০ ও ২৩৫০ টাকা। মেয়াদ ৩, ৫, ৮ ও ১০ বছর। মুনাফার হার ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত থাকবে। এফডিআরের মেয়াদ ৩ ও ৬ মাস এবং ১ বছর। মুনাফার হার ৯.২৫ ও ৯ টাকা (প্রাক্কলিত) । সঞ্চয়ী হিসাবে শতকরা ৪ টাকা মুনাফা পাবেন আপনি।

ঢাকা/এইচকে