০৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

ড. ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন: বিচারক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:০৯:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৪২৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা রায় ঘোষণাকালে এ পর্যবেক্ষণ দেন। রায় ঘোষণা এখনও চলছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

দুপুর ২টা ১২ মিনিটে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এজলাসে আসন গ্রহণ করেন। ২টা ১৫ মিনিটে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মোট ৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের মূল অংশ পড়া শুরু করেন। রায় ঘোষণা এখনও চলছে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আসাসিপক্ষ এক নম্বর আসামির বিষয়ে প্রশংসাসূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেল জয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলা হয়েছে। কিন্তু এ আদালতে নোবেলজয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার হচ্ছে। এসময় আদালত বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত।

আরও পড়ুন: বিএনপি প্রার্থীদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করেছে: তথ্যমন্ত্রী

গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।  একইসঙ্গে এই মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। সেদিন রাত ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ড. ইউনূসসহ চার আসামি আদালতে হাজির হন। অন্য আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

ড. ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন: বিচারক

আপডেট: ০৩:০৯:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা রায় ঘোষণাকালে এ পর্যবেক্ষণ দেন। রায় ঘোষণা এখনও চলছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

দুপুর ২টা ১২ মিনিটে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এজলাসে আসন গ্রহণ করেন। ২টা ১৫ মিনিটে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মোট ৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের মূল অংশ পড়া শুরু করেন। রায় ঘোষণা এখনও চলছে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আসাসিপক্ষ এক নম্বর আসামির বিষয়ে প্রশংসাসূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেল জয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলা হয়েছে। কিন্তু এ আদালতে নোবেলজয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার হচ্ছে। এসময় আদালত বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত।

আরও পড়ুন: বিএনপি প্রার্থীদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করেছে: তথ্যমন্ত্রী

গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।  একইসঙ্গে এই মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। সেদিন রাত ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ড. ইউনূসসহ চার আসামি আদালতে হাজির হন। অন্য আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

ঢাকা/কেএ