০৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

করোনায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৯১২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:২৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১
  • / ৪১৪৮ বার দেখা হয়েছে

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার ৪৮৯ জনে। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৯১২ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৫২ হাজার ৮৭ জনে।

মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে ভাইরাসটি থেকে মুক্ত হয়েছেন এক হাজার ২২৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৫ হাজার ৩৩৯ জন।

শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন:বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৯৭৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্য থেকে ১৭ হাজার ৭৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ ৮০ হাজার ৯৩৮টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৩ জনের সবাই পুরুষ। সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মোট মারা যাওয়া আট হাজার ৪৮৯ জনের মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ৪২০ জন, বাকি দুই হাজার ৬৯ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে পাঁচ জন ষাটোর্ধ্ব, পাঁচ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব, দুই জন চল্লিশোর্ধ্ব ও এক জন ত্রিশোর্ধ্ব রয়েছেন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিন জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ঠিক ১০ দিন পর দেশে ভাইরাসটিতে প্রথম মৃত্যু হয়। প্রথম মৃত্যুর তিন দিন পর করোনায় দ্বিতীয় মৃত্যু হয় ২১ মার্চ। এরপর ২৩, ২৪ ও ২৫ মার্চ টানা তিন দিনে তিন জনের মৃত্যু হলেও মার্চ মাসে ভাইরাসটিতে আর কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

১ এপ্রিল মৃত্যু হয় আরেকজনের। মৃত্যুশূন্য থাকে ২ ও ৩ এপ্রিল। ৪ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দেশে দুজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে আর এমন কোনো দিন যায়নি, যেদিন করোনায় দেশে কারও মৃত্যু হয়নি। তবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ জনের নিচে থাকলেও, ১৬ এপ্রিল প্রথমবারের মতো করোনায় দুই সংখ্যার মৃত্যু দেখে বাংলাদেশ। ১৭ এপ্রিল ছাড়িয়ে যায় মানুষের কল্পনাকেও, ওই দিন দেশে করোনায় ১৫ জনের প্রাণহানি হয়।

এরপর ১০ মে ১৪ জনের মৃত্যুর পর ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত, মাঝের সময়ে করোনায় সিঙ্গেল ডিজিটের কোনো মৃত্যু হয়নি। ভাইরাসটিতে প্রথম ২০-এর অধিক মৃত্যু হয় ১৮ মে, সেদিন দেশে ২১ জনের প্রাণহানি ঘটে। ৩১ মে প্রথমবারের মতো দেশে ৪০ জনের মৃত্যু হয় এ ভাইরাসে। ৫০ ছাড়ায় ১৬ মে, সেদিন মৃত্যু হয় ৫৩ জনের। ৩০ জুন দেশে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটে, সেদিন এ ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নেয় ৬৪ জনের।

মূলত ২৯ মে থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু একদিনের জন্যও ২০ জনের নিচে নামেনি। প্রায় চার মাস ১০ দিন পর ৯ অক্টোবর করোনায় মৃত্যু ২০-এর নিচে নেমে আসে, সেদিন দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা্/এএ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

করোনায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৯১২

আপডেট: ০৭:২৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার ৪৮৯ জনে। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৯১২ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৫২ হাজার ৮৭ জনে।

মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে ভাইরাসটি থেকে মুক্ত হয়েছেন এক হাজার ২২৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৫ হাজার ৩৩৯ জন।

শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন:বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৯৭৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্য থেকে ১৭ হাজার ৭৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ ৮০ হাজার ৯৩৮টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৩ জনের সবাই পুরুষ। সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মোট মারা যাওয়া আট হাজার ৪৮৯ জনের মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ৪২০ জন, বাকি দুই হাজার ৬৯ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে পাঁচ জন ষাটোর্ধ্ব, পাঁচ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব, দুই জন চল্লিশোর্ধ্ব ও এক জন ত্রিশোর্ধ্ব রয়েছেন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিন জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ঠিক ১০ দিন পর দেশে ভাইরাসটিতে প্রথম মৃত্যু হয়। প্রথম মৃত্যুর তিন দিন পর করোনায় দ্বিতীয় মৃত্যু হয় ২১ মার্চ। এরপর ২৩, ২৪ ও ২৫ মার্চ টানা তিন দিনে তিন জনের মৃত্যু হলেও মার্চ মাসে ভাইরাসটিতে আর কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

১ এপ্রিল মৃত্যু হয় আরেকজনের। মৃত্যুশূন্য থাকে ২ ও ৩ এপ্রিল। ৪ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দেশে দুজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে আর এমন কোনো দিন যায়নি, যেদিন করোনায় দেশে কারও মৃত্যু হয়নি। তবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ জনের নিচে থাকলেও, ১৬ এপ্রিল প্রথমবারের মতো করোনায় দুই সংখ্যার মৃত্যু দেখে বাংলাদেশ। ১৭ এপ্রিল ছাড়িয়ে যায় মানুষের কল্পনাকেও, ওই দিন দেশে করোনায় ১৫ জনের প্রাণহানি হয়।

এরপর ১০ মে ১৪ জনের মৃত্যুর পর ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত, মাঝের সময়ে করোনায় সিঙ্গেল ডিজিটের কোনো মৃত্যু হয়নি। ভাইরাসটিতে প্রথম ২০-এর অধিক মৃত্যু হয় ১৮ মে, সেদিন দেশে ২১ জনের প্রাণহানি ঘটে। ৩১ মে প্রথমবারের মতো দেশে ৪০ জনের মৃত্যু হয় এ ভাইরাসে। ৫০ ছাড়ায় ১৬ মে, সেদিন মৃত্যু হয় ৫৩ জনের। ৩০ জুন দেশে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটে, সেদিন এ ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নেয় ৬৪ জনের।

মূলত ২৯ মে থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু একদিনের জন্যও ২০ জনের নিচে নামেনি। প্রায় চার মাস ১০ দিন পর ৯ অক্টোবর করোনায় মৃত্যু ২০-এর নিচে নেমে আসে, সেদিন দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা্/এএ

আরও পড়ুন: