০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪

দশ টাকার পুরাতন নোটের আতিয়া মসজিদ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১
  • / ৪৩১০ বার দেখা হয়েছে

প্রাচীন স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়া জামে মসজিদ। চারশ বছরের পুরোনো এই মসজিদটি এখনও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে দীর্ঘদিন কোনো সংস্কার না হওয়ায় অবহেলায় পড়ে আছে মসজিদটি। যদিও প্রত্নতত্ত্ব ও যাদুঘর বিভাগ মসজিদটির তত্ত্বাবধান করছে।

জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে ১০ টাকার নোটের প্রচ্ছদে প্রথম আতিয়া মসজিদটি স্থান পায়। এরপর ১৯৮২ সালে পরিবর্তিত ১০ টাকার নোটের প্রচ্ছদেও স্থান পায় আতিয়া মসজিদ। এতে দেশবাসীর মাঝে সহজেই মসজিদটি পরিচিতি লাভ করে। মসজিদটি শুধু ঐতিহ্যের নিদর্শনই নয়, একটি দর্শনীয় স্থানও বটে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন।

শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন:বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

ইতিহাসখ্যাত বারো ভূঁইয়ার এক ভূঁইয়া ঈশা খাঁর পুত্র মুসা খানের শাসনামলে মসজিদটি নির্মিত হয়। ঈশা খাঁর রাজধানী ছিল সোনারগাঁ। তিনি ছিলেন সোনারগাঁ অঞ্চলের শাসক। বৃহত্তর ঢাকা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ তখন সোনারগাঁও অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিল। শাসন কার্যপরিচালনার সুবিধার্থে ঈশা খাঁ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়ায় পরগণা সৃষ্টি করেন। সে সময় আতিয়া পরগণার শাসনভার ন্যস্ত হয় ঈশা খাঁর পুত্র মুসা খাঁর ওপর।

টাঙ্গাইল শহরের দক্ষিণ পশ্চিমে ৭ কিলোমিটার দূরে লৌহজং নদীর তীরে ঐতিহাসিক এই মসজিদটির অবস্থান। এর নির্মাণ প্রায় ৪০০ বছর আগে হলেও মসজিদটি প্রাচীন স্থাপত্যের এক অনন্য শিল্পকর্মের নিদর্শন হওয়ায় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

প্রাচীন এই মসজিদটির আয়তন বাইরের দিকে ২০ দশমিক ৯ মিটার ও ১৬ দশমিক ১৩ মিটার। মসজিদের প্রাচীর ২ দশমিক ৭২ মিটার (দশমিক ৫ ফুট) প্রশস্ত বা দৈর্ঘ্য ৪২ ফুট, প্রস্থ ৩২ ফুট এবং উচ্চতা ৪৪ ফুট।

মসজিদের চার কোণায় রয়েছে চারটি বিশাল আকারের অষ্টকোণাকৃতির মিনার। স্ফীত রেখার সাহায্যে অলঙ্কৃত মিনারগুলো ছাদের অনেক ওপরে উঠে গেছে। চূড়ায় রয়েছে কারুকার্যময় সুন্দর ছোট ছোট গম্বুজ। গম্বুজগুলোর গায়ে বিভিন্ন রকমের কারুকার্য মসজিদটির সৌন্দর্য অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

মসজিদটির প্রধান কক্ষ ও বারান্দা দুই ভাগে বিভক্ত। মসজিদের পূর্ব ও মাঝের দেয়ালে রয়েছে একটি করে দরজা। বারান্দাসহ উত্তর-দক্ষিণ দেয়ালে রয়েছে দুটো করে দরজা। ভেতরের পশ্চিম দেয়ালে আছে ৩টি সুন্দর মেহরাব। প্রধান কক্ষের প্রত্যেক দেয়ালের সঙ্গে দুইটি করে পাথরের তৈরি স্তম্ভ আছে। প্রধান কক্ষের উপরে রয়েছে একটি বিশাল মনোমুগ্ধকর গম্বুজ। বারান্দার পূর্ব দেয়ালে রয়েছে তিনটি প্রবেশ পথ। মাঝখানের প্রবেশপথের উপরের অংশের নিম্নভাগে একটি শিলালিপি রয়েছে।

বর্তমানে যে শিলালিপিটি রয়েছে এর আগেও সেখানে একটি শিলালিপি ছিল বলে ইতিহাসে উল্লেখ আছে। এই শিলালিপিটি ফার্সিতে লেখা। কোনো কারণে আদি শিলালিপিটি বিনষ্ট হলে পরবর্তীকালে মসজিদ মেরামতের সময় বর্তমান শিলালিপিটি লাগানো হয়। বর্তমান শিলালিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আতিয়া মসজিদ নির্মাণ হয় ১০১৮ হিজরিতে।

জানা যায়, ১৬০৯ সালে বায়েজিদখান পন্নীর পুত্র সাঈদখান পন্নী মসজিদটি নির্মাণ করেন। টাঙ্গাইলের করটিয়ার বিখ্যাত পন্নী জমিদার বংশের আদি পুরুষ হলেন সাঈদ খান পন্নী। মসজিদের পশ্চিমদিকে অবস্থিত ফটকের ডানদিকে আরেকটি শিলালিপি আছে। ইংরিজেতি লেখা এই শিলালিপি পাঠে জানা যায়, ১৬০৯ সালে সাঈদ খান পন্নী এটি নির্মাণ করেন। এরপর ১৮৩৭ সালে মসজিদটি সংস্কার করেন দেলদুয়ার জমিদার বাড়ীর সদস্য রওশন খাতুন চৌধুরাণী। পরে দেলদুয়ারের জমিদার আবু আহম্মদ গজনবী ও করটিয়ার জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নীসহ কয়েকজন মিলে ১৯০৯ সালে পুনরায় মসজিদটি সংস্কার করেন। বর্তমানে জাতীয় জাদুঘরের অধীনে মসজিদটির তত্ত্বাবধায়ন করা হচ্ছে।

ময়মনসিংহ থেকে মসজিদে বেড়াতে আসা দুদু মিয়া ও আনছের আলী বলেন, অনেক বছরের পুরাতন এই মসজিদে এসে নামাজ আদায় করেছি। খুব ভাল লেগেছে। দশনার্থী বাড়াতে মসজিদটির সংস্কার দরকার।

দশনার্থীরা ঢাকা পোস্টকে জানান, ঐতিহ্যেবাহি মসজিদটি সংস্কারের পাশাপাশি সুন্দর ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। স্থানটিতে সব ধরনের মানুষ বেড়াতে আসছে। যে দশ টাকার নোটে মসজিদের ছবি ছিল সেই টাকা পুনরায় ছাপানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

মসজিদের মুসল্লি মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতিহাস ঐতিহ্যের এই মসজিদটি এখনও অনেক সুন্দর। তবে মসজিদ সংস্কার করা প্রয়োজন। অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে মসজিদটি।

আতিয়া মসজিদ কমিটির সাবেক হিসাব রক্ষক আব্দুল করিম বলেন, মসজিদের যতটুকু সংস্কার কাজ হয়েছে, সেটা স্থানীয়দের সহযোগিতায়। সরকারিভাবে কোনো কাজ হয়নি। ছাদের উপরে ফাটল রয়েছে। এতে বৃষ্টির দিনে চুয়ে চুয়ে পানি পড়ে। মসজিদ দ্রুত সংস্কার করার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাই।

আতিয়া জামে মসজিদের ইমাম ফরিদ আহাম্মেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমি এই মসজিদে প্রায় ২০ বছর ধরে আছি। এখানে পাঁচ ওয়াক্তসহ জুমআ’র নামাজ আদায় করা হয়। প্রতিদিন মসজিদটি দেখতে অসংখ্য দর্শনার্থী আসে। সব চেয়ে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বেশ দর্শনার্থীর দেখা মিলে। মসজিদটি ২০০০ সালে শুধু পরিস্কারের কাজ করা হয়। ২০০১ সালের পর থেকে এখন অবদি কোনো কাজ হয়নি। ফলে অযত্ন-অবহেলা আর সংস্কারের অভাবে দেশের অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন ৪’শ বছরের পুরনো আতিয়া জামে মসজিদটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। এখন আবার সংস্কার করা প্রয়োজন।’

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা্/এএ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

দশ টাকার পুরাতন নোটের আতিয়া মসজিদ

আপডেট: ০৭:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১

প্রাচীন স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়া জামে মসজিদ। চারশ বছরের পুরোনো এই মসজিদটি এখনও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে দীর্ঘদিন কোনো সংস্কার না হওয়ায় অবহেলায় পড়ে আছে মসজিদটি। যদিও প্রত্নতত্ত্ব ও যাদুঘর বিভাগ মসজিদটির তত্ত্বাবধান করছে।

জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে ১০ টাকার নোটের প্রচ্ছদে প্রথম আতিয়া মসজিদটি স্থান পায়। এরপর ১৯৮২ সালে পরিবর্তিত ১০ টাকার নোটের প্রচ্ছদেও স্থান পায় আতিয়া মসজিদ। এতে দেশবাসীর মাঝে সহজেই মসজিদটি পরিচিতি লাভ করে। মসজিদটি শুধু ঐতিহ্যের নিদর্শনই নয়, একটি দর্শনীয় স্থানও বটে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন।

শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন:বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

ইতিহাসখ্যাত বারো ভূঁইয়ার এক ভূঁইয়া ঈশা খাঁর পুত্র মুসা খানের শাসনামলে মসজিদটি নির্মিত হয়। ঈশা খাঁর রাজধানী ছিল সোনারগাঁ। তিনি ছিলেন সোনারগাঁ অঞ্চলের শাসক। বৃহত্তর ঢাকা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ তখন সোনারগাঁও অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিল। শাসন কার্যপরিচালনার সুবিধার্থে ঈশা খাঁ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়ায় পরগণা সৃষ্টি করেন। সে সময় আতিয়া পরগণার শাসনভার ন্যস্ত হয় ঈশা খাঁর পুত্র মুসা খাঁর ওপর।

টাঙ্গাইল শহরের দক্ষিণ পশ্চিমে ৭ কিলোমিটার দূরে লৌহজং নদীর তীরে ঐতিহাসিক এই মসজিদটির অবস্থান। এর নির্মাণ প্রায় ৪০০ বছর আগে হলেও মসজিদটি প্রাচীন স্থাপত্যের এক অনন্য শিল্পকর্মের নিদর্শন হওয়ায় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

প্রাচীন এই মসজিদটির আয়তন বাইরের দিকে ২০ দশমিক ৯ মিটার ও ১৬ দশমিক ১৩ মিটার। মসজিদের প্রাচীর ২ দশমিক ৭২ মিটার (দশমিক ৫ ফুট) প্রশস্ত বা দৈর্ঘ্য ৪২ ফুট, প্রস্থ ৩২ ফুট এবং উচ্চতা ৪৪ ফুট।

মসজিদের চার কোণায় রয়েছে চারটি বিশাল আকারের অষ্টকোণাকৃতির মিনার। স্ফীত রেখার সাহায্যে অলঙ্কৃত মিনারগুলো ছাদের অনেক ওপরে উঠে গেছে। চূড়ায় রয়েছে কারুকার্যময় সুন্দর ছোট ছোট গম্বুজ। গম্বুজগুলোর গায়ে বিভিন্ন রকমের কারুকার্য মসজিদটির সৌন্দর্য অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

মসজিদটির প্রধান কক্ষ ও বারান্দা দুই ভাগে বিভক্ত। মসজিদের পূর্ব ও মাঝের দেয়ালে রয়েছে একটি করে দরজা। বারান্দাসহ উত্তর-দক্ষিণ দেয়ালে রয়েছে দুটো করে দরজা। ভেতরের পশ্চিম দেয়ালে আছে ৩টি সুন্দর মেহরাব। প্রধান কক্ষের প্রত্যেক দেয়ালের সঙ্গে দুইটি করে পাথরের তৈরি স্তম্ভ আছে। প্রধান কক্ষের উপরে রয়েছে একটি বিশাল মনোমুগ্ধকর গম্বুজ। বারান্দার পূর্ব দেয়ালে রয়েছে তিনটি প্রবেশ পথ। মাঝখানের প্রবেশপথের উপরের অংশের নিম্নভাগে একটি শিলালিপি রয়েছে।

বর্তমানে যে শিলালিপিটি রয়েছে এর আগেও সেখানে একটি শিলালিপি ছিল বলে ইতিহাসে উল্লেখ আছে। এই শিলালিপিটি ফার্সিতে লেখা। কোনো কারণে আদি শিলালিপিটি বিনষ্ট হলে পরবর্তীকালে মসজিদ মেরামতের সময় বর্তমান শিলালিপিটি লাগানো হয়। বর্তমান শিলালিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আতিয়া মসজিদ নির্মাণ হয় ১০১৮ হিজরিতে।

জানা যায়, ১৬০৯ সালে বায়েজিদখান পন্নীর পুত্র সাঈদখান পন্নী মসজিদটি নির্মাণ করেন। টাঙ্গাইলের করটিয়ার বিখ্যাত পন্নী জমিদার বংশের আদি পুরুষ হলেন সাঈদ খান পন্নী। মসজিদের পশ্চিমদিকে অবস্থিত ফটকের ডানদিকে আরেকটি শিলালিপি আছে। ইংরিজেতি লেখা এই শিলালিপি পাঠে জানা যায়, ১৬০৯ সালে সাঈদ খান পন্নী এটি নির্মাণ করেন। এরপর ১৮৩৭ সালে মসজিদটি সংস্কার করেন দেলদুয়ার জমিদার বাড়ীর সদস্য রওশন খাতুন চৌধুরাণী। পরে দেলদুয়ারের জমিদার আবু আহম্মদ গজনবী ও করটিয়ার জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নীসহ কয়েকজন মিলে ১৯০৯ সালে পুনরায় মসজিদটি সংস্কার করেন। বর্তমানে জাতীয় জাদুঘরের অধীনে মসজিদটির তত্ত্বাবধায়ন করা হচ্ছে।

ময়মনসিংহ থেকে মসজিদে বেড়াতে আসা দুদু মিয়া ও আনছের আলী বলেন, অনেক বছরের পুরাতন এই মসজিদে এসে নামাজ আদায় করেছি। খুব ভাল লেগেছে। দশনার্থী বাড়াতে মসজিদটির সংস্কার দরকার।

দশনার্থীরা ঢাকা পোস্টকে জানান, ঐতিহ্যেবাহি মসজিদটি সংস্কারের পাশাপাশি সুন্দর ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। স্থানটিতে সব ধরনের মানুষ বেড়াতে আসছে। যে দশ টাকার নোটে মসজিদের ছবি ছিল সেই টাকা পুনরায় ছাপানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

মসজিদের মুসল্লি মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতিহাস ঐতিহ্যের এই মসজিদটি এখনও অনেক সুন্দর। তবে মসজিদ সংস্কার করা প্রয়োজন। অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে মসজিদটি।

আতিয়া মসজিদ কমিটির সাবেক হিসাব রক্ষক আব্দুল করিম বলেন, মসজিদের যতটুকু সংস্কার কাজ হয়েছে, সেটা স্থানীয়দের সহযোগিতায়। সরকারিভাবে কোনো কাজ হয়নি। ছাদের উপরে ফাটল রয়েছে। এতে বৃষ্টির দিনে চুয়ে চুয়ে পানি পড়ে। মসজিদ দ্রুত সংস্কার করার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাই।

আতিয়া জামে মসজিদের ইমাম ফরিদ আহাম্মেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমি এই মসজিদে প্রায় ২০ বছর ধরে আছি। এখানে পাঁচ ওয়াক্তসহ জুমআ’র নামাজ আদায় করা হয়। প্রতিদিন মসজিদটি দেখতে অসংখ্য দর্শনার্থী আসে। সব চেয়ে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বেশ দর্শনার্থীর দেখা মিলে। মসজিদটি ২০০০ সালে শুধু পরিস্কারের কাজ করা হয়। ২০০১ সালের পর থেকে এখন অবদি কোনো কাজ হয়নি। ফলে অযত্ন-অবহেলা আর সংস্কারের অভাবে দেশের অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন ৪’শ বছরের পুরনো আতিয়া জামে মসজিদটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। এখন আবার সংস্কার করা প্রয়োজন।’

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা্/এএ

আরও পড়ুন: