পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতার মৃত্যু হৃদরোগে: তথ্যমন্ত্রী
- আপডেট: ০৬:১১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৪১৯৯ বার দেখা হয়েছে
পঞ্চগড়ে গত শনিবার বিএনপির গণমিছিলের নিকটস্থলে আব্দুর রশিদের মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ, পুলিশের আঘাত নয় এবং কর্মীদের সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া বিএনপি নেতাদের সমীচীন নয় বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
ড. হাছান বলেন, ‘পঞ্চগড়ে যে ব্যক্তি মারা গেছেন, তিনি বিএনপি করতেন এবং যে কোনও মৃত্যুই বেদনাদায়ক। সে জন্য আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তবে তার মৃত্যুটা পুলিশের সাথে সংঘর্ষের কারণে নয়। তিনি হৃদরোগী ছিলেন, তার বাইপাস সার্জারি হয়েছিল। তিনি বিএনপির মিছিলে এসেছিলেন বটে, কিন্তু পুলিশের সাথে ঘটনা শুরু হওয়ার আগেই তিনি একটি মসজিদের সামনে অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বেরিয়েছে, তার মৃত্যু হার্ট অ্যাটাকেই হয়েছে তা বেরিয়ে এসেছে। তবে বিএনপি তাদের কর্মীদেরকে সবসময় সংঘাতের দিতে ঠেলে দেয়, যা সমীচীন নয়। এই সাংঘর্ষিক রাজনীতি দেশের কোনও কল্যাণ বয়ে আনে না, তাদের দলের জন্যও এ পর্যন্ত কল্যাণ বয়ে আনেনি। এই সাংঘর্ষিক রাজনীতি বিএনপির পরিহার করা উচিত।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ডুবে যাওয়া তেলবাহী জাহাজ ৩৬ ঘন্টাও উদ্ধার হয়নি
বিএনপি বারবার বলছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না—এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার নির্বাচন আয়োজন করে না। নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। যখন তফসিল ঘোষণা করা হয়, তখন সরকারের একজন টিএনও, ওসি বদলী করার মতো ক্ষমতা থাকে না। আমরা চাই, দেশে অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী হোক। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য তারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। তাদের জন্মটাই তো অগণতান্ত্রিকভাবে। তারা জানে, জনগণের কাছ থেকে তারা অনেক দূরে সরে গেছে। সে জন্য নির্বাচন নিয়ে তাদের এতো ভয়। তবে তাদের এই ভীতি দূর করার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের বা সরকারের নয়।
ঢাকা/এসএ