০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতাই প্রথম পদক্ষেপ: পরিকল্পনামন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
  • / ৪১৬৭ বার দেখা হয়েছে

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতাই হলো প্রথম পদক্ষেপ। যেটা খুবই দরকার। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে খুবই সচেতন। তার নানা কাজের মধ্যে এর প্রমাণ আছে। তিনি আমাদের এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। আমরা কাজ করি। তিনি হাওর অঞ্চলে আর বাঁধ বা নির্মাণ না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যেটি সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত।

আজ শনিবার (২০ মে) ‘পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ সেন্টার ফর হলিস্টিক স্ট্যাডিজ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমার বাড়ি হাওর অঞ্চলে। এসব অঞ্চলে রাস্তাঘাটের প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমরা টের পাচ্ছি যে হাওরের মধ্যে রাস্তাঘাট নির্মাণ করে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছি। বাঁধ নির্মাণে আদতে আমাদের ক্ষতিই হবে। ফলে আমরা বাঁধ নির্মাণ সংক্রান্ত যেকোনো প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। এছাড়া হাওরের পাখিদেরও রক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, আরেকটি নির্দেশনা আছে যে, নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন করতে হলে বাধ্যতামূলক ইটিপি স্থাপন করতে হবে।

এম এ মান্নান বলেন, আমাদের সরকারের কিছু ওভারল্যাপিং আছে। আমি নিজেও দেখেছি, সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় গভীরভাবে নেওয়া হয় না। যেকোনো সমস্যায় তুলনামূলক জুনিয়রদের পাঠানো হয়। সে হয়ত গভীরতাটা বুঝতে পারে না।

তিনি বলেন, মহাবিশ্ব নিজেকে প্রতিনিয়ত ভাঙছে আর গড়ছে। তার সঙ্গে সমন্বয় করেই আমাদের থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: সব সূচকে অনেক আগেই পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি আমরা: তথ্যমন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রিকশায় কোনো পলিউশন নেই। একজন রিকশাওয়ালা ৫০-৬০ বছর ধরে রিকশা চালায়। কিন্তু আমরা কি পারব তাদের শেষ বয়সে একটি স্বাস্থ্যকর জীবন উপহার দিতে? সমাজে যারা দরিদ্র-বঞ্চিত মানুষ, তারা কেউই দরিদ্র হয়ে জন্মায় না। সামাজিক গ্যাঁড়াকলে পড়ে তাদের এ অবস্থা হয়।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক বলেন, যেকোনো সমস্যা বা পরিস্থিতিতে তিনটি ব্যাপার দরকার। এক, আইন বা পদক্ষেপ; দুই, সেই আইন বা পদক্ষেপের বাস্তবায়ন; তিন, অংশীদার। এই তিনটিকে এক জায়গায় সমন্বয় করে আমাদের যেকোনো সমস্যা সমাধানের আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য আমাদের শিল্পায়ন ও শিল্প নগরী দরকার। কিন্তু একইসঙ্গে আমাদের পরিবেশের দিকটাও দেখতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নগরায়ণ ও অভিবাসন। এসব সমস্যা সমাধানে আমাদের সমন্বিত আলোচনা দরকার। আপনারা অংশীদাররা আলোচনা করে আমাদের সমাধানের পরামর্শ দিন। আমরা সেটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।

বাংলাদেশ সেন্টার ফর হলিস্টিক স্ট্যাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের সেন্ট্রাল পলিউশন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস পি গৌতম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিন ড. মো. জিল্লুর রহমান, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মিহির কান্তি মজুমদার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী অখিল কুমার বিশ্বাস, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিপিআরডি) প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতাই প্রথম পদক্ষেপ: পরিকল্পনামন্ত্রী

আপডেট: ০৬:১৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতাই হলো প্রথম পদক্ষেপ। যেটা খুবই দরকার। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে খুবই সচেতন। তার নানা কাজের মধ্যে এর প্রমাণ আছে। তিনি আমাদের এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। আমরা কাজ করি। তিনি হাওর অঞ্চলে আর বাঁধ বা নির্মাণ না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যেটি সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত।

আজ শনিবার (২০ মে) ‘পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ সেন্টার ফর হলিস্টিক স্ট্যাডিজ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমার বাড়ি হাওর অঞ্চলে। এসব অঞ্চলে রাস্তাঘাটের প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমরা টের পাচ্ছি যে হাওরের মধ্যে রাস্তাঘাট নির্মাণ করে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছি। বাঁধ নির্মাণে আদতে আমাদের ক্ষতিই হবে। ফলে আমরা বাঁধ নির্মাণ সংক্রান্ত যেকোনো প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। এছাড়া হাওরের পাখিদেরও রক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, আরেকটি নির্দেশনা আছে যে, নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন করতে হলে বাধ্যতামূলক ইটিপি স্থাপন করতে হবে।

এম এ মান্নান বলেন, আমাদের সরকারের কিছু ওভারল্যাপিং আছে। আমি নিজেও দেখেছি, সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় গভীরভাবে নেওয়া হয় না। যেকোনো সমস্যায় তুলনামূলক জুনিয়রদের পাঠানো হয়। সে হয়ত গভীরতাটা বুঝতে পারে না।

তিনি বলেন, মহাবিশ্ব নিজেকে প্রতিনিয়ত ভাঙছে আর গড়ছে। তার সঙ্গে সমন্বয় করেই আমাদের থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: সব সূচকে অনেক আগেই পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি আমরা: তথ্যমন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রিকশায় কোনো পলিউশন নেই। একজন রিকশাওয়ালা ৫০-৬০ বছর ধরে রিকশা চালায়। কিন্তু আমরা কি পারব তাদের শেষ বয়সে একটি স্বাস্থ্যকর জীবন উপহার দিতে? সমাজে যারা দরিদ্র-বঞ্চিত মানুষ, তারা কেউই দরিদ্র হয়ে জন্মায় না। সামাজিক গ্যাঁড়াকলে পড়ে তাদের এ অবস্থা হয়।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক বলেন, যেকোনো সমস্যা বা পরিস্থিতিতে তিনটি ব্যাপার দরকার। এক, আইন বা পদক্ষেপ; দুই, সেই আইন বা পদক্ষেপের বাস্তবায়ন; তিন, অংশীদার। এই তিনটিকে এক জায়গায় সমন্বয় করে আমাদের যেকোনো সমস্যা সমাধানের আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য আমাদের শিল্পায়ন ও শিল্প নগরী দরকার। কিন্তু একইসঙ্গে আমাদের পরিবেশের দিকটাও দেখতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নগরায়ণ ও অভিবাসন। এসব সমস্যা সমাধানে আমাদের সমন্বিত আলোচনা দরকার। আপনারা অংশীদাররা আলোচনা করে আমাদের সমাধানের পরামর্শ দিন। আমরা সেটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।

বাংলাদেশ সেন্টার ফর হলিস্টিক স্ট্যাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের সেন্ট্রাল পলিউশন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস পি গৌতম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিন ড. মো. জিল্লুর রহমান, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মিহির কান্তি মজুমদার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী অখিল কুমার বিশ্বাস, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিপিআরডি) প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা।

ঢাকা/টিএ