০৩:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পাচার করা অর্থ মুদ্রাবাজারে আনতে পদক্ষেপ নিতে হবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩১:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
  • / ৪১৪৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বৈশ্বিক যুদ্ধকালীন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বিদেশে পাচার করা অর্থ ও দেশে জমা করা অর্থ মুদ্রাবাজারে আনতে সরকারকে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজেটে এগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে অর্থনীতিতে ব্যাপক সাড়া পড়বে। এজন্য বাজেটে পাচারকারীর অর্থের পরিবর্তে ‘অপ্রদর্শিত অর্থ’ করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সুপ্রিমকোর্ট বার ভবনে সোমবার ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে ২০২২-২৩ সালের বাজেটের ওপর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় আইনজীবী সমিতির মহাসচিব মো. সগীর আনোয়ার, সহসভাপতি কেএম জাবির ও উপ-মহাসচিব শাহেদ আলী জিন্নাহ্।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, বিদেশে পাচার করা ও দেশে জমা করা ঘোষিত অর্থের ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম কর গ্রহণ করে বিনা প্রশ্নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদন দিতে হবে। বর্ণিত ৫ শতাংশ করের হার বৃদ্ধি করে সুবিধা প্রদান করলে জনগণ আকৃষ্ট হবে না। অতীতের মতো এ উদ্দেশ্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

শাহ খসরুজ্জামান বলেন, দেশের শিল্প, কল কারখানা স্থাপনসহ কাঁচামাল উৎপাদনের প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান স্থাপনে বিনিয়োগের ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম কর গ্রহণ করে বিনা প্রশ্নে জাতীয় রজস্ব বোর্ডের অনুমোদন নিতে হবে।

তিনি বলেন, কর বিভাগে অপ্রদর্শিত ক্রয় করা জমির রেজিস্ট্রি করা মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ কর গ্রহণ করে বিনা প্রশ্নে কর কর্মকর্তার অনুমোদনপ্রাপ্ত হলে ওই জমির ওপর আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন এবং মার্কেট গড়ে উঠবে। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পর্যায়ক্রমে সরকারের আয় হবে।

তিনি আরও বলেন, অর্থ পাচার রোধ ও ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি বন্ধ করা উন্নয়নের সরকারের একমাত্র চ্যালেঞ্জ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। এ সমস্যাকে দূর করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাংক ও বিমাকে নিয়ে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করলে ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এতে অর্থ পাচার ও দুর্নীতি পর্যায়ক্রমে কমে আসবে। 

এছাড়া আবাসন খাতে নির্মাণসামগ্রীর বাজার মূল্যবৃদ্ধিকরণ রোধকল্পে নির্মাণসামগ্রীর কাঁচামালের ওপর আমদানি খরচ কমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এ খাতকে সচল করতে হবে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

পাচার করা অর্থ মুদ্রাবাজারে আনতে পদক্ষেপ নিতে হবে

আপডেট: ১১:৩১:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বৈশ্বিক যুদ্ধকালীন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বিদেশে পাচার করা অর্থ ও দেশে জমা করা অর্থ মুদ্রাবাজারে আনতে সরকারকে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজেটে এগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে অর্থনীতিতে ব্যাপক সাড়া পড়বে। এজন্য বাজেটে পাচারকারীর অর্থের পরিবর্তে ‘অপ্রদর্শিত অর্থ’ করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সুপ্রিমকোর্ট বার ভবনে সোমবার ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে ২০২২-২৩ সালের বাজেটের ওপর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় আইনজীবী সমিতির মহাসচিব মো. সগীর আনোয়ার, সহসভাপতি কেএম জাবির ও উপ-মহাসচিব শাহেদ আলী জিন্নাহ্।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, বিদেশে পাচার করা ও দেশে জমা করা ঘোষিত অর্থের ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম কর গ্রহণ করে বিনা প্রশ্নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদন দিতে হবে। বর্ণিত ৫ শতাংশ করের হার বৃদ্ধি করে সুবিধা প্রদান করলে জনগণ আকৃষ্ট হবে না। অতীতের মতো এ উদ্দেশ্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

শাহ খসরুজ্জামান বলেন, দেশের শিল্প, কল কারখানা স্থাপনসহ কাঁচামাল উৎপাদনের প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান স্থাপনে বিনিয়োগের ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম কর গ্রহণ করে বিনা প্রশ্নে জাতীয় রজস্ব বোর্ডের অনুমোদন নিতে হবে।

তিনি বলেন, কর বিভাগে অপ্রদর্শিত ক্রয় করা জমির রেজিস্ট্রি করা মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ কর গ্রহণ করে বিনা প্রশ্নে কর কর্মকর্তার অনুমোদনপ্রাপ্ত হলে ওই জমির ওপর আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন এবং মার্কেট গড়ে উঠবে। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পর্যায়ক্রমে সরকারের আয় হবে।

তিনি আরও বলেন, অর্থ পাচার রোধ ও ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি বন্ধ করা উন্নয়নের সরকারের একমাত্র চ্যালেঞ্জ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। এ সমস্যাকে দূর করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাংক ও বিমাকে নিয়ে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করলে ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এতে অর্থ পাচার ও দুর্নীতি পর্যায়ক্রমে কমে আসবে। 

এছাড়া আবাসন খাতে নির্মাণসামগ্রীর বাজার মূল্যবৃদ্ধিকরণ রোধকল্পে নির্মাণসামগ্রীর কাঁচামালের ওপর আমদানি খরচ কমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এ খাতকে সচল করতে হবে।

ঢাকা/এসএ