০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪

গুলি করে হত্যা করল ফ্রান্সের ফুটবলারকে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪২৫৮ বার দেখা হয়েছে

কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের পর কেটে গেছে এক সপ্তাহ। হারের ঘোর এখনো কাটেনি ফ্রান্সের। এর মধ্যে প্রকাশ্যে এলো মর্মান্তিক এক খবর। বড়দিনের ঠিক দুদিন আগে অর্থাৎ গত শুক্রবার গুলি করে হত্যা করা হলো আদেল সান্তানা মেন্ডি (২২) নামে এক ফুটবলারকে।

ফ্রান্সের মার্সেই শহরের একটি এলাকায় ওই ফুটবলারকে গুলি করা হয়েছে। খবর দ্যা সানের।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত জুনেই ফ্রান্সের ঘরোয়া লিগের চতুর্থ ডিভিশনের ক্লাব ওবানিয়াতে যোগ দিয়েছিলেন আদেল। এর মধ্যেই তাকে খুন করা হলো। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি এখনো জানায়নি পুলিশ।

পুলিশ বলছে, তারা তদন্ত শুরু করেছে। আদেলের ক্লাব ওবানিয়া সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছে— বিরাট একটা শূন্যস্থান তৈরি হলো। আদেল বরাবর আমাদের একজনই থাকবে। ওর পরিবারকে সমবেদনা।

মার্সেইয়ের যুব অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছিলেন আদেল। তার পরে ইংল্যান্ডের ক্লাব ইস্টবোর্ন ও ল্যাংনেতে খেলেছেন।

এ ছাড়া অ্যান্ডোরার বেশ কিছু ক্লাবে খেলেছেন তিনি। আদেলের খুন হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন মহল থেকে শোকবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।

জন্ম ফ্রান্সে হলেও আদেলের বাবা-মা সেনেগালের। ফ্রান্সের ছোটখাটো ফুটবল ক্লাবেই এতদিন খেলতেন তিনি। স্বপ্ন ছিল বড় ক্লাবে খেলার।

বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের পর থেকে অশান্ত ফ্রান্স। রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সমর্থকরা। তাদের সামলাতে লাঠি চালায় পুলিশ। কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে। বিশ্বকাপে হার মেনে নিতে না পেরে এক রাতে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। আর্জেন্টিনার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছেন ফরাসিরা। ম্যাচ টাইব্রেকারে নিয়ে গিয়েও জিততে পারেননি তারা। এই হার মানতেই পারছেন না সমর্থকরা।

গত শুক্রবার অশান্ত হয় প্যারিস। মধ্য প্যারিসের গার দ্য লে স্টেশন লাগোয়া কুর্দিস সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাছে একটি রেস্তোরাঁ ও সাঁলোতে ৬৯ বছরের এক বৃদ্ধের গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও অনেকে। তার পরেই অবশ্য আততায়ী ৬৯ বছরের বৃদ্ধকে ধরে ফেলে পুলিশ।

শ্বেতাঙ্গ ওই বৃদ্ধ একজন অবসরপ্রাপ্ত ট্রেনচালক। তিনি বর্ণবিদ্বেষী এবং ফ্রান্সে ‘বিদেশি’দের উপস্থিতি তার সহ্য হতো না বলে পুলিশের কাছে বয়ানও দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃশীতে সাইনাসের যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন? কী করবেন

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

গুলি করে হত্যা করল ফ্রান্সের ফুটবলারকে

আপডেট: ১২:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের পর কেটে গেছে এক সপ্তাহ। হারের ঘোর এখনো কাটেনি ফ্রান্সের। এর মধ্যে প্রকাশ্যে এলো মর্মান্তিক এক খবর। বড়দিনের ঠিক দুদিন আগে অর্থাৎ গত শুক্রবার গুলি করে হত্যা করা হলো আদেল সান্তানা মেন্ডি (২২) নামে এক ফুটবলারকে।

ফ্রান্সের মার্সেই শহরের একটি এলাকায় ওই ফুটবলারকে গুলি করা হয়েছে। খবর দ্যা সানের।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত জুনেই ফ্রান্সের ঘরোয়া লিগের চতুর্থ ডিভিশনের ক্লাব ওবানিয়াতে যোগ দিয়েছিলেন আদেল। এর মধ্যেই তাকে খুন করা হলো। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি এখনো জানায়নি পুলিশ।

পুলিশ বলছে, তারা তদন্ত শুরু করেছে। আদেলের ক্লাব ওবানিয়া সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছে— বিরাট একটা শূন্যস্থান তৈরি হলো। আদেল বরাবর আমাদের একজনই থাকবে। ওর পরিবারকে সমবেদনা।

মার্সেইয়ের যুব অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছিলেন আদেল। তার পরে ইংল্যান্ডের ক্লাব ইস্টবোর্ন ও ল্যাংনেতে খেলেছেন।

এ ছাড়া অ্যান্ডোরার বেশ কিছু ক্লাবে খেলেছেন তিনি। আদেলের খুন হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন মহল থেকে শোকবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।

জন্ম ফ্রান্সে হলেও আদেলের বাবা-মা সেনেগালের। ফ্রান্সের ছোটখাটো ফুটবল ক্লাবেই এতদিন খেলতেন তিনি। স্বপ্ন ছিল বড় ক্লাবে খেলার।

বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের পর থেকে অশান্ত ফ্রান্স। রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সমর্থকরা। তাদের সামলাতে লাঠি চালায় পুলিশ। কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে। বিশ্বকাপে হার মেনে নিতে না পেরে এক রাতে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। আর্জেন্টিনার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছেন ফরাসিরা। ম্যাচ টাইব্রেকারে নিয়ে গিয়েও জিততে পারেননি তারা। এই হার মানতেই পারছেন না সমর্থকরা।

গত শুক্রবার অশান্ত হয় প্যারিস। মধ্য প্যারিসের গার দ্য লে স্টেশন লাগোয়া কুর্দিস সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাছে একটি রেস্তোরাঁ ও সাঁলোতে ৬৯ বছরের এক বৃদ্ধের গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও অনেকে। তার পরেই অবশ্য আততায়ী ৬৯ বছরের বৃদ্ধকে ধরে ফেলে পুলিশ।

শ্বেতাঙ্গ ওই বৃদ্ধ একজন অবসরপ্রাপ্ত ট্রেনচালক। তিনি বর্ণবিদ্বেষী এবং ফ্রান্সে ‘বিদেশি’দের উপস্থিতি তার সহ্য হতো না বলে পুলিশের কাছে বয়ানও দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃশীতে সাইনাসের যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন? কী করবেন

ঢাকা/এসএম