জাদুঘরের নিদর্শন ধ্বংস করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:

আপডেট: ০৫:৩৩:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
/ ৪১২৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: জাদুঘরের নিদর্শন ধ্বংস বা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বিল-২০২২’ পাস হয়েছে জাতীয় সংসদে। বুধবার (৩০ মার্চ) সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বিলটি সংসদে উপস্থাপন করার পর তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিলটির ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব

তারও আগে গত বছরের ১৮ নভেম্বর বিলটি সংসদে তোলার পর পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ১৯৮৩ সালের এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ বাতিল করে ওই জায়গায় নতুন এ আইন হবে। জাদুঘরের জন্য একজন কিউরেটর ও সহকারী কিউরেটর রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে সেখানে, যা বিদ্যমান অধ্যাদেশে ছিল না।

জাদুঘরের স্থাবর নিদর্শন ধ্বংস বা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে বিলে। আর অস্থাবর নিদর্শন চুরি, পাচার, ধ্বংস নষ্ট, পরিবর্তন বা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এ বিলে উল্লেখে করা হয়েছে, কেউ জাদুঘরের নিদর্শনের ওপর খোদাই করলে বা কিছু লিখলে সর্বোচ্চ এক বছরের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।

জাদুঘরের পরিচালনায় সংস্কৃতিমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীকে সভাপতি করে একটি পরিচালনা পর্ষদের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকার আগের মতোই জাদুঘরের জন্য একজন মহাপরিচালক নিয়োগ করবে। বিলে ‘ভার্চুয়াল জাদুঘর’ করার বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বাইরে এবং ঢাকার বাইরে প্রদর্শনীর করার সুযোগ থাকছে। এ ছাড়া বিলে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন নিয়ে বিভাগীয় ও জেলা শহর ছাড়া যে কোনো জায়গায় শাখা জাদুঘর, বিষয়ভিত্তিক জাদুঘর, স্মৃতি জাদুঘর, সংগ্রশালা, গবেষণা কেন্দ্র, মহাফেজখানা স্থাপন ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে জাতীয় জাদুঘর।

ঢাকা/এসএ